খুলনা সিটি করপোরেশনের গাছ কাটার স্থানে অবস্থান কর্মসূচি

খুলনা সিটি করপোরেশনের গাছ কাটার স্থানে অবস্থান কর্মসূচি
ছবি: স্টার

সড়ক ডিভাইডারের ওপর থেকে খুলনা সিটি করপোরেশন কর্তৃক গাছ কাটার প্রতিবাদ জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ করেছে ১৪টি পরিবেশবাদী সংগঠন।

আজ রোববার গাছ কাটার স্থানে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশে উপস্থিত বক্তারা বলেন, যেখানে বিশ্বব্যাপী গাছ রক্ষার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে, সেখানে খুলনা সিটি করপোরেশন কীভাবে এই গাছ কাটতে পারে? এই গাছ কাটার পরও তাদের ভেতর কোনো অনুশোচনা নেই। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই পাঁচ কিলোমিটার পথের সব গাছ কেটে ফেলবে। এটা এখনই বন্ধ হওয়া দরকার। আমরা চাই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল বলেন, 'আমরা আর একটা গাছও কাটা দেখতে চাই না। আমরা চাইব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন সিটি করপোরেশ এলাকায় কোনো গাছ কাটার আগে খুবই বিবেচক হোক। বরং যেসব জায়গায় গাছ লাগানোর দরকার সেখানে আরও বেশি গাছ লাগাক তারা।'

তিনি আরও বলেন, 'উন্নয়নের সময় আমাদের পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। পরিবেশকে বাদ দিয়ে কোনো উন্নয়ন করা যাবে না। সৌন্দর্য বর্ধনের নামে, উন্নয়নের নামে গাছ কাটা হচ্ছে। গাছগুলো কেটে উন্নয়ন এটা কেমন উন্নয়ন? এই ডিভাইডারের ওপরে যতগুলো গাছ আছে, সবগুলো বাঁচিয়ে উন্নয়ন করুক, আমাদের কোনো আপত্তি নেই।'

পরিবর্তন খুলনার পরিচালক নাজমুল আজম ডেভিড বলেন, 'আমাদের দেশীয় প্রজাতির গাছ কেটে ঝোপঝাড় লাগানো হচ্ছে। এই গাছে কি পাখি বসতে পারবে? এই গাছ কি ছায়া দেবে?' 

পরিবেশ সুরক্ষা মঞ্চের সভাপতি কুদরত-ই খুদা অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।

অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশে অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন হিউম্যানিটি ওয়াচের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সেলিম, ছায়াবৃক্ষের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব আলম বাদশা, টিআইবির আঞ্চলিক সমন্বয়কারী আব্দুলা আল মামুন, আইআরভির মেরিনা জুথি, খুলনা উন্নয়ন ফোরামের মহাসচিব আসিফ ইকবাল, নাগরিক নেতা এস এম চন্দন।

খুলনা সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ মুজগুন্নী মহাসড়কের ডিভাইভারের ওপরে লাগানো ২৫টির বেশি বড় গাছসহ শতাধিক গাছ কেটে ফেলেছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Money laundering: NBR traces Tk 40,000cr in assets abroad

The National Board of Revenue has found assets worth nearly Tk 40,000 crore in five countries which it believes were bought with money laundered from Bangladesh, said the Chief Adviser’s Office yesterday.

2h ago