অনুদানের বেশিরভাগ সিনেমা জোড়াতালির হয়: ফেরদৌস
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ফেরদৌসের 'বিউটি সার্কাস' সিনেমাটা কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়ে তৃতীয় সপ্তাহে চলছে। মাহমুদ দিদার পরিচালিত এই সিনেমায় জমিদার বখতিয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। তার অভিনীত চরিত্রটি বেশ প্রশংসিত হচ্ছে দর্শকদের কাছে। সম্প্রতি এই সিনেমা ও অন্যান্য বিষয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন ফেরদৌস।
'বিউটি সার্কাস' সিনেমায় নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করেছেন…
এই ধরনের নেগেটিভ চরিত্রে আগে কখনো অভিনয় করিনি। সবসময় পজিটিভ একটা ইমেজ নিয়ে পর্দায় এসেছি। শুটিং স্পটে গিয়েও ভেতর থেকে মনটা বলছিল, কাজটা করা উচিত হচ্ছে না। আবার সিনেমাটির গল্প আর আমার চরিত্রটি বলছে কাজটা করা উচিত। যদিও শেষ পর্যন্ত কাজটি আমি আনন্দ নিয়েই করেছি। তবে এই ধরনের চরিত্রে আগামীতে আর অভিনয় করব না।
এই সিনেমা দেখে দর্শকের কেমন প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন?
আমার অভিনীত মির্জা মোহাম্মদ বখতিয়ার চরিত্রটি দর্শক পছন্দ করেছেন। যারা দেখেছেন বিভিন্নভাবে বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে জানিয়েছেন। দু'দিন আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সিনেমাটি দেখে আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। ভালো সিনেমাকে কেউ দাবায়া রাখতে পারেনি, পারবেও না। 'বিউটি সার্কাস' চলছে চলছে চলবে।
এই সিনেমা তো সরকারি অনুদানের, কোনো সীমাবদ্ধতা কী ছিল?
সরকারি অনুদানের বেশিরভাগ সিনেমা জোড়াতালি হয়, কিন্তু এই সিনেমার পরিচালক মাহমুদ দিদার সেটা করেননি। অনেক চেষ্টা করে একটা ভালো সিনেমা বানানোর চেষ্টাই করেছেন। এটা আমাদের দেশের জন্য আসলে ভালোলাগার সংবাদ যে, শেষ পর্যন্ত সরকারি অনুদানে একটি ভালো সিনেমা বানানোর চেষ্টা করেছেন।
এখনতো বাংলা সিনেমার জয়জয়কার। আপনার অভিমত কী?
অবশ্যই ভালোভাবে দেখছি বাংলা সিনেমার এই জয় জয়কার। 'পরাণ', 'হাওয়া' সিনেমা ২টি এখনো ভালো চলছে। এরপরে 'বীরত্ব' সিনেমাটি মানুষ পছন্দ করেছেন। 'অপারেশন সুন্দরবন' ও 'বিউটি সার্কাস' একইসঙ্গে মুক্তি পেয়ে বেশ চলছে। এটা আমাদের বাংলা সিনেমার জন্য আনন্দের সংবাদ। এখন ভালো গল্পের ভালো সিনেমার সুদিন বইছে। আমার কাছে মনে হয় দর্শক সেই কারণে বিউটি সার্কাস সিনেমাটি উপভোগ করছে।
নতুন সিনেমার খবর কী?
আমার 'জ্যাম' ও 'গাঙচিল' নামে ২টি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। সরকারি অনুদানের আরেকটি সিনেমা 'আহারে জীবন'-এর শুটিং করব।
Comments