‘শাফিন আহমেদের গান তরুণরা মনে রাখবে, গুনগুন করে গাইবে’

শাফিন আহমেদ ও রুনা লায়লা। ছবি: সংগৃহীত

নব্বই দশকের সাড়া জাগানো সংগীতশিল্পী শাফিন আহমেদের এদেশে ব্যান্ড সংগীতে অবদান অনেক। অসংখ্য জনপ্রিয় গান আছে তার। লাখো তরুণ-তরুণীর হৃদয়ে সাড়া ফেলেছে এসব গান।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে শো করতে যান শাফিন আহমেদ। সেখানেই হার্ট অ্যাটাকে মারা যান তিনি।

শাফিন আহমেদ প্রসঙ্গে দ্য ডেইলি স্টার কথা বলেছে কিংবদন্তি শিল্পী রুনা লায়লার সঙ্গে।

প্রথমেই রুনা লায়লা বলেন, 'আমি খুব শকড। খবরটি শুনে খুব কষ্ট পেয়েছি। এমনটি কখনো আশা করিনি। শাফিন আহমেদের মৃত্যু অপ্রত্যাশিত। কী-বা বয়স হয়েছিল! এমন মৃত্যু মানা যায় না, খারাপ লাগছে।'

তিনি বলেন, 'শাফিন আহমেদের গান আমি শুনেছি। খুব দরদ দিয়ে গাইতেন। তরুণদের মাঝে তার গান ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। তরুণরা তার গানে এক ধরণের উন্মাদনা ও আনন্দ খুঁজে পেতেন। স্টেজে গান করে দর্শক মাতিয়ে রাখার ক্ষমতা তার ছিল।'

'ফেসবুকে কখনো কখনো কথা হয়েছে। কখনো কখনো আমার স্ট্যাটাসে কমেন্ট করতেন। একবার বাসায় এসেছিলেন কয়েকজন মিলে, সেটা অবশ্য কপিরাইটের বিষয়ে কথা বলতে,' বলেন রুনা লায়লা।

শাফিন আহমেদের বাবা-মা সম্পর্কে তিনি বলেন, 'তার মা বিখ্যাত সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগম। তার বাবা সংগীতের বিশাল ব্যক্তিত্ব। মনে পড়ে, শ্রদ্ধেয় ফিরোজা বেগমের নামে দেওয়া অ্যাওয়ার্ড আমি পেয়েছিলাম। সেই সম্মাননা নেওয়ার সময় শাফিনের সাথে দেখা হয় কথা হয়। সেই স্মৃতিটা আজ মনে পড়ছে।'

'শাফিন আহমেদ শুধু যে ব্যান্ডের গান করেই জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তা কিন্তু নয়। মাঝে মাঝে নজরুল সংগীতও করতেন। এটা বিরাট গুণ। মায়ের কাছ থেকে এই গুণটি হয়ত পেয়েছিলেন। আজ চলে গেলেন অনন্তের ঠিকানায়। অনন্তের ঠিকানায় শান্তিতে থাকুন,' বলেন রুনা লায়লা।

এই কিংবদন্তি শিল্পী আরও বলেন, 'আমি মনে করি মানুষ চলে গেলেও সৃষ্টির জন্য কেউ কেউ বেঁচে থাকেন। তেমনই শাফিন আহমেদও বেঁচে থাকবেন তার গানের মধ্যে দিয়ে। তার গান তরুণরা মনে রাখবে, গুন গুন করে গাইবে। এভাবেই বেঁচে থাকবেন তিনি।' 

 

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

5h ago