৬ ব্যাংকে এস আলমের জমা ২৬ হাজার কোটি টাকা

এস আলম গ্রুপ
ছবি: সংগৃহীত

দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের কিছু প্রতিষ্ঠান ও গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ সাইফুল আলমের পরিবারের সদস্যের ছয়টি ব্যাংকে প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকা রয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে পাঠানো ব্যাংকগুলোর তথ্যের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক।

ব্যাংকগুলোর পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, মূলত করোনা মহামারির পর এস আলম লাক্সারি চেয়ার কোচ সার্ভিস ও এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল লিমিটেডের হিসাবে প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।

এনবিআরের কর্মকর্তারা জানান, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিল লিমিটেড ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে বড় অঙ্কের অর্থ পেয়েছে।

চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সাইফুল আলমের মা, চেমন আরা বেগম, স্ত্রী ফারজানা পারভীন ও তার ভাই মোহাম্মদ আবদুল্লাহ হাসান এই প্রতিষ্ঠান দুটির পরিচালক।

যোগাযোগ করা হলে কর অঞ্চল-১৫ এর কর কমিশনার আহসান হাবীব বলেন, 'কর ফাঁকি শনাক্ত করা ও দেশের জন্য কর আদায় করা আমাদের রুটিন দায়িত্ব। এটা আমাদের রুটিন ডিউটির অংশ।'

গত মাসে এনবিআরের ফিল্ড অফিস ব্যাংকগুলোর কাছে সাইফুল আলমের পরিবারের সদস্যদের হিসাবের বিবরণ চেয়েছিল। কারণ এনবিআর জানতে চেয়েছিল, এই পরিবার সঠিকভাবে কর পরিশোধ করছেন কি না।

এরপর ৯১টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়ে ব্যাংকের তথ্য জানতে চেয়েছিল এনবিআর। গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনার সরকারের পতনের প্রায় দুই সপ্তাহ পর এ ঘটনা ঘটে।

সাইফুল আলম আগের সরকার ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার ঘনিষ্ঠ ছিলেন। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর সংস্থাগুলো সাইফুল আলম, তার পরিবারের ১২ সদস্য এবং তাদের কোম্পানির ব্যাংক তথ্য অনুসন্ধানসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়।

ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের এই ব্যবসায়ী ও তার স্বজনদের দখলে থাকা ছয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এনবিআরের চিঠিতে সাইফুল আলমের ভাই হাসান, তার মা চেমন আরা বেগম ও তার স্ত্রী ফারজানার ব্যাংক হিসাব ও ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চাওয়া হয়।

এ ছাড়া তার বোন, মেয়ে বা ছেলের নামে যৌথভাবে থাকা ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের তথ্যও চাওয়া হয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English
govt employees punishment rule

Govt employees can now be punished for infractions within 14 working days

Law ministry issues ordinance amending the Public Service Act, 2018

2h ago