বেইলি ব্রিজ দেবে যাওয়ায় রুমা-থানচি সড়কে যান চলাচল বন্ধ

ঝড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে গাছ ভেঙে পড়ায় প্রায় ১৫ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেলা সদর, থানচি ও রুমা উপজেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
ভারী বৃষ্টির কারণে বেইলি ব্রিজের নীচের মাটি সরে গেছে। এতে ব্রিজের একপাশের গাইড ওয়াল দেবে যাওয়ায় ব্রিজটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভারী বৃষ্টির কারণে বান্দরবানের মিলনছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির কাছে একটি বেইলি ব্রিজের গাইড ওয়াল দেবে যাওয়ায়  রুমা-থানচি সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ঝড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে গাছ ভেঙে পড়ায় প্রায় ১৫ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেলা সদর, থানচি ও রুমা উপজেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কও বন্ধ রয়েছে।

থানচি বাস মালিক সমিতির লাইনম্যান সাহাব উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভারী বৃষ্টির কারণে বেইলি ব্রিজের নীচের মাটি সরে গেছে। এতে ব্রিজের একপাশের গাইড ওয়াল দেবে যাওয়ায় ব্রিজটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে এ ব্রিজ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।'

মিলনছড়ি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ রবিন্দু চাকমা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভারী বৃষ্টির ফলে মিলনছড়ি ক্যাম্প ও লাইমিপাড়ার মাঝামাঝি বেইলি ব্রিজের দক্ষিণ পাশের একাংশ দেবে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।'

বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই সড়কের দায়িত্বে রয়েছে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন (১৯ ইসিবি)। আমরা ঘটনা শোনার পর তাদের জানিয়েছি।'

ইসিবি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, 'বৃষ্টি এখনো পুরোপুরি থামেনি। বৃষ্টির মধ্যে সংস্কার করলে আবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বৃষ্টি থেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজ শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন ইসিবি কর্মকর্তারা।'

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা আছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে জেলায় এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।'
 

Comments