কুলাউড়ায় বাড়ছে চোখ ওঠা রোগী, ড্রপ সংকটে ভোগান্তি
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় দ্রুত গতিতে বাড়ছে চোখ ওঠা বা কনজাংকটিভাইটিস রোগীর সংখ্যা। রোগী বেড়ে যাওয়ায় ফার্মেসিগুলোতে দেখা দিয়েছে চোখের ড্রপের সংকট। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগীরা।
এদিকে অনেক ফার্মেসির মালিক-কর্মীরাও এ রোগে আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসাসেবায় ভোগান্তি বাড়ছে।
কর্মধা ইউনিয়নের বাসিন্দা সুলতান আহমদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার সন্তানের বয়স ২ বছর। ওর কনজাংকটিভাইটিস হলে চোখের ড্রপ কিনতে গিয়ে উপজেলার রবির বাজারের বেশ কয়েকটি ফার্মেসিতে খোঁজ করেছি। কিন্তু ড্রপ পাইনি।'
'এত চোখ ওঠা রোগী আগে কখনো দেখিনি। অনেক কষ্ট করে ওষুধ সংগ্রহ করতে হয়েছে,' বলেন তিনি।
সরেজমিনে কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শহর ও গ্রামের বেশ কয়েকটি ফার্মেসির কর্মীদের চোখ ওঠা রোগ হয়েছে। উপজেলার রবির বাজারের সবচেয়ে বড় ফার্মেসি 'কিউর ফার্মেসি'তে মিলছে না চোখের ড্রপ। বেশ কয়েকটি ফার্মেসি ঘুরেও ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা।
ফার্মেসি মালিকরা বলছেন, ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা ড্রপ সরবরাহ করতে পারছেন না।
রবির বাজারের সুপার ড্রাগস ফার্মেসির মালিক বাবুল আহমদ বলেন, 'হঠাৎ চোখ ওঠা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ড্রপের সংকট দেখা দিয়েছে। তবে কয়েক দিন গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।'
প্রতিদিনই কুলাউড়া চক্ষু হাসপাতালে রোগীদের ভিড় বাড়ছে। আক্রান্তদের অধিকাংশই শিশু। সুমন আহমদ নামে এক রোগী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হঠাৎ করে চোখ লাল হয়ে ফুলে গেছে। চোখে ঝাপসা দেখছি।'
তবে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার কথা বলছেন চিকিৎসকরা।
কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জাকির হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চিকিৎসা নিলে এ রোগ সেরে উঠবে। অনেক সময় ঔষধ ছাড়াও সেরে যায়। তবে জটিল রূপ ধারণ করলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।'
চোখ ওঠা রোগীরা বাইরে গেলে অবশ্যই কালো চশমা পরে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
Comments