দিল্লির মেয়র আম আদমির শেলি ওবেরয়

দিল্লির মেয়র হিসেবে আম আদমি পার্টির প্রার্থী শেলি ওবেরয়ের বিজয়ের মধ্য দিয়ে ভারতের রাজধানী শহর দিল্লির স্থানীয় জনপ্রতিনিধিত্বে বিজেপির ১৫ বছরের শাসনের অবসান হলো।
শেলি ওবেরয়। ছবি: এনডিটিভি থেকে নেওয়া

দিল্লির মেয়র হিসেবে আম আদমি পার্টির প্রার্থী শেলি ওবেরয়ের বিজয়ের মধ্য দিয়ে ভারতের রাজধানী শহর দিল্লির স্থানীয় জনপ্রতিনিধিত্বে বিজেপির ১৫ বছরের শাসনের অবসান হলো।

চলতি বছরেই পর পর ৩ বার ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনায় অবশেষে দেশটির রাজধানী দিল্লিতে মেয়র নির্বাচন হয়।

আজ বুধবার সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন অব দিল্লির (এমসিডি) সদর ভবনে আয়োজিত এই নির্বাচনে দিল্লির এমপি ও এমএলএরা ছাড়াও প্রায় ২০০ নির্বাচিত কাউন্সিলর ভোট দেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ২৬৬ ভোটের মধ্যে আম আদমি পার্টির প্রার্থী শেলি ওবেরয় পেয়েছেন ১৫০ ভোট এবং বিজেপির মেয়র প্রার্থী রেখা গুপ্তা পেয়েছেন ১১৬ ভোট।

নির্বাচিত হওয়ার পর শেলি ওবেরয় ডেপুটি মেয়র নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরুর আহ্বান জানান।

নির্বাচনে আম আদমি পার্টির ডেপুটি মেয়র প্রার্থী আলি মোহাম্মদ ইকবাল ও বিজেপির প্রার্থী কমল বাগরি।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া নব নির্বাচিত শেলি ওবেরয় ও দলের কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

কেজরিওয়াল বলেছেন, 'গুণ্ডারা পরাজিত হয়েছে। জনগণের বিজয় হয়েছে।'

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, ১০ মনোনীত ব্যক্তির ভোট দেওয়াকে ঘিরে আম আদমি পার্টি ও বিজেপির মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে গত ৬ ও ২৪ জানুয়ারি এবং গত ৬ ফেব্রুয়ারি দিল্লির মেয়র নির্বাচনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা ব্যর্থ হয়।

এরপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

গত ডিসেম্বরে দিল্লির মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনে ২৫০ ওয়ার্ডের মধ্যে আম আদমি পার্টি ১৩৪ ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়। এবার মেয়র পদটিও আম আদমি জয় করে নিল। এর মাধ্যমে দিল্লির স্থানীয় জনপ্রতিনিধিত্বে বিজেপির ১৫ বছরের শাসনের অবসান হলো।

Comments

The Daily Star  | English

Create right conditions for Rohingya repatriation: G7

Foreign ministers from the Group of Seven (G7) countries have stressed the need to create conditions for the voluntary, safe, dignified, and sustainable return of all Rohingya refugees and displaced persons to Myanmar

7h ago