তিব্বতে চীনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, চীনের এই জবরদস্তিমূলক নীতির মাধ্যমে তিব্বতের তরুণ প্রজন্মের মধ্য থেকে তদের স্বতন্ত্র ভাষাগত, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ছবি: সংগৃহীত

তিব্বতের ১০ লাখের বেশি শিশুকে সরকার পরিচালিত আবাসিক স্কুলে যেতে বাধ্য করার সঙ্গে জড়িত চীনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর আজ মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, চীনের এই জবরদস্তিমূলক নীতির মাধ্যমে তিব্বতের তরুণ প্রজন্মের মধ্য থেকে তদের স্বতন্ত্র ভাষাগত, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের ২১২ (এ)(৩)(সি) ধারা অনুযায়ী চীনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর।

ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণার সঙ্গে তিব্বত ও চীনের অন্যান্য অংশে এ ধরনের জবরদস্তিমূলক নীতি পরিহারের জন্যও বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

যুক্ত্ররাষ্ট্র আরও বলেছে, তারা তাদের মিত্র এবং অংশীদারদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কাজ চালিয়ে যাবে।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে তিব্বতের শিশুদের আবাসিক স্কুলে জোর করে পাঠানোর বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল জাতিসংঘের তিন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ। রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ১০ লাখের বেশি তিব্বতি শিশুকে পরিবারের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে আবাসিক স্কুলে পাঠানো হয়েছে। তিব্বতি শিশুদের জন্য বাধ্যতামূলক আবাসিক স্কুলের ব্যবস্থা প্রকৃতপক্ষে দেশটির সংখ্যাগুরু হানদের সংস্কৃতি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। এটা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নিয়মের পরিপন্থী।

তবে চীন সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করে তখন বলেছিল, চীনের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এটি আরেকটি অপচেষ্টা মাত্র। স্থানীয় শিক্ষার্থীদের চাহিদা মেটাতে চীনের বিভিন্ন প্রদেশ ও অঞ্চলে এমন আবাসিক স্কুল আছে, ঠিক যেমনটি সারা বিশ্বেই দেখা যায়।

Comments