হামাস নেতা সিনওয়ারের মৃত্যুর তথ্য খতিয়ে দেখছে ইসরায়েল

রহস্যময় হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ছবি: এএফপি
রহস্যময় হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ছবি: এএফপি

হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ে ইরানে নিহত হওয়ার পর তার স্থলাভিষিক্ত হন অভিজ্ঞ হামাস কর্মকর্তা ইয়াহিয়া সিনওয়ার। তবে দায়িত্বে গ্রহণ করলেও বেশ কিছুদিন ধরে 'নিশ্চুপ' সিনওয়ার। তিনি আদৌ জীবিত আছেন কি না, সেটা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।

আজ সোমবার পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, সিনওয়ারের মৃত্যু হয়েছে কী না, সে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে ইসরায়েল। 

দীর্ঘ সময় ধরে লোকচক্ষুর অন্তরালে আছেন সিনওয়ার। এমন কী, কোনো বিবৃতিও দেননি তিনি। গাজায় যুদ্ধবিরতির কোনো আলোচনায় সাম্প্রতিক সময়ে যোগ দেননি তিনি। সব মিলিয়ে, তাকে ঘিরে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর যুক্তি 'সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সিনওয়ারের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করতে পারেনি। যার ফল তার সম্ভাব্য মৃত্যু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'

ইসরায়েলি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, গাজায় আইডিএফের সাম্প্রতিক কোনো একটি হামলায় নিহত হয়েছেন হামাস নেতা সিনওয়ার। এমনটাই বিশ্বাস করছে দেশটির সেনাবাহিনী।

তবে টাইমস অব ইসরায়েল বলেছে, এটি অবাস্তব ও জল্পনা কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। এর পেছনে কোনো অকাট্য প্রমাণ নেই। দেশটির গোয়েন্দাবাহিনী শিন বেটের বিশ্বাস, সিনওয়ার জীবিত আছেন।

ইসরায়েলি সংবাদপত্রগুলো বলছে, 'সিনওয়ার কি স্বেচ্ছায় গা-ঢাকা দিয়েছেন না প্রাণ হারিয়েছেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতেই তদন্ত চালানো হচ্ছে।'

এর মাঝে গত সোমবার সিনওয়ারের নামসম্বলিত একটি চিঠি ইয়েমেনি মিত্রদের কাছে এসে পৌঁছায়।

এই চিঠিতে বলা হয়, 'ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার বলেছেন, ইরান-সমর্থিত আঞ্চলিক মিত্রদের সহায়তায় আরও প্রায় এক বছর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার উপকরণ হামাসের কাছে আছে।'

ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে হামাসপ্রধান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গাজার ভেতর এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলে ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো ১১ মাসের বেশি চলা যুদ্ধ শেষে শত্রুপক্ষের রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা ভেঙে দেবে।

সিনওয়ার বলেন, 'আপনাদের (হুতি) এবং লেবানন ও ইরাকের গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এই শত্রুকে বিনাশ করবে এবং তাদের পরাজয় নিশ্চিত করবে।'

তবে আদতে এই চিঠি সিনওয়ার পাঠিয়েছেন কি না, বা পাঠালেও সেটা কবে, তা জানার কোনো উপায় নেই। 

Comments

The Daily Star  | English
Rohingyas hurt in clash in Teknaf

Bangladesh-Myanmar border: Landmine-related injuries on the rise

Having lost her right leg in a landmine explosion, Nur Kaida, a 23-year-old Rohingya woman, now feels helpless at a refugee camp in Teknaf.

11h ago