হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে
ভয়াবহ নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে পদ্মা নদী তীরবর্তী এলাকাগুলো। ইতোমধ্যে চরাঞ্চলের অনেক এলাকা বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনে শত বছরের বেশি পুরনো হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচের মাটি সরে যাচ্ছে। এতে ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছে এ রেল ব্রিজ।
তবে রেল বিভাগ জানিয়েছে, নদী ভাঙনের ফলে ব্রিজের গার্ডারের কাছ থেকে মাটি সরে গেলেও ব্রিজটি ঝুঁকিতে পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে রেল বিভাগ।
সরেজমিনে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পদ্মা নদী ভাঙতে ভাঙতে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ২ নম্বর গার্ডারের কাছে এসে পৌঁছেছে। ব্রিজের গার্ডারের পাশ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ব্রিজটি ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকার দোকানি ফজলুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ বছর পদ্মা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। গত বছর হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ৪ নম্বর গার্ডারের কাছে নদীর প্রবাহ থাকলেও এ বছর তা ভাঙতে ভাঙতে ২ নম্বর গার্ডারের কাছে এসে পৌঁছেছে। এভাবে নদী ভাঙন চলতে থাকলে খুব দ্রুতই নদী হার্ডিঞ্জ ব্রিজের গাইড ব্যাংকের কাছে এসে পৌঁছাবে। এতে ঝুঁকিতে পড়তে পারে এ ব্রিজটি।'
এ বিষয়ে রেলওয়ের ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহিম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হার্ডিঞ্জ ব্রিজের গার্ডারের কাছ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় দেখতে ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলেও আতঙ্কের কোনো কারণ নেই।'
'হার্ডিঞ্জ ব্রিজ যখন নির্মাণ করা হয় তখন প্রমত্তা পদ্মায় অনেক গভীর পাইলিং করে তা করা হয়েছে। সেসময় ব্রিজের সব গার্ডার পানিতে নিমজ্জিত ছিল। একসময় নদীর এক পাড়ে চর পড়ায় বেশ কয়েকটি গার্ডারের নিচে মাটি জমে, এখন আবার চরের এ অংশ নদীতে মিলিয়ে যাচ্ছে, এতে ব্রিজের কোনো ক্ষতি হবে না', যোগ করেন তিনি।
তিনি জানান, ২ পাড়ে গাইড ব্যাংক করে ব্রিজটিকে রক্ষা করা হচ্ছে। সেই গাইড ব্যাংকে ধস নামলে ব্রিজের ক্ষতি হবে।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ার আরও বলেন, 'ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।'
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সরওয়ার জাহান ফয়েজ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নদী ভাঙন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। পদ্মায় ভাঙন প্রতিরোধে গত বছর সারা এলাকায় বালির ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে। পানি কমলে আবারও ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করা হবে।'
Comments