কাপাসিয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় ঘেরাও, এজিএম অবরুদ্ধ

কাপাসিয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় ঘেরাও, এজিএম অবরুদ্ধ
লোড‌শে‌ডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ কাপাসিয়া আঞ্চলিক কার্যালয় ঘেরাও করেন এলাকাবাসী | ছবি: সংগৃহীত

লোড‌শে‌ডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ কাপাসিয়া আঞ্চলিক কার্যালয় ঘেরাও করেছে এলাকাবাসী।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে এলাকাবাসী কাপাসিয়া শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের পাশে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

দুপুরে সোয়া ২টা পর্যন্ত আঞ্চলিক কার্যালয়ের এজিএম রিফাত ভূঁইয়া অবরুদ্ধ ছিলেন। এর আগে গত সপ্তাহে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ হয়ে চার শতাধিক মানুষ বিক্ষোভ করেন।

কাপাসিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সঞ্জয় সাহা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে কিছু মানুষ বিক্ষোভ করছেন। ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছে।'

বিক্ষোভকারীরা বলেন, ঘনঘন লোড‌শে‌ডিং, দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকা, বিদ্যুৎ বিলের অস্থিতিশীলতা, বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারীদের দুর্ব্যবহারে তারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।

সূত্র জানিয়েছে, গতকাল বুধবার দুপুর থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১০ বার ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল।

বিক্ষোভকারীদের একজন স্থানীয় বাসিন্দা তারেক মিয়া। তিনি জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছে না কাপাসিয়ার মানুষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যুৎ অফিসের একজন কর্মচারী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'উপজেলায় কিছু কোম্পানি আছে যেখানে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ দিতে হচ্ছে। এতে আবাসিক সংযোগে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।'

গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রকৌশলী আনিছুর রহমান বলেন, 'আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।'

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ডিজিএম রুহল আমীন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতায় গ্রাহক চাহিদা ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সরবরাহ কমে যাওয়ায় কাপাসিয়া উপজেলায় সাত মেগাওয়াট সরবরাহ করতে হচ্ছে। এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে অফিস ঘেরাও করেছে। এজিএম অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। আমি দাপ্তরিক কাজে রাজেন্দ্রপুর এসেছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Rangpur mob violence victims’ families decry police inaction

Four arrested, some culprits have gone into hiding, local police say

53m ago