‘কাল বিজেপি সদর দপ্তরে যাব, তখন চাইলে সবাইকে গ্রেপ্তার করতে পারবে’

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

স্বাতী মালিওয়াল মামলা নিয়ে নিজের প্রথম প্রতিক্রিয়ায় ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তার দলের নেতাদের একে একে তুলে নিয়ে গ্রেপ্তারের অভিযোগ করেছেন।

এনডিটিভি জানায়, কেজরিওয়ালের অভিযোগ, বিজেপি সরকারের সর্বশেষ লক্ষ্যবস্তু তার ব্যক্তিগত সহকারী বৈভব কুমার। 

শনিবার হিন্দিতে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় কেজরিওয়াল বলেন, 'আপনারা দেখেছেন তারা কীভাবে আম আদমি পার্টির পেছনে লেগেছে। একেরপর এক তারা আমাদের নেতাদের জেলে পুরছে। তারা আমাকে, (সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী) মণীশ সিসোদিয়াকে, (সাবেক মন্ত্রী) সত্যেন্দ্র জৈনকে ও (রাজ্যসভা সদস্য) সঞ্জয় সিংকে জেলে নিয়েছে। আজ তারা আমার ব্যক্তিগত সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।'

তিনি বলেন, 'আম আদমি পার্টিকে গুঁড়িয়ে দেওয়া যাবে না। রোববার দুপুরে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে দিল্লির বিজেপি সদর দপ্তরে যাব। তখন শাসক দল চাইলে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে গ্রেপ্তার করতে পারবে।'

আম আদমি পার্টির (আপ) রাজ্যসভার সংসদ সদস্য স্বাতী মালিওয়াল কেজরিওয়ালের ব্যক্তিগত সচিব বৈভব কুমারের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে এফআইআর দায়ের করেছেন। এরপর বৈভবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

লোকসভা নির্বাচনের আগে এ ঘটনায় উত্তাল ভারতের রাজনীতি। কেজরিওয়ালের বাড়ির সামনে বিজেপি বিক্ষোভ করে এ ঘটনায় তার নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।

দেড় মাসেরও বেশি সময় জেলে থাকার পর গত ১০ মে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান কেজরিওয়াল। আগামী ১ জুন লোকসভা নির্বাচন শেষ হলে পরের দিনই তাকে তিহার জেলে ফেরত যেতে হবে। এর মধ্যেই নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। 

পাকিস্তানের প্রভাবশালী ইংরেজি পত্রিকা ডন জানায়, গতকাল ভারতের পাঞ্জাবে নির্বাচনী প্রচারণার ভাষণে কেজরিওয়াল বলেছেন, রাশিয়ার পুতিন, বাংলাদেশের শেখ হাসিনা ও পাকিস্তানের মতো নির্বাচন করে নরেন্দ্র মোদি ভারতের ক্ষমতায় থাকতে চান।

 

Comments

The Daily Star  | English

Govt to expedite hiring of 40,000 for public sector

The government has decided to expedite the recruitment of 6,000 doctors, 30,000 assistant primary teachers, and 3,500 nurses to urgently address the rising number of vacancies in key public sector positions.

8h ago