‘আমি ফুরিয়ে যাইনি, এখনো কাজ করছি মানুষ ও শিল্পের জন্য’

বাংলা চলচ্চিত্রের সফল নায়কদের একজন ইলিয়াস কাঞ্চন। দর্শকদের অনেক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠন করেও প্রশংসিত হয়েছেন। এই অভিনেতা একুশে পদকও পেয়েছেন।
ইলিয়াস কাঞ্চন, নিরাপদ সড়ক চাই, একুশে পদক, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি,
ইলিয়াস কাঞ্চন। স্টার ফাইল ছবি

বাংলা চলচ্চিত্রের সফল নায়কদের একজন ইলিয়াস কাঞ্চন। দর্শকদের অনেক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠন করেও প্রশংসিত হয়েছেন। এই অভিনেতা একুশে পদকও পেয়েছেন।

একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া ইলিয়াস কাঞ্চন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি। এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পেতে যাচ্ছেন এই অভিনেতা।

এদেশের সবচেয়ে ব্যবসাসফল সিনেমার কথা বললে আগে আসে 'বেদের মেয়ে জোছনা' সিনেমার নাম। এ সিনেমার নায়ক হিসেবে ছোট-বড় সব বয়সী দর্শকদের মন জয় করেছিলেন তিনি। ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, 'বেদের মেয়ে জোছনা একটি ব্যবসাসফল সিনেমা। একইসঙ্গে দারুণ দর্শকপ্রিয়।'

সামাজিক সিনেমার নায়ক হিসেবে সফলতা পাওয়া এই অভিনেতা রোমান্টিক সিনেমার নায়ক হিসেবেও প্রশংসিত হয়েছেন। তার অভিনীত 'ভেজা চোখ' সিনেমাটি রোমান্টিক সিনেমা হিসেবে টিকে থাকবে অনেকদিন। 'সহযাত্রী' সিনেমাটিও সফল একটি প্রেমের সিনেমা।

সুভাষ দত্ত পরিচালিত 'বসুন্ধরা' সিনেমা দিয়ে অভিষেক ইলিয়াস কাঞ্চনের। এখনো অভিনয়ে সবর তিনি। সর্বশেষ অভিনয় করেছেন নায়িকা রোজিনা পরিচালিত 'ফিরে দেখা' সিনেমায়। এটি মুক্তির অপেক্ষায় আছে। ৩ শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। আলমগীর কবির পরিচালিত 'পরিণীতা' সিনেমায় অভিনয় করে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

নায়ক রাজ্জাকের পরিচালনায়ও কাজ করেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। রাজ্জাক পরিচালিত 'অভিযান' সিনেমায় তার অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছিল। নায়ক উজ্জ্বল পরিচালিত 'নালিশ' সিনেমায় তার অভিনয় দারুণ সাড়া ফেলে। ডুমুরের ফুল, কলমীলতা, দয়ামায়া, তিন কন্যা, বিষ কন্যার প্রেম, তওবা, ইনসাফ, সহযাত্রী, চাকর, গাড়িয়াল ভাই, গোলাপি এখন ঢাকায়, অচল পয়সা… এমন অনেক সিনেমা তার ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করেছে।

অন্যদিকে তার প্রতিষ্ঠিত নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনটি ব্যাপকভাবে আলোচিত ও প্রশংসিত একটি সংগঠন। এই সংগঠন নিয়ে তিনি বলেন, 'এই সংগঠন আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। সারাজীবন এই কাজটি করে যেতে চাই। মানুষের কল্যাণ বড় বিষয়। আমি সবসময় মানুষের কথা বিবেচনা করি। দেশের কথা ও দেশের মানুষের কথা ভাবি। সেভাবেই কাজ করে যাব।'

আজীবন সম্মাননা নিয়ে তিনি বলেন, 'আমি কাজ করে আজীবন। এটাতো আজীবনের জন্য দেওয়া হয়। শিল্পী সারাজীবন অভিনয় করতে পারেন। এককথায় বলব ভালো লাগা কাজ করছে।'

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কোনো অপূর্ণতা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি তো ফুরিয়ে যাইনি, এখনো কাজ করছি মানুষের জন্য, শিল্পের জন্য। কোনো অপূর্ণতা নেই। অনেক ভালোবাসা পেয়েছি শিল্পী জীবনে।'

Comments