চুয়াডাঙ্গায় আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি

কেউ কেউ ফুটপাতের পানীয়ও পান করছেন। ছবি: স্টার

দেশের পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। ফলে অব্যাহত রয়েছে মানুষের ভোগান্তিও।

আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়, যা চলতি বছর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে জেলা আবহাওয়া অফিস।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, চলতি বছর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস আজ দুপুরে চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে। এপ্রিলের শেষের কয়েকদিন এখানে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।'

চলতি বর্ষাপূর্ব মৌসুমের শুরু থেকেই চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া উষ্ণ ছিল। ধীরে ধীরে জেলাটিতে তাপপ্রবাহ তীব্র থেকে অতি তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে জনসাধারণের মাঝে অস্বস্তিও বেড়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন মানুষ। কেউ কেউ আবার ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়ও পান করছেন।

দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডের ইজিবাইকচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'কঠিন তাপ পড়চি। সূর্য মনে হচ্চি মাতার ওপর চলি এসিচে। আমরা গরিব মানুষ পেটের দায়ে বাইরি বের হয়িচি। মাজে মাজে রাস্তার পাশের দুকান থেকি শরবত খেয়ি ঠাণ্ডা হচ্চি।'

৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈজ্ঞানিক প্রমাণ ও জলবায়ু সংক্রান্ত রেকর্ড থেকে বোঝা যায়, গত কয়েক দশক ধরেই বাংলাদেশে উষ্ণতার মাত্রা ও এর স্থায়িত্ব বাড়ছে।

চলমান তাপপ্রবাহ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, বাংলাদেশে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় প্রকৃত তাপমাত্রার চেয়েও চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রার গরম অনুভূত হচ্ছে। যে কারণে সাধারণের অস্বস্তিও বেশি।

Comments

The Daily Star  | English

Rangpur mob violence victims’ families decry police inaction

Four arrested, some culprits have gone into hiding, local police say

53m ago