মানুষের মন্তব্য তাদের মানসিকতার প্রতিচ্ছবি: রুনা খান
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী রুনা খানের সাম্প্রতিক একটি ফটোশুটের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল আলোচিত হচ্ছে।
সম্প্রতি 'অসময়' ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন রুনা খান। তার অভিনীত 'বক' ও 'দাফন' সিনেমা এবং 'শোধ' ওয়েব ফিল্ম মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
সাম্প্রতিক কাজ, ফিটনেস রহস্যসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন রুনা খান।
নতুন লুকের পেছনের গল্প জানতে চাই।
জানুয়ারিতে ছবিগুলো তুলেছেন ফটোগ্রাফার নাসির হোসেন। তার জন্যই কাজটি হয়েছে। মেকআপ করেছেন চৈতী আপু। খুব প্রফেশনালি কাজটি হয়েছে। লুকের ভাবনাটাও নাসির হোসেনের।
নাসির হোসেন একদিন বললেন, শাড়িতে আপনাকে অনেক দেখা গেছে, সালোয়ার কামিজেও দেখা গেছে। এবার একটু নতুন লুক দেখা যাক। একেবারে ওয়েস্টার্ন।
এরপর সেভাবেই শুট হলো। ওই শুটে চারটি লুক ছিল।
আপনার ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ ছড়িয়ে পড়েছে, মানুষ নানান মন্তব্য করছেন।
এগুলো আসলে মানুষের মানসিকতা ও চিন্তাকে প্রতিফলিত করে। মানুষের মন্তব্য তাদের মানসিকতারই প্রতিচ্ছবি। যত ভালো কাজই হোক দুইরকম মন্তব্য আসে। কারো ভালো লাগবে, কারো খারাপ লাগবে। কেউ কোনো কাজের ব্যাপারে বলবে দুর্দান্ত সুন্দর, কেউ বলবে অসুন্দর। এটা দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার।
আমার ছবিগুলো অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ায় ভালো লাগছে। আমি যেকোনো নতুন কিছু গ্রহণ করতে পারি। নতুনের ব্যাপারে সবসময় আগ্রহী—সেটা নতুন পরিচালকের কাজ হোক আর নতুন চিত্রনাট্যকারের লেখা। আমি সবসময় নতুনের পক্ষে।
ফিটনেস নিয়ে কিছু বলুন।
আমাকে যারা বিশ্বাস করবে তাদের জন্য বলছি, যারা বিশ্বাস করবেন না তারা দূরে থাকবেন—সাধারণ বাঙালি পরিবারে যা রান্না হয়, আমার বাসায়ও তাই হয়। আমিও খুব সাধারণ একজন।
তবে, কিছু বিষয় মেনে চলি। যেমন: চিনি খাই না, ব্ল্যাক কফি খাই, শাক-সবজি বেশি খাই, বাদাম খাই, গ্রিন টি খাই, লেবু খাই। প্রতিদিন নিয়ম করে এক ঘণ্টা হাঁটি। ইয়োগা করি। আমি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক জীবনযাপনে বিশ্বাস করি। শুটিংয়ের জন্য ছাড়া কখনো পার্লারে যাই না।
সৌন্দর্যের আদর্শ মনে করেন কাকে?
মা হচ্ছেন আমার কাছে সৌন্দর্যের আদর্শ। মা ৬০ বছর বয়সে যেমন আছেন, আমিও তেমন থাকতে চাই।
Comments