হুমায়ুন ফরীদি একজনই

হুমায়ুন ফরীদি। ছবি: সংগৃহীত

হুমায়ুন ফরীদি একজনই ছিলেন। মঞ্চ, টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্র—তিন মাধ্যমেই তিনি ছিলেন প্রবল জনপ্রিয়। একজীবনে অভিনয় ছাড়া কিছুই করেননি তিনি। ঢাকাই সিনেমায় শুরুতে নায়ক ছিলেন, তারপর খলনায়ক হিসেবে রেকর্ড গড়েছিলেন। মৃত্যুর পর তাকে দেওয়া হয় একুশে পদক।

আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি খ্যাতিমান অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদির চলে যাওয়ার দিন। আজ ১৩ বছর তিনি আমাদের মাঝে নেই।

আজ সকাল থেকেই তার ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে স্মরণ করছেন গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়। কেউ কেউ লিখেছেন, হুমায়ুন ফরীদি একজনই ছিলেন। কেউ লিখেছেন, হুমায়ুন ফরীদির মতো অভিনেতা আর আসবে না। কেউ বা লিখেছেন, এই দেশের অন্যতম সেরা অভিনেতা ছিলেন প্রিয় হুমায়ুন ফরীদি।

ছবি: সংগৃহীত

শোবিজের মানুষেরাও গভীর মমতায় তাকে স্মরণ করে ফেসবুকে নানা কথা লিখেছেন।

একজীবনে হুমায়ুন ফরীদি অনেকরকম চরিত্রে টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছেন। তবে, তার অভিনীত 'কানকাটা রমজান' চরিত্রটির কথা এখনো দর্শকরা ভুলেননি। সাড়া জাগানো 'সংশপ্তক' নাটকের আলোচিত চরিত্র ছিল এটি। এই চরিত্রে অভিনয় করে তিনি সব শ্রেণির দর্শকদের ভালোবাসা অর্জন করেছিলেন।

'ভাঙনের শব্দ শুনি' নাটকে সেরাজ তালুকদারের চরিত্রে অভিনয় করেও জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। 'কোথাও কেউ নেই' নামের আলোচিত নাটকে একজন আইনজীবীর চরিত্রে অভিনয় করেও প্রশংসিত হয়েছিলেন। এছাড়া আরও বহু নাটকে অভিনয় করেন এই অভিনেতা।

ছবি: সংগৃহীত

হুমায়ুন ফরীদি ছিলেন বহুমাত্রিক অভিনেতা। সবরকম চরিত্রে অভিনয় করেছেন। সব মাধ্যমে অভিনয় করেছেন। ভূত নামের একটি মঞ্চ নাটক পরিচালনা করেন ছাত্রজীবনে।

তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য মঞ্চনাটকের মধ্যে আছে শকুন্তলা, ফণীমনসা, কীর্তনখোলা, কেরামত মঙ্গল, মুনতাসির ফ্যান্টাসি।

ঢাকা থিয়েটারের হয়ে 'সংবাদ কার্টুন' নাটকে প্রথম অভিনয় করেন ফরীদি। তারও আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে থিয়েটার শুরু করেন।

ঢাকাই সিনেমায় নায়ক ছিলেন 'দহন' চলচ্চিত্রে। কিন্তু, নেতিবাচক চরিত্র তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। নতুন ধারা তৈরি করেন ঢাকাই সিনেমায়। খলঅভিনেতা হিসেবে সর্বত্র সুনাম ছড়িয়ে পড়ে।

ছবি: সংগৃহীত

ফেরদৌসী মজুমদার বলেন, হুমায়ুন ফরীদির ভেতরটা ছিল শিশুর মতো সরল। মানুষ হিসেবেও সে সরল ছিল। বিশাল অভিনয় গুণ নিয়ে জন্মেছিল। তার অভিনয়ের প্রতিভা আমরা দেখেছি। আমি বলব মানুষ হিসেবেও অসাধারণ ছিল। আমাকে সম্মান করত খুব।

আফজাল হোসেন বলেন, পেছন ফিরে তাকালেই অসংখ্য স্মৃতি চোখে ভাসে। তার সঙ্গে স্মৃতির শেষ নেই। ফরীদি অভিনয় করতে এসেছিল, আমিও। আমরা ভালো বন্ধু ছিলাম। আমাদের সম্পর্ক ছিল অনেক দিনের। ঢাকা থিয়েটার করতে গিয়ে আমাদের পরিচয় হয়েছিল।

রাইসুল ইসলাম আসাদ বলেন, ফরীদি আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। তার সম্পর্কে একটাই কথা—আমাদের সময়ের সেরা অভিনেতা ছিলেন তিনি। বন্ধু হিসেবে আমরা সুন্দর সময় কাটিয়েছি। প্রয়াণ দিবসে নয়, সবসময় তাকে মনে পড়ে।

Comments

The Daily Star  | English
political reform in Bangladesh

Pathways to a new political order

The prospects for change are not without hope in Bangladesh.

10h ago