রুশ জাহাজ থেকে কৃষ্ণসাগরে তেল ছড়াচ্ছে, পরিবেশগত বিপর্যয়ের আশঙ্কা

স্বেচ্ছাসেবকরা সমুদ্রতীর থেকে তেল সরানোর কাজ করছেন। ফাইল ছবি: রয়টার্স
স্বেচ্ছাসেবকরা সমুদ্রতীর থেকে তেল সরানোর কাজ করছেন। ফাইল ছবি: রয়টার্স

রাশিয়া জানিয়েছে, দুইটি তেলবাহী ট্যাংকার মাঝ সমুদ্রে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। দুইটি জাহাজ থেকেই বিপুল পরিমাণ তেল বের হচ্ছে এবং তা কৃষ্ণসাগরে ছড়িয়ে পড়ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রুশ প্রশাসন জানিয়েছে, অধিকৃত ক্রিমিয়ার উপকূলে পৌঁছে গেছে সেই তেল।

ভলগনেফ্ট ২১২ এবং ভলগনেফ্ট ২৩৯ নামের দুই ট্যাংকার থেকে তেল বেরিয়ে আসছে।

সব মিলিয়ে নয় হাজার ২০০ টন তেল আছে জাহাজ দুইটিতে। গত মাসে সমুদ্রে ঝড়ের মুখে পড়ে জাহাজগুলো বিকল হয়ে যায়।

ভলগনেফ্ট ২৩৯ ট্যাংকারের ডেকের ছবি। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ভলগনেফ্ট ২৩৯ ট্যাংকারের ডেকের ছবি। ফাইল ছবি: রয়টার্স

দুইটি জাহাজই অনেক পুরনো। এমনটাই জানিয়েছে রুশ প্রশাসন।

এখন পর্যন্ত বিকল জাহাজ থেকে অন্য জাহাজে তেল স্থানান্তর করা যায়নি। যার ফলে বিপুল পরিমাণ তেল সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়ছে। এর ফলে বড়সড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, একটি বড় স্বেচ্ছাসেবক দলকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। কীভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়, তা তারা পর্যালোচনা করে দেখবে। সমুদ্র থেকে তেল পরিষ্কার না করলে বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

১০ হাজারেরও বেশি মানুষ জলজ প্রাণীদের উদ্ধারের কাজে নেমেছেন বলে রুশ গণমাধ্যম জানিয়েছে। পরিষ্কার করার চেষ্টা হচ্ছে বালুও।

ইতোমধ্যে ৭৩ হাজার টন বালু সমুদ্র সৈকত থেকে তুলে ফেলা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। প্রায় দুই লাখ টন বালুতে তেল মিশে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইউক্রেনের অভিযোগ, একুশ শতকে কৃষ্ণ সাগরে এত বড় বিপর্যয় ঘটেনি। রাশিয়া এখনো পুরনো জাহাজ ব্যবহার করছে বলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তারা অভিযোগ করেছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Made with US cotton? Pay less at US customs

US customs will apply a tariff rate only to the non-American portion of a product's value

10h ago