১ হাজার অত্যাধুনিক ড্রোন হাতে পেয়েছে ইরানের বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী

ইরানের ১ হাজার নতুন ড্রোনের প্রচারণামূলক ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট। ছবি: সংগৃহীত
ইরানের ১ হাজার নতুন ড্রোনের প্রচারণামূলক ভিডিও থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট। ছবি: সংগৃহীত

ইরানের সেনাবাহিনীর উচ্চপ্রশিক্ষিত ও 'অভিজাত' দল বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী (আইআরজিসি) এক হাজার নতুন ড্রোন হাতে পেয়েছে।

আজ সোমবার ড্রোন পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম তাসনিম।

তাসনিমের বরাত দিয়ে জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, আগামী দিনগুলোতে 'চিরশত্রু' ইসরায়েল ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন নতুন মার্কিন প্রশাসনের কাছ থেকে বাড়তি চাপের মোকাবিলায় এই ড্রোনের ব্যবস্থা করেছে আইআরজিসি।

তেহরানে ইসরায়েল বিরোধী ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শনী। ফাইল ছবি: রয়টার্স
তেহরানে ইসরায়েল বিরোধী ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শনী। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ড্রোনগুলোকে ইরানের বিভিন্ন অংশে ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। এগুলোতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এই ড্রোনের অনন্য ফিচার হলো দুই হাজারেরও বেশি পাল্লা, উচ্চ পর্যায়ের ধ্বংসাত্মক সক্ষমতা, রাডার ফাঁকি দিয়ে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে অকার্যকর করা এবং নিজে উড়ে গিয়ে লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারার সক্ষমতা।

তাসনিমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এই ড্রোন যুক্ত হওয়ায় আইআরজিসির নজরদারী ও গোয়েন্দাগিরির সক্ষমতা বেড়েছে। পাশপাশি, সেনাবাহিনী দূরবর্তী লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন হামলা চালানোর ক্ষেত্রেও বাড়তি সুবিধা পাবে।

প্রতিবেদন মতে, এই ড্রোনগুলো ইরানেই উৎপাদন করা হয়েছে। এতে কাজ করেছেন সামরিক বাহিনীর সদস্য, বিজ্ঞানী ও 'উদ্ভাবক'।  

গত সপ্তাহে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন একটি আত্মঘাতি ড্রোন উন্মোচন করেছে। এর নাম দ্য রাজওয়ান।

এর আগে, এ মাসের শুরু থেকে দুই মাস ব্যাপী সামরিক মহড়া শুরু করেছে ইরান।

এই মহড়ার অংশ হিসেবে নাতাঞ্জ এলাকায় দেশটির গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাকে ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন হামলার বিরুদ্ধে সুরক্ষিত রাখার মহড়া চালিয়েছে বাহিনীর সদস্যরা।

সামরিক মহড়া ও ভূগর্ভস্থ 'ক্ষেপণাস্ত্র শহর'

আইআরজিসির কমান্ডার-ইন-চিফ মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি ও আইআরজিসির বিমানবাহিনীর কমান্ডার আমির আলি হাজিযাদেহকে ইরানের একটি গোপন অবস্থানে দেখা যাচ্ছে। ছবি: এএফপি
আইআরজিসির কমান্ডার-ইন-চিফ মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি ও আইআরজিসির বিমানবাহিনীর কমান্ডার আমির আলি হাজিযাদেহকে ইরানের একটি গোপন অবস্থানে দেখা যাচ্ছে। ছবি: এএফপি

ইরানের সামরিক বাহিনী বলছে, তারা এই মহড়ায় নতুন ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। তারা একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে, যেখানে গার্ডস কমান্ডার-ইন-চিফ মেজর জেনারেল হোসেইন সালামিকে একটি নতুন, ভূগর্ভস্থ 'ক্ষেপণাস্ত্র শহর' পরিদর্শন করতে দেখা গেছে।

রাষ্ট্রীয় টিভিতে প্রচারিত এক বক্তব্যে সালামি সতর্ক করেন, ইরানের শত্রুদের মধ্যে 'আনন্দের অনুভূতি দেখা দিলেও তা মিথ্যা'।

তিনি বলেন, ইরান এবং সুনির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, দেশটির ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে।

ইরানের শত্রুদের সতর্ক করলেন মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি

তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে একটি চুক্তি সম্পন্ন করেন, যার আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের আরোপ করা অর্থনৈতিক বিধিনিষেধ শিথিলের বিনিময়ে ইরান ইউরেনিয়াম পরিশোধন কার্যক্রম সীমিত করতে সম্মত হয়। এই প্রক্রিয়ায় পরমাণু অস্ত্র তৈরির উপকরণ তৈরি করা সম্ভব। তবে ২০১৮ সালে ট্রাম্প এই চুক্তি থেকে সরে আসেন।

Comments

The Daily Star  | English

Once a lifeline, Labondaho now a curse

Abdul Aziz once harvested rice in abundance from his fields next to Labondaho, once a picturesque river located in Indrapur, Gazipur’s Sreepur. Today, he stands on cracked earth, nursing losses and lamenting poisoned waters.

14h ago