আমৃত্যু গান গেয়ে যেতে চাই: রফিকুল আলম

রফিকুল আলম। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ/স্টার

গুণী সংগীতশিল্পী রফিকুল আলম। কয়েক দশক ধরে গান করছেন। অনেক জনপ্রিয় গান রয়েছে তার। এখনো গান নিয়েই আছেন।

দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে রফিকুল আলম কথা বলেছেন গানসহ নানা বিষয় নিয়ে।

দ্য ডেইলি স্টার: টানা কয়েক দশক ধরে বিরহিতীনভাবে গান করে যাচ্ছেন...

রফিকুল আলম: একটি কথা আমি বিশ্বাস করি, গান হচ্ছে শাস্ত্র। ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান সাহেব অনেক আগে লন্ডনে একটি গানের অনুষ্ঠান করেছিলেন। সেখানে তিনি কিছু কথা বলেছিলেন। একটি কথা হচ্ছে এরকম—মিউজিক শুধু শাস্ত্র নয়। তার মানে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন গান শুধু শাস্ত্র নয়, আরও অনেককিছু। এটা আমি অনুসরণ করি। যে গুণ কিংবা ক্ষমতা সৃষ্টিকর্তা আমাকে দিয়েছেন, তা অবহেলা করতে চাই না। এই গুণটিকে অশ্রদ্ধা করতে চাই না। ভেতরে গানটা বেশ ভালোভাবে ধারণ করি। তাই হয়তো কখনো বিরতি নিইনি।

ডেইলি স্টার: আপনার গান অনেকেই শোনেন। আপনি কার কার গান শোনেন?

রফিকুল আলম: অনেকের গান শুনি। অসংখ্য নাম আসবে। গান শুনি এবং চর্চা করি। সব ধরনের গান শুনি। কিছুদিন আগে মারা গেলেন ওজি, তার গানও শুনতাম। এখনকার ব্রিটেন, আমেরিকা ও ভারতের যারা শিল্পী, তাদের গানও আমি শুনি। শোনার বিষয়টা প্যাশন। গান গাওয়া যেমন আমার প্যাশন, শোনার ক্ষেত্রেও প্যাশন।

ডেইলি স্টার: দেশের ভেতরে অনেক নতুনরা সংগীতে আসছেন। তাদের বিষয়ে আপনার ভাবনা কী?

রফিকুল আলম: নতুনদের মধ্যে কয়েকজনের অসাধারণ গলা আছে। তারা অসাধারণ গায়। গত ১৫-২০ বছরে বেশকজন গুণী মানুষ মারা যাওয়ার কারণে সুর নিয়ে খেলাটা কমে গেছে। কেননা, অনেক বিখ্যাত সুরকাররা নেই। আলাউদ্দিন আলী নেই, সত্য সাহা নেই, আলম খান নেই, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল নেই। আরও অনেকেই নেই। এই মানুষগুলো বেঁচে থাকলে নতুনরা আরও অনেক কিছু পেত। তারপরও নতুনদের জন্য ভালোবাসা ও আশীর্বাদ।

ডেইলি স্টার: গান নিয়ে এই সময়ের স্বপ্ন?

রফিকুল আলম: জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত যদি সুস্থ থাকি, গান করে যাব। শরীরে শক্তি থাকলে আমৃত্যু গান করে যেতে চাই। সৃষ্টিকর্তার কাছে এটুকুই চাওয়া।

ডেইলি স্টার: সম্প্রতি কোন গানটি করেছেন?

রফিকুল আলম: সম্প্রতি একটি গান করেছি। এই প্রথম একজন নারী সংগীত পরিচালকের সুরে আধুনিক গান করেছি। কামরুন নাহার শিপু সুর করেছেন। গানের কথা লিখেছেন সরদার হারুন আল রশীদ। বেশ মিষ্টি সুর। খুব ভালো লেগেছে গানটি করে।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Police: Designed to inflict high casualties

A closer look at police’s arms procurement records reveals the brutal truth behind the July killings; the force bought 7 times more lethal weapons than non-lethal ones in 2021-23

2h ago