'বাংলাদেশ আর সালমান হাত ধরাধরি করে হাঁটছে'
অনেক দর্শক-বোদ্ধার মতে, বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের সবচেয়ে স্টাইলিশ নায়ক ছিলেন সালমান শাহ। বেঁচে থাকলে আজ ১৯ সেপ্টেম্বর জনপ্রিয় এই নায়ক ৫২ বছরে পা দিতেন।
১৯৭১ সালের এই দিনে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম কমর উদ্দিন চৌধুরী এবং মায়ের নাম নীলা চৌধুরী। সালমান শাহ'র পারিবারিক নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন।
সালমান শাহ প্রসঙ্গে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন তার অভিনীত প্রথম সিনেমা 'কেয়ামত থেকে কেয়ামত' পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান।
তিনি বলেন, 'সালমান শাহ ঢাকাই চলচ্চিত্রের একটি আজন্ম ব্র্যান্ড। তারমতো নায়ক আর আসবেনা। বাংলাদেশের বয়স আর তার বয়স সমান। বাংলাদেশ আর সালমান হাত ধরাধরি করে হাঁটছে। এমন নায়কের আর জন্ম হবেনা আমাদের চলচ্চিত্রে। ওর মতো শিল্পীর এখনও খুব বড় অভাব। দিন যত যাচ্ছে, সালমানকে ততোবেশি অনুভব করছি। তার মৃত্যুর দুই যুগ পেরিয়ে গেলেও এখনো তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বেশি রঙিন হয়ে আছেন তিনি।'
মাত্র ৪ বছরে ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন সালমান শাহ। তার অভিনীত প্রায় সবগুলো সিনেমাই দর্শকপ্রিয়তা পায়।
চলচ্চিত্রে সালমান শাহের অভিষেক হয়েছিল ১৯৯৩ সালে মৌসুমী অভিনীত ও সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত 'কেয়ামত থেকে কেয়ামত' সিনেমা দিয়ে। তারপর মৌসুমীর সঙ্গে জুটি হয়ে 'অন্তরে অন্তরে', 'দেনমোহর' ও 'স্নেহ' সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।
১৯৯৪ সালে সালমান শাহ-শাবনূর প্রথম জুটি হন জহিরুল হক পরিচালিত 'তুমি আমার' ছবিতে। এরপর একে একে 'সুজন সখী', 'বিক্ষোভ', 'স্বপ্নের ঠিকানা', 'মহামিলন', 'বিচার হবে', 'তোমাকে চাই', 'স্বপ্নের পৃথিবী', 'জীবন সংসার', 'চাওয়া থেকে পাওয়া', 'প্রেম পিয়াসী', 'স্বপ্নের নায়ক', 'আনন্দ অশ্রু', 'বুকের ভিতর আগুন' এ অভিনয় করেন।
সালমান শাহ অভিনীত অন্য সিনেমাগুলো হলো— জীবন রহমান পরিচালিত 'প্রেম যুদ্ধ', দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত 'কন্যাদান', হাফিজ উদ্দিন পরিচালিত 'আঞ্জুমান', মালেক আফসারী পরিচালিত 'এই ঘর এই সংসার' ইত্যাদি। এ ছাড়াও রয়েছে 'আশা ভালোবাসা', 'শুধু তুমি' ও 'স্বপ্নের ঠিকানা।
অমর নায়ক সালমান শাহ ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেমবর অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে চলে যান জীবনের ওপারে।
Comments