বেড়েছে লোডশেডিং, ঢাকাতেও অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ নেই

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টায় সারা দেশে ১,২৫৩ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়েছে, যেটা বেড়ে শনিবার ভোর ৫টার দিকে দাঁড়িয়েছে ১,৮২৫ মেগাওয়াটে।
প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় আজ শনিবার দেশজুড়ে লোডশেডিং বেড়েছে। প্রভাব পড়েছে রাজধানী ঢাকাতেও।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টায় সারা দেশে ১,২৫৩ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়েছে, যেটা বেড়ে ভোর ৫টার দিকে দাঁড়িয়েছে ১,৮২৫ মেগাওয়াটে।

পিজিসিবি সূত্র জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব না যাওয়া পর্যন্ত সারা দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সাড়ে ৯ হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে সারা দেশে প্রায় অর্ধেকের বেশি সময় লোডশেডিং করতে হবে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবের আগ পর্যন্ত ১৬ হাজার থেকে সাড়ে ১৬ হাজার মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ১৩ হাজার থেকে ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছিল। ঢাকার বাইরে সারা দেশেই লোডশেডিং করা হচ্ছিল।

শনিবার সকাল থেকেও দেশজুড়ে লোডশেডিং হচ্ছে। শুক্রবার রাত ১১টা থেকে সমুদ্রে ভাসমান টার্মিনাল থেকে এলএনজি সরবরাহ বন্ধ থাকার কথা জানিয়েছিল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

ঢাকায় বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে দুটি সংস্থা নিয়োজিত। ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) জানিয়েছে, আজ সকাল ১০টার দিকে তাদের চাহিদার তুলনায় সরবরাহে ঘাটতি ছিল প্রায় সাড়ে ৩শ মেগাওয়াট।

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) জানিয়েছে, তাদেরও ঘাটতি প্রায় ৪৫০ মেগাওয়াটের। ফলে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে লোডশেডিং করা ছাড়া তাদের কোনো বিকল্প নেই।

ঢাকার মিরপুর, শ্যামলী, ফার্মগেট, বাংলামোটর, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় ভোর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২ থেকে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া গেছে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মুখপাত্র শামীম হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, যেহেতু গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ কম হচ্ছে, তাই মঙ্গলবার পর্যন্ত লোডশেডিং থাকবে।

এর আগে মন্ত্রণালয় জানায়, এর ফলে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা অঞ্চলে শনিবার গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হবে। ঝড়ের পরিস্থিতি বিবেচনা করে দ্রুত গ্যাস সরবরাহ করা হবে। চট্টগ্রাম, মেঘনাঘাট, হরিপুর এবং সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ বা আংশিক চালু থাকতে পারে।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাময়িক এই অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, 'অতিদ্রুত গ্যাস-বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হবে।'

Comments