ঘূর্ণিঝড় রিমাল: পটুয়াখালীতে আরও ২ জনের মৃত্যু

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পটুয়াখালীর চরাঞ্চল ৫-৭ ফুট প্লাবিট হয়েছে। ছবি: টিটু দাস/স্টার

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে পটুয়াখালীতে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

তারা হলেন-দুমকি উপজেলার জয়নাল আবেদীন হাওলাদার (৭০) ও বাউফল উপজেলার নাজিরপুর এলাকার আব্দুল করিম (৬৫)। 

এ নিয়ে গত দুই দিনে পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড়ে মোট ৩ জনের মৃত্যু হলো।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন দেবনাথ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

আজ সোমবার সকালে দুমকির নলদোয়ানি গ্রামে বাড়িতে গাছ চাপা পড়ে মারা যান।

অপরদিকে, বাউফলে দুপুর ১২টার দিকে ভারী বর্ষণের সময় শহরের হাসপাতাল সড়কের একটি পরিত্যক্ত টিনশেড ঘরে আশ্রয় নেওয়া আবদুল করিম ঘরে চাপা পড়ে মারা যান। 

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন দেবনাথ বলেন, 'ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বর্ষণে ঘরের উপর গাছ উপড়ে পড়লে বৃদ্ধ জয়নাল আবেদীন ঘটনাস্থলেই মারা যান।'

এর আগে, গতকাল দুপুরে কলাপাড়া উপজেলার কাউয়ার চর এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জোয়ারের পানিতে ভেসে গিয়ে এক যুবক মারা যান। জোয়ারের পানিতে আটকে যাওয়া ফুফুকে উদ্ধারের জন্য যাওয়ার সময় শরীফ তীব্র স্রোতে ভেসে গেলে ঘণ্টাখানেক পর তার মরদেহ ভেসে ওঠে। 

রোববার রাত থেকে পটুয়াখালীতে ঝড়ো বাতাস ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গতকাল থেকে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলা আবহাওয়া অফিস ১৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। 

আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী ডেইলি স্টারকে জানান, রাত ২টা ৪২ মিনিটে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ১১১ কিলোমিটার রেকর্ড করা হয়েছে।  

গতরাত থেকেই পটুয়াখালী জেলা শহর বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। শনিবার রাত থেকে উপজেলাগুলোতে বিদ্যুৎ নেই। মোবাইল নেটওয়ার্ক দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। 

জলোচ্ছ্বাসের কারণে পটুয়াখালী-গলাচিপা উপজেলা সড়কের সুহরি স্লুইসগেটের অ্যাপ্রোচ ভেঙে গিয়ে রাত থেকে সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলে ৫-৮ ফুট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে।

গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাসের ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসাইন ডেইলি স্টারকে জানান, বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়ে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। চর বাংলায় কোনো বেড়িবাঁধ না থাকায় ওই চরের প্রায় দুই হাজার বাসিন্দা চরম দুর্ভোগে আছেন। 

জোয়ারের পানিতে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা ২-৩ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধ ভেঙে বিভিন্ন উপজেলার অর্ধশত চর ও নিম্নাঞ্চল ৫-৭ ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। 

শতাধিক ঘেরের মাছ স্রোতে ভেসে গেছে বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন দেবনাথ। 

তিনি জানান, রাতে উপজেলাগুলোতে ৫৯ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের মধ্যে শুকনো খাবার ও রান্না করা খিচুড়ি বিতরণ  করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। 


 

Comments

The Daily Star  | English

Govt issues ordinance amending Anti-Terrorism Act

Activities of certain entities, and activities supporting them can now be banned

31m ago