খুলনায় ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট, ১৪ জেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ
খুলনায় ব্যবসায়ীরা জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন, ট্যাংক-লরির ভাড়া বৃদ্ধিসহ ৩ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে খুলনার পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন এবং ১৪ জেলায় সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ ট্যাংক-লরি অনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতিসহ ৪টি সংগঠন এই ধর্মঘট পালন করছে।
বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ মুরাদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বর্তমানে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে আনুপাতিক হারে জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধি করতে হবে। তা নাহলে আমরা টিকে থাকতে পারবো না।'
'আমরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছি। এর ফলে খুলনার রাষ্ট্রয়ত্ত্ব ৩টি ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ এবং খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও বৃহত্তর ফরিদপুরের ৪ জেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে,' তিনি বলেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, গতকাল রাতে জ্বালানি তেলের মূল্য ৫ টাকা কমানো হয়েছে। সেইসঙ্গে জ্বালানি তেলের কমিশন লিটারে ১৩ পয়সা এবং ট্যাংক-লরি ভাড়া ৩ পয়সা কমানো হয়েছে। যার প্রতিবাদে আজ সকাল ৮টা থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছেন তারা।
জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোড়ল আব্দুস সোবাহান বলেন, 'ব্যবসা করার কোন পরিবেশ নেই। এখনই ৮ থেকে ৯টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নেওয়া লাগছে। আরও অনেকেই লাইসেন্স নিতে বলছেন। এতো লাইসেন্স কেন প্রয়োজন, কী কাজে লাগবে। এছাড়া তেলের কমিশন বাড়ানো এবং ট্যাংক-লরি ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছি আমরা। অথচ তেলের দাম যখন বাড়লো তখন কমিশন সেই পর্যায়ে বাড়ানো হয়নি। অথচ ৫ টাকা দাম কমানোর সঙ্গে কমিশন ও ট্যাংক-লরি ভাড়া কমানো হয়েছে। সরকারের নীতি নির্ধারক পর্যায় কী করছে, কী ভাবছে আমাদের বোধগম্য নয়।'
বাংলাদেশ ট্যাংক-লরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম কাবুল বলেন, '৩ দফা দাবি জানিয়ে আমরা কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমাদের দাবির বিষয়ে সুরহা হবে এমন কথা বলা হয়। অথচ রাতে দেখলাম কমিশন বাড়ানোর স্থানে উল্টো কমানো হয়েছে। সেইসঙ্গে ট্যাংক-লরি ভাড়া কমানো হয়েছে। সকালে খুলনার ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছে ব্যবসায়ীরা। অনির্দিষ্টকালে জন্য এই ধর্মঘট চলবে।'
তবে খুলনা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে পেট্রোল পাম্প থেকে জ্বালানি তেল বিক্রি চলছে।
Comments