তিব্বতে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬

তিব্বতে ভূমিকম্প পরবর্তী দৃশ্য। ছবি: রয়টার্স
তিব্বতে ভূমিকম্প পরবর্তী দৃশ্য। ছবি: রয়টার্স

তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬ হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ১৮৮ জন। এখন পর্যন্ত চারশ মানুষকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

চীনের সরকারি সংবাদ সংস্থা সিসিটিভি জানিয়েছে, এত শক্তিশালী ভূমিকম্প তিব্বতে সাম্প্রতিক সময়ে হয়নি। এভারেস্টের ৮০ কিলোমিটার দূরে টিংরিতে ছিল এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র।

ভূমিকম্পের পর ৩০ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

চারশ মানুষ উদ্ধার

ভূমিকম্পের পর বেশ কয়েকবার পরাঘাতও (আফটারশক) হয়। প্রচুর বাড়ি ভেঙে পড়ে যায়। ভেঙে পড়া বাড়ির তলায় প্রচুর মানুষ চাপা পড়েন। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া চারশ মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।

তিব্বতে এমনিতেই প্রবল ঠান্ডা। তার ওপর রাতে তাপমাত্রা শূন্যের ১৬ ডিগ্রি নিচে নেমে যায়। ফলে যারা চাপা পড়েছিলেন বা আছেন তাদের হাইপোথার্মিয়া ও ডিহাইড্রেশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

এই পরিস্থিতিতে সারা রাত ধরে মানুষকে উদ্ধারের কাজ চলেছে।

তিব্বতে ভূমিকম্প পরবর্তী দৃশ্য। ছবি: রয়টার্স
তিব্বতে ভূমিকম্প পরবর্তী দৃশ্য। ছবি: রয়টার্স

সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, উদ্ধারকারীরা ভেঙে পড়া বাড়িতে মানুষের খোঁজ করছেন। তারা স্থানীয় মানুষকে মোটা কম্বল দিচ্ছেন। বিপজ্জনক বাড়িগুলো ভেঙে ফেলা হচ্ছে।

টিংরিতে একটি সুপারমার্কেটের মালিক সাংঘজি ডাংরি বার্তাসংস্থা এএফপিকে ফোনে বলেছেন, 'প্রচুর বাড়ি ভেঙে পড়েছে। এখানে ভূমিকম্পের কথা মাথায় রেখে মাটি দিয়ে বাড়ি বানানো হয়। ফলে ভুমিকম্প হলে তা ভেঙে পড়ে।'

তিনি জানিয়েছেন, 'বারবার অ্যাম্বুলেন্স এসে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে।'

ধ্বংসের বিস্তারিত

প্রাথমিক সমীক্ষা অনুসারে তিন হাজার ৬০৯টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। সেখানে পাঁচশরও বেশি উদ্ধারকারী ও ১২৬টি অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকায় তাবু, খাবার, ইলেকট্রিক জেনারেটর পৌঁছে গেছে। ত্রাণ ও পুনর্বাসনের স্বার্থে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা খুলে দেয়া হয়েছে বলে সিসিটিভি জানিয়েছে।

ভূমিকম্প-প্রবণ এলাকা

দক্ষিণপশ্চিম চীন, নেপাল ও উত্তর ভারত ভূমিকম্প-প্রবণ এলাকা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। কারণ, ইন্ডিয়ান ও টেকটোনিক প্লেটের ধাক্কায় এখানে ভূমিকম্প হয়। অতীতে এই ধাক্কার ফলেই তিব্বত তৈরি হয়েছিল। চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্কস সেন্টার জানিয়েছে, মঙ্গলবারের ভূমিকম্পের পর পাঁচশটিরও বেশি আফটারশক হয়েছে। তার পরিমাপ ছিল চার দশমিক চার বা তার কাছাকাছি।

এপি, এএফপি, রয়টার্স

 

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh tops sea arrivals to Italy

The number of Bangladeshis crossing the perilous Mediterranean Sea to reach Italy has doubled in the first two months this year in comparison with the same period last year.

6h ago