হার্টের রিংয়ের দাম ৮৮ হাজার টাকা পর্যন্ত কমছে

যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি বড় কোম্পানির করোনারি স্টেন্টের (রিং) দাম পুনর্নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ফলে প্রতিটি স্টেন্টের দাম তিন থেকে ৮৮ হাজার টাকা পর্যন্ত কমছে। এতে কিছুটা স্বস্তি পাবেন হৃদরোগীরা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক নথি অনুযায়ী, অ্যাবট, বোস্টন সায়েন্টিফিক ও মেডট্রনিক কোম্পানির ১০ ধরনের স্টেন্টের দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, হাসপাতালগুলো স্টেন্টের ক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশের বেশি সার্ভিস চার্জ আদায় করতে পারবে না।
গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস) ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে (ডিজিডিএ) নতুন মূল্যের বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের একজন পরিচালক আজ চিঠিটি পাওয়ার বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, স্টেন্ট হলো ফ্লেক্সিবল টিউব, যা শিরায় স্থাপন করা হয় হৃদপিণ্ডে রক্তপ্রবাহ বাড়ানোর জন্য। স্টেন্ট হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমাতেও সাহায্য করে।
সর্বোচ্চ দাম কমানো হয়েছে অ্যাবটের 'সিনার্জি এক্সডি' স্টেন্টের ক্ষেত্রে, যার দাম এক লাখ ৮৮ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে এক লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, অ্যাবটের 'জায়েন্স এক্সপেডিশন' স্টেন্টের দাম ৭১ হাজার ৫০০ টাকাই থাকছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাকি নয় ধরনের স্টেন্টের দাম তিন থেকে সাড়ে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত কমানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, 'বিশেষজ্ঞ পরামর্শক কমিটির সুপারিশ, কর, ভ্যাট, বিভিন্ন চার্জ বা কমিশন এবং কোম্পানিগুলোর যুক্তিসংগত লাভের বিষয় বিবেচনা করে অ্যাবট, বোস্টন সায়েন্টিফিক ও মেডট্রনিক থেকে আমদানি করা করোনারি স্টেন্টের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য পুনঃনির্ধারণের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।'
এতে আরও বলা হয়েছে, এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে অনুমোদিত মূল্য তালিকা ব্যাপকভাবে প্রচার, হাসপাতালগুলো যেন স্টেন্টের ক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশের বেশি সার্ভিস চার্জ আদায় না করে তা নিশ্চিতকরণ এবং অনুমোদিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের বেশি দামে কোনো হৃদযন্ত্র বিক্রি না হয় তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Comments