বৃষ্টির প্রবণতা কমবে শনিবার

তাপমাত্রা কমলেও ১২-১৪ ডিগ্রির মধ্যে থাকবে। শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা কম।
গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিপাত
স্টার ফাইল ফটো

দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার দিনে ও রাতে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। বিকেলের দিকে ঢাকার আকাশ মেঘলা ছিল এবং সন্ধ্যা থেকে থেমে থেমে হালকা বৃষ্টি হয়েছে।

বৃষ্টিপাতের এ প্রবণতা আগামীকাল শুক্রবারও চলবে এবং শনিবার সকালের পর থেকে ধীরে ধীরে কমে আসবে।

ঢাকার আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. আবুল কালাম মল্লিক আজ বৃহস্পতিবার রাতে দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি কমলেও, থেমে থেমে চলবে বৃষ্টি।'

'আগামীকাল শুক্রবারও থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হবে। তবে, শনিবার দুপুর থেকে বৃষ্টির প্রবণতা কমবে,' যোগ করেন তিনি।

বৃষ্টির কারণে ঠান্ডা বাড়বে কি না, জানতে চাইলে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, 'দুই-তিন দিন বৃষ্টির পর রোববার ও সোমবার তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তবে এরপরেই আবার তাপমাত্রা বেড়ে যাবে। এই ফেব্রুয়ারি মাসে শীতও থাকবে, গরমও থাকবে।'

'তাপমাত্রা কমলেও ১২-১৪ ডিগ্রির মধ্যে থাকবে। শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা কম। বিচ্ছিন্নভাবে হতে পারে। আর মার্চ মাসে গরম পড়ে যাবে,' বলেন তিনি। 

 

আজ সন্ধ্যা ৬টায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার খুলনা, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। 

এছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকায় আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তবে আজ মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন যোগাযোগে সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে।

এছাড়া, রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এছাড়া আজ সাতক্ষীরায় সর্বোচ্চ ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। 

Comments