স্কুলেই করোনার প্রথম ডোজের টিকা পাবে বাদ পড়া শিশুরা

মাস্ক পরা ও টিকা নেওয়ার আহ্বান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

স্কুল পড়ুয়া ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী যেসব শিক্ষার্থী করোনার টিকার প্রথম ডোজ থেকে বাদ পড়েছে শিগগির তারা স্কুলেই টিকা পাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আজ রোববার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ভার্চুয়াল মিটিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

জাতীয় টিকা প্রয়োগ কমিটির সাবেক সদস্যসচিব ডা. মো. শামসুল হক গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা সব স্কুলগুলোতে টিকা দিয়েছি। কিছু শিক্ষার্থী বাদ পড়েছে। সেটা সারা ঢাকাতেই আছে। আমরা দুটি কেন্দ্র নির্ধারণ করেছি যাতে কেউ বিভ্রান্ত না হয়। স্কুলে যখন দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হবে, তখন যদি বাদ পড়া শিক্ষার্থী যায় তাকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হবে। যদিও আমাদের টার্গেট পূরণ হয়ে গেছে। ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকা পেয়ে গেছে। তারপরও আমরা কাউকে বাদ দিতে চাই না। কোনো শিক্ষার্থী বাকি থাকলে, প্রমাণ দেখলে আমরা তাকে টিকা দেবো।

তিনি আরও বলেন, শিগগির দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। স্কুল ছুটি থাকায় আমরা শুরু করতে পরিনি। হয়তো ১ জানুয়ারি থেকে এটা শুরু হয়ে যাবে। তখনই প্রথম ডোজের টিকা নিতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

চীনে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সবাই সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) অধ্যাপক আহমেদুল কবির বলেন, সারা বিশ্বে করোনা সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। চীনে শুধু ডিসেম্বরেই প্রায় ২৫ কোটি লোক আক্রান্ত হয়েছে। যে ভ্যারিয়েন্টটি চীনে এসেছে সেটি হলো বিএফ৭, যা বিএ৫ এর সাব-ভ্যারিয়েন্ট। এটাকে বলা হয়, আর-১৮। আগে ভ্যারিয়েন্ট ছিল আর-৪, অর্থাৎ একজন থেকে ৪ জনকে আক্রান্ত করতে পারতো। আর-১৮ একজন থেকে ১৮ জনকে আক্রান্ত করতে পারে। নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের ক্ষমতা ৪ গুণ বেশি।

তিনি আরও বলেন, এর উপসর্গ সম্পর্কে আমরা যেটা জানতে পেরেছি, ওমিক্রনের উপসর্গের সঙ্গে মিল আছে। ভারতেও ইতোমধ্যে এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রস্তুত আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের বন্দরগুলোতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের যেন স্ক্রিনিং করা হয়। এ ছাড়া, হাসপাতাল প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, সবাই যেন করোনার টিকার চতুর্থ ডোজ নেন।

চীন ও ভারতের সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্ত আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি একটি বড় বিষয়। সিভিল এভিয়েশনের সঙ্গে আমাদের কথা বলতে হবে। নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে আলাপ করতে হবে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তারপর আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিশ্বের কোথাও এখনো ফ্লাইট বন্ধ করা হয়নি।

করোনা নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি হওয়ায় গতকাল বৈঠক করে করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। তিনি বলেন, আমাদের মনে হয়েছে সরকার যথেষ্ট সচেতন। গতকাল মিটিংয়ে আমরা বলেছি, আমাদের সতর্ক হতে হবে কিন্তু আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা যে একদম ভুলে গেছি স্বাস্থ্যবিধির ব্যাপারে, জনগণকে মনে করিয়ে দেওয়া দরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক পরতে হবে, হাত ধোয়ার ব্যবস্থা চালু করতে হবে। বোঝা গেছে টিকা কার্যকর, অতএব সবার করোনার টিকা নেওয়া দরকার।

Comments

The Daily Star  | English

Project stalled amid bureaucratic hurdles

The construction of Jagannath University’s long-awaited second campus in Keraniganj has stalled due to bureaucratic delays.

1h ago