সারাদেশে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট, চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৫

প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল পুরো দেশ। প্রখর রোদে পথচারী ও খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে যেন পানির জন্য হাহাকার। মাঝরাস্তায় পানির সরবরাহ পেয়ে সেখানেই প্রশান্তি খুঁজে নিচ্ছেন তারা। ছবি: এমরান হোসেন/স্টার

দেশে চলমান তাপপ্রবাহ আজ শুক্রবার থেকে আগামী সোমবার সকাল পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে জানিয়ে সারাদেশে ৭২ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের সই করা আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলে সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়।

এদিকে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, আজ চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

চু্য়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ সন্ধ্যা ৬টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা তিন দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়।  

চু্য়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রায় খুব বেশি পার্থক্য না থাকায় অতিষ্ঠ এ অঞ্চলের জনজীবন।

প্রচণ্ড তাপদাহে এ অঞ্চলের হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। অসহনীয় গরমে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছে না তারা।

তীব্র তাপদাহে জনসাধারণকে সচেতন করতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে পথচারী ও এলাকাবাসীকে সতর্ক করছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।

দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড এলাকার ভ্যানচালক মিজানুর রহমান বলেন, 'গত ১৫ দিন থেকে খুব তাপ পড়েছে। আজ যে তাপ, তাতে মনে হচ্চি যেনে সূর্য মাতার ওপর চলি এসিচে। গা-হাত পা জ্বালাপুড়া করচি। গা দিয়ি তরতর করি ঘাম ঝরচি।'

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত কয়েকদিন থেকে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এখনই এই এলাকায় বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।'

Comments

The Daily Star  | English

Digital dreams disconnected realities

In Ferighat, a remote corner of north-eastern district Sunamganj, stationery shop owner Md Sumon Mia fights a battle that millions of rural Bangladeshis face daily – the struggle for a reliable internet connection.

14h ago