ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের দুই মাস না যেতেই সর্বশেষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। কারণ ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হলেও বাজারের উন্নতির কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। উপরন্তু বাজারে সূচক তিন বছরের সর্বনিম্নে...
দিন শেষে ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৬০ পয়েন্ট বা এক শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫১৮ পয়েন্টে। যা সূচকের তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থান।
তবে, ঊর্ধ্বসীমা অর্থাৎ কোনো শেয়ারের দাম বাড়ার সীমা ১০ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজও সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে।
আজ সোমবার ডিএসইএক্স ৬৮ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বা ১ দশমকি ১৭ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৭৬১ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
আজ ডিএসইতে ২২১টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে ১২২টির এবং ৫৪টির অপরিবর্তিত আছে।
টার্নওভার ৪৪ দশমিক ২৮ শতাংশ বেড়ে ৬১০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
‘বড় মূলধনের ব্লু-চিপ কোম্পানিগুলোর আয় আশাব্যঞ্জক না হওয়ায় অনেক বিনিয়োগকারী ভয় পেয়ে গেছেন।’
আজ রোববার ডিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪৩ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ২৫ শতাংশ কমে ১ হাজার ৭৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে বার্জারের তৃতীয় কারখানার আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৮১৩ কোটি টাকা।
সকাল সাড়ে ১১টায় দেখা যায়—শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৭৩ প্রতিষ্ঠানের, কমেছে ১৭১ প্রতিষ্ঠানের ও অপরিবর্তিত থেকেছে ৪২ প্রতিষ্ঠানের। সেসময় লেনদেন হয় ৪৬৬ কোটি টাকা।
ফলে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৪৯টি ফার্ম ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে এখন ১২টি কোম্পানির জন্য ফ্লোর প্রাইস প্রযোজ্য হবে।
বাজার সংশ্লিষ্ট ও বিশ্লেষকরা অবশ্য বলেছেন গত বছরের ১০ অক্টোবর থেকে যে মাত্রায় দরপতন চলছে সেই তুলনায় বা এখনকার আশঙ্কার তুলনায় গতকালের দরপতন তুলনামূলক কম।
একই সময়ে ব্লু চিপ সূচক ডিএস৩০ ১১ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৫৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১১৮-তে।
বিএসইসির আদেশে বলা হয়েছে, ফ্লোর পাইস তুলে নেওয়া হলেও তা কেবল ৩৫টি কোম্পানির জন্য বহাল থাকবে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের মুনাফা অর্ধেক কমেছে।
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও ফ্লোর প্রাইসসহ একাধিক কারণে শেয়ারবাজার হতাশাজনক একটি বছর পার করেছে।