মায়ের কবরে সমাহিত হবেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার

কিংবদন্তি গীতিকার, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ার। স্টার ফাইল ছবি
গাজী মাজহারুল আনোয়ার। স্টার ফাইল ছবি

আজ কিংবদন্তি গীতিকার, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মৃত্যুতে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমেছে। আগামীকাল সোমবার রাজধানীর বনানী কবরস্থানে এই কিংবদন্তির দাফন হবে।

তার সন্তান উপল জানিয়েছেন, বাবাকে তার মায়ের কবরেই সমাহিত করা হবে। আপাতত তার  মরদেহ  হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। শেষকৃত্যে অংশ নেওয়ার জন্য তার মেয়ে দিঠি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।

উপল আরও জানান, আগামীকাল সোমবার সকাল ১১টায় গাজী মাজহারুল আনোয়ারের মরদেহ প্রথমে শহীদ মিনারে নেয়া হবে। সেখানে তাকে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাবেন এবং তাকে গার্ড অফ অনার দেয়া হবে।

তারপর দুপুর সাড়ে ১২টায় বিএফডিসিতে নেওয়া হবে। সেখানে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

'এরপর গুলশানের আজাদ মসজিদে দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরে দাফন করা হবে', যোগ করেন উপল।

আজ সকাল সাড়ে ৬টায়  মারা যান গাজী মাজহারুল আনোয়ার। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের পুত্রবধূ শাহানা মির্জা দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত কয়েকদিন থেকে এসিডিটির সমস্যায় ভুগছিলেন। বেশ কয়েকবার তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছিল।

গাজী মাজহারুল আনোয়ার গত ৬০ বছরে ২০ হাজারের বেশি গান লিখেছিলেন।

সংগীতে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০০২ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন।

গাজী মাজহারুল আনোয়ার ৫ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।

তার কালজয়ী গানের তালিকায় রয়েছে, 'জয় বাংলা বাংলার জয়', 'আছেন আমার মোক্তার', 'এক তারা তুই দেশের কথা', 'গানের কথায় স্বরলিপি লিখে', 'শুধু গান গেয়ে পরিচয়', 'এই মন তোমাকে দিলাম', ইত্যাদি।

গাজী মাজহারুল আনোয়ার কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তালেশ্বর গ্রামে ১৯৪৩ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৬৪ সালে রেডিও পাকিস্তানে গান লেখার মধ্য দিয়ে তিনি পেশাগত জীবন শুরু করেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

One lakh stock accounts closed amid IPO drought in FY25

The stock market has almost closed the books on the fiscal year (FY) 2024-25 without a single company getting listed through an initial public offering (IPO), a rare event not seen in decades.

11h ago