অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের ছাদে উঠে ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের ছাদে বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলবিরোধী ব্যানার ঝুলিয়ে দেন। ছবি: রয়টার্স
অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের ছাদে বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলবিরোধী ব্যানার ঝুলিয়ে দেন। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় অবস্থিত পার্লামেন্ট ভবনের ছাদে উঠে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে ডয়চে ভেলে।

বিক্ষোভকারীর সঙ্গে ছিল একটি ব্যানার। সেখানে লেখা, 'নদী হোক বা সমুদ্র, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা একমাত্র চাহিদা।'

এদিন চারজন বিক্ষোভকারী অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের ছাদে উঠে পড়েন। এই ঘটনায় পার্লামেন্ট ভবনে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। পার্লামেন্ট সদস্যরা পরবর্তীতে এ ঘটনার প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন।

এই চার বিক্ষোভকারী প্রায় এক ঘণ্টা পার্লামেন্টের ছাদে ছিলেন। তাদের একজনের হাতে ছিল একটি মেগাফোন। সেখান থেকে ফিলিস্তিনের পক্ষে এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বক্তৃতা করছিলেন তিনি।

এই ঘটনার জেরে পার্লামেন্টের বিরোধীপক্ষ প্রশ্ন তুলেছে, 'কীভাবে সমস্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা ভেঙে এভাবে ছাদে উঠে গেলেন বিক্ষোভকারীরা? পার্লামেন্ট ভবনে কড়া নিরাপত্তা থাকার কথা।'

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ফিলিস্তিন প্রশ্নে অস্ট্রেলিয়ার এক সিনেটরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী। তিনি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে নিজের সমর্থনের কথা জানিয়েছিলেন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে এক হাজার ১৭০ জন নিহত হন। জিম্মি হন প্রায় ২৫০ জন।

এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সেদিনই গাজায় নজিরবিহীন ও নির্বিচার বিমানহামলা শুরু করে ইসরায়েল। পরবর্তীতে স্থলবাহিনীও এতে যোগ দেয়। গত ৭ মাসে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা অন্তত ৩৭ হাজার ৯২৫। আহতের সংখ্যা অন্তত ৮৭ হাজার ১৪১। হতাহতের মধ্যে ১৫ হাজারেরও বেশি শিশু।

Comments

The Daily Star  | English

Why Dhaka has become unliveable

To survive Dhaka, you need a strategy. Start by embracing the absurd: treat every crisis as a plot twist.

12h ago