দিল্লির ভোট: কেজরিওয়ালের হ্যাট্রিক বনাম বিজেপির ফিরে আসার লড়াই

অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও নরেন্দ্র মোদি। কোলাজ ছবি: সংগৃহীত
অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও নরেন্দ্র মোদি। কোলাজ ছবি: সংগৃহীত

ভারতের দিল্লি বিধানসভার ভোট শুরু হয়েছে। ৭০ আসনবিশিষ্ট বিধানসভার ভোট হবে এক দিনেই।

আগামী শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বোঝা যাবে, টানা তৃতীয়বারের মতো দিল্লির দায়িত্বে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি আসবে, নাকি দীর্ঘ অপেক্ষার পর দিল্লির ক্ষমতায় ফিরবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপি।

আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি

গত এক দশকের বেশিরভাগ সময় বিকল্প ধারার নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তার দল দিল্লির ৩ কোটি মানুষের শাসকের ভূমিকায় রয়েছে।

দুর্নীতিবিরোধী নেতা হিসেবে পরিচিতি পেয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আসন পান কেজরিওয়াল। ক্ষমতা গ্রহণের পর তার জনপ্রিয়তা বেড়েছে দ্রুত গতিতে।

ধারণা করা হয়, ভারতে তুমুল জনপ্রিয় নেতা মোদির সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বীদের অন্যতম কেজরিওয়াল।

রাজধানীর লাখো দরিদ্র বাসিন্দার জন্য বিনা মূল্যে পানি ও বিদ্যুৎ সেবা দিয়ে বিশেষ প্রশংসা কুড়িয়েছেন কেজরিওয়াল।

তবে গত বছর বেশ কয়েক মাস কারাবন্দী ছিলেন এই নেতা। তার দল মদ বিক্রির লাইসেন্স দেওয়ার বিনিময়ে ঘুষ গ্রহণ করেছে—এই অভিযোগে কেজরিওয়াল ও আম আদমি পার্টির বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জামিন পান এই নেতা।

নির্বাচনে সুবিধা পেতে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে দুর্নীতিকেই হাতিয়ার করেছে বিজেপি। প্রায় প্রতিটি প্রচারণা, সমাবেশে দলটির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগগুলো ফলাও করে প্রচার করে মোদির দল। মোদি নিজেই বেশ কয়েকটি সমাবেশে নেতৃত্ব দেন। 

ওই মামলায় গত বছরের একটা বড় সময় কেজরিওয়ালকে কারাগারে থাকতে হয়েছে। তারই সঙ্গে কারাবন্দী ছিলেন সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন ও সংসদ সদস্য সঞ্জয় সিং।

তবে প্রত্যেকেই এখন জামিনে মুক্ত।

কেজরিওয়াল তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, এসব অভিযোগ রাজনৈতিক মদদপুষ্ট এবং মোদি সরকার 'আলেয়ার পিছে ছুটছে'। বিরল হলেও তৃতীয় মেয়াদে দিল্লির নির্বাচনে জেতার বিষয়ে আশাবাদ ও আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন তিনি।

ভোট গ্রহণ ও গণনা শেষে শনিবার ফল ঘোষণা করা হবে।

আম আদমি পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রী পদের বিবেচনায় নাও থাকতে পারেন।

সুপ্রিম কোর্ট তাকে জামিন দিলেও কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক ফাইলে সাক্ষর দেওয়া বা নিজ কার্যালয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। যার ফলে মুক্তি পাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।

তখন তিনি বলেছিলেন, দিল্লির মানুষ তাকে 'সততার সনদ' দিলে তিনি আবারও নির্বাচনে জিতে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নেবেন।

পদত্যাগের পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেন দলের সহকর্মী ও সতীর্থ অতিশি সিং (নিজেকে অতিশি নামেই পরিচয় দেন তিনি)। অতিশি জানান, কেজরিওয়ালের মুখ্যমন্ত্রী হতে কোনো আইনি বাধা নেই।

'আইনত, এটা খুবই স্পষ্ট যে যদি কারো নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা না থাকে, তাহলে তিনি সেই নির্বাচনে জয়লাভ করলে মুখ্যমন্ত্রীর পদও গ্রহণ করতে পারবেন', যোগ করেন অতিশি।

Comments

The Daily Star  | English

Power supply halt: DEPZ factories resume production via alternative lines

At least 90 factories were declared closed after United Power had stopped power supply to the factories yesterday

40m ago