‘ফরীদির মতো শিল্পী হারাতে পারেন না’

হুমায়ুন ফরীদির জন্মদিনে আরেক খ্যাতিমান অভিনয়শিল্পী সোহেল রানা বলেছেন, হুমায়ুন ফরীদির মতো শিল্পী হারাতে পারেন না।
হুমায়ুন ফরীদি, সোহেল রানা,
হুমায়ুন ফরীদি ও সোহেল রানা (ইনসেটে)। ছবি: সংগৃহীত

বরেণ্য অভিনয়শিল্পী হুমায়ুন ফরীদি। আজ ২৯ মে এই কিংবদন্তির জন্মদিন। হুমায়ুন ফরীদির জন্মদিনে আরেক খ্যাতিমান অভিনয়শিল্পী সোহেল রানা বলেছেন, হুমায়ুন ফরীদির মতো শিল্পী হারাতে পারেন না।

তিনি বলেন, হুমায়ুন ফরীদি সত্যিকারের অভিনেতা ছিলেন। তিনি একজন জাতশিল্পী। অভিনয় করতে পারলে তাকে অভিনেতা বলা হয়, কিন্তু সত্যি কথা হলো- অভিনয় করতে পারলেই অভিনেতা হওয়া যায় না। অভিনয় এত সহজ কাজ নয়। অনেক গুণ থাকতে হয়  একজন অভিনেতার। আর সব গুণ হুমায়ুন ফরিদীর ছিল।

'এজন্যই বলব হুমায়ুন ফরীদি একজন অভিনেতা, খুব বড় মাপের অভিনেতা। যাকে বলা হয়, শিল্পী। ফরীদি ছিলেন শিল্পী। অভিনেতা হয়তো হারিয়ে যায়, শিল্পী কখনো হারায় না। তিনিও হারাবেন না। তার মতো শিল্পী হারাতে পারেন না। তিনি বেঁচে থাকবেন তার অভিনয়ের জন্য।'

সোহেল রানা বলেন, 'আসলে কারো অভাবই পূরণ হয় না। কিন্তু, ফরীদির অভাব আরও পূরণ হবে না। আগামী ২০-২৫ বছরেও ফরীদির অভাব পূরণ হবে না। এটা আমার মতামত। জেনে-শুনেই বলছি।'

'মানুষকে সম্মান করতে জানতেন তিনি। এটি আমার খুব ভালো লাগত। আরেকটি বিষয় তার মধ্যে খুব ছিল, তা হচ্ছে- যেকোনো বিষয়ে জানতেন, খোঁজ-খবর রাখতেন। খুব পড়ালেখা করতেন, তার জ্ঞানের ভাণ্ডার ছিল সমৃদ্ধ। অজানাকে জানার বিষয়ে তার খুব আগ্রহ ছিল,' বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'তার রাজনৈতিক বিষয়ে আগ্রহ, জানাশোনা ছিল। তার এসব গুণ আমাকে আকৃষ্ট করত। আমাকে পারভেজ ভাই বলে ডাকতেন, সম্মান করতেন। সবাই জানে ফরীদির অনেক রসবোধ আছে। অনেক মজা করার ক্ষমতা ছিল তার। কিন্তু আমার সামনে কখনো করতেন না। আমরা প্রচুর গল্প করেছি। কিন্তু এক ধরণের কাঁচের দেওয়াল ছিল। আমাদের আড্ডা সীমা অতিক্রম করত না। সীমার মধ্য থেকেই আড্ডা দিতেন।'

'ফরীদি অনেক মাধ্যমে অভিনয় করেছেন। আমি তাকে সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছি সিনেমায়। সিনেমার প্রতি তার ছিল অসম্ভব টান। ভালোবাসতো ছিল। সিনেমায় শুধু যে অভিনয় করতেন তা নয়, প্রচুর সিনেমা দেখতেন। দেশ-বিদেশের সিনেমার খোঁজ রাখতেন। সিনেমা নিয়ে ছিল তার যত স্বপ্ন।'

'আরেকটি কথা, আমরা ভীষণ ক্লোজ ছিলাম। ভীষণ সখ্যতা ছিল আমাদের। আজ তার জন্মদিন। এমন বিশেষ দিনে ফরীদিকে মনে পড়ছে। তার জন্য আমার ভালোবাসা। যেখানে আছেন শান্তিতে থাকুন,' যোগ করে সোহেল রানা।

দেশের নামি নাটকের দল ঢাকা থিয়েটার দিয়ে হুমায়ুন ফরীদির অভিনয় জীবন শুরু হয়। এরপর  টেলিভিশন নাটকে নাম লেখান। ভাঙনের শব্দ শুনি, সংশপ্তক ধারাবাহিক দুটি তাকে জনপ্রিয়তা এনে দেয়। তার অভিনীত সংশপ্তক নাটকের কানকাটা রমজান চরিত্রটি আজও দর্শকের মনে গেঁথে আছে।

Comments