পদত্যাগ করে দিল্লিতে আগাম নির্বাচনের দাবি জানাবেন কেজরিওয়াল

জামিনে মুক্তি পেয়ে ভক্তদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখছেন কেজরিওয়াল। ছবি: এএফপি (১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪)
জামিনে মুক্তি পেয়ে ভক্তদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখছেন কেজরিওয়াল। ছবি: এএফপি (১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪)

প্রায় ছয় মাস কারাবন্দী থাকার পর দুই দিন আগেই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আজ জানালেন, কয়েকদিন বাদেই পদত্যাগ করবেন আর দিল্লির আগাম নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানাবেন।

এই উদ্যোগের পেছনে কারণ হিসেবে জানালেন অদ্ভুত এক কথা। সাধারণ জনগণ তাকে 'সততার সনদ' না দেওয়া পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে আর বসবেন না তিনি।

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তিহার কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান কেজরিওয়াল। আবগারি নীতিমালা সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে দেশটির আর্থিক দুর্নীতি দমনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডেভেলপমেন্ট (ইডি)।

'মানুষ যখন বলবে আমরা সৎ, তখন আমি মুখ্যমন্ত্রী আর (মনীশ) সিসোদিয়া উপ-মুখ্যমন্ত্রী হবেন', যোগ করেন তিনি।

নির্বাচনী প্রচারণায় কেজরিওয়াল। ফাইল ছবি: এএফপি
নির্বাচনী প্রচারণায় কেজরিওয়াল। ফাইল ছবি: এএফপি

তিনি আরও বলেন, ' (২০২৫ সালের) ফেব্রুয়ারিতে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা, কিন্তু আমি চাইবো জাতীয় রাজধানীর ও মহারাষ্ট্রের নির্বাচন যেন একইসঙ্গে (২০২৪ সালের) নভেম্বরে আয়োজন করা হয়য়।'

তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি তাকে দুর্নীতিগ্রস্থ বলে প্রমাণ করার চেষ্টা চালিয়েছিল, কিন্তু আদতে বিজেপি দুর্নীতিতে নিমজ্জিত এবং এ কারণেই তারা মানুষকে ভালো স্কুল আর বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারছে না।

'আমরা সৎ', যোগ করেন কেজরিওয়াল।

তিনি বলেন, 'যেসব মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির নন, তাদের বিরুদ্ধে তারা মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যদি এমন কেউ গ্রেপ্তার হন, আমার অনুরোধ, পদত্যাগ করবেন না। প্রয়োজনে কারাগারে বসেই সরকার চালাবেন।'

'(আবগারি শুল্ক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েও) আমি পদত্যাগ করিনি, কারণ আমি গণতন্ত্রের প্রতি সম্মান জানাই এবং আমার কাছে সংবিধান সব কিছুর ঊর্ধ্বে', মন্তব্য করেন কেজরিওয়াল। তিনি আরও দাবি করেন, একমাত্র আম আদমি পার্টিই বিজেপির 'ষড়যন্ত্রের' বিরুদ্ধে টিকে থাকতে সক্ষম।

তিনি আশংকা প্রকাশ করেন, আবগারি শুল্ক মামলার কার্যক্রম দীর্ঘদিন চলবে। এ কারণে তিনি দিল্লির মানুষের কাছে জানতে চাইছেন, তিনি সৎ না দোষী।

তিনি দিল্লির জনগণের উদ্দেশে বলেন, আপনারা যদি আমাকে সৎ মনে করেন, শুধু তাহলেই ভোট দেবেন। 'আমার কাছে বিজেপি গুরুত্বপূর্ণ নয়। মানুষ গুরুত্বপূর্ণ', যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
Unhealthy election controversy must be resolved

Unhealthy election controversy must be resolved

Just as the fundamental reforms are necessary for the country, so is an elected government.

12h ago