প্রয়োজনে ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন করতে প্রস্তুত: কিয়ার স্টারমার

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার জানিয়েছেন, তিনি প্রয়োজনে ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন করতে প্রস্তুত। প্যারিসে ইউরোপের নেতারা ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বৈঠকে বসার কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি এ কথা জানান।
আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে সতর্ক বাণী দিয়ে বলা হয়েছে, ইউরোপের দেশগুলোর উচিত নিজেদের সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরও উদ্যোগ নেওয়া।
উল্লেখ্য, কয়েকদিনের মধ্যেই সৌদি আরবে ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠা নিয়ে বৈঠক করবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। এই বৈঠকে ইউক্রেন বা ইউরোপের অন্য কোনো দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
যার ফলে, ইউরোপের নেতারা আশঙ্কা করছেন তিন বছরব্যাপী ইউক্রেন যুদ্ধ নিরসনের দরকষাকষিতে ইউরোপকে পাশ কাটানোর প্রক্রিয়া চলছে।
স্টারমার মন্তব্য করেন, 'প্রয়োজন হলে যুদ্ধক্ষেত্রে আমাদের নিজেদের সেনা মোতায়েন করব'।
দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফে নিজের লেখা কলামে এ কথা জানান ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ও লেবার পার্টির নেতা স্টারমার।
স্টারমার বলেন, 'ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখা এক অর্থে এই মহাদেশ (ইউরোপ) ও আমাদের নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখার সমতুল্য'।
ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্কের নেতাদের সঙ্গে প্যারিসের বৈঠকে যোগ দেবেন স্টারমার। ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের তিন বছর পূর্তির ঠিক আগেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হবে।
২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাউন্সিল প্রধান আন্তোনিও কস্তা, ইইউ প্রধান উরসুলা ফন ডার লিয়েন ও ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুত্তে।
ফরাসি প্রেসিডেন্সি জানিয়েছে, এই বৈঠকে 'ইউক্রেনের পরিস্থিতি' ও 'ইউরোপের নিরাপত্তা' নিয়ে আলোচনা হবে।
প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর এক উপদেষ্টা বলেন, 'ইউক্রেন ইস্যুতে সম্প্রতি গতিবেগের সঞ্চার হয়েছে এবং এ প্রসঙ্গে মার্কিন নেতারা যা যা বলছেন, সেই প্রেক্ষাপটে ইউরোপীয়দের সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরও বেশি, আরও উন্নত ও সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।'
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট সরাসরি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলে ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের আলোচনা শুরু করে বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছেন।
রোববার ট্রাম্প জানান, তিনি শিগগির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।
'রুশ প্রেসিডেন্ট প্রকৃতপক্ষে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করতে আগ্রহী', যোগ করেন ট্রাম্প।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, কিয়েভকে পাশ কাটিয়ে ইউক্রেনের শান্তি প্রতিষ্ঠার কোনো চুক্তিতে তিনি সম্মতি দেবেন না।
তিনি শনিবার 'ইউরোপীয় সেনাবাহিনী' গড়ে তোলার দাবি জানান। তিনি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাধান্যের তালিকায় ইউরোপের নিরাপত্তা নেই এবং ওয়াশিংটনের ওপর 'আর ভরসা করা যায় না'।
ট্রাম্পের ইউক্রেন বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কিথ কেলগ শনিবার জানান, ইউক্রেন নিয়ে আলোচনায় ইউরোপ অংশগ্রহণ না করলেও তাদের মতামত গ্রহণ করা হবে।
Comments