অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখার ষড়যন্ত্র: অভিযুক্ত ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট যেতে পারেন জেলে

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর বিরুদ্ধে নির্বাচনে হারার পর সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানায়, ব্রাজিলের অ্যাটর্নি জেনারেল পাওলো গোনেট মঙ্গলবার রাতে এই অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বলসোনারো ও তার ছয় ঘনিষ্ঠ সহযোগীর বিরুদ্ধে একটি 'স্বৈরাচারী ক্ষমতা প্রকল্প' বাস্তবায়নে একটি অপরাধী সংগঠন তৈরির অভিযোগ আনেন তিনি।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, বলসোনারোদের ষড়যন্ত্রের মধ্যে ব্রাজিলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভাকে বিষ খাইয়ে মারার এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেক্সান্দ্রে ডি মোরাসকে গুলি করে হত্যার পরিকল্পনাও ছিল।
আইন বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান জানায়, দোষী সাব্যস্ত হলে ৩৮ থেকে ৪৩ বছরের কারাদণ্ড পেতে পারেন বলসোনারো। রাষ্ট্রদ্রোহ, সশস্ত্র অপরাধী সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা এবং আইনের শাসন ধ্বংস করার চেষ্টার মতো গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলসোনারো। তিনি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি এসব অভিযোগ নিয়ে একেবারেই চিন্তিত না।'
২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এই ডানপন্থী রাজনীতিবিদ ২০২২ সালের নির্বাচনে লুলার কাছে হারলেও পরাজয় মানতে অস্বীকৃতি জানান।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকেরা নির্বাচনের ফলাফল পাল্টাতে মার্কিন ক্যাপিটল হিলে যেভাবে আক্রমণ চালায়, একইভাবে ২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি বলসোনারো সমর্থকরা রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় দাঙ্গা শুরু করে। তারা প্রেসিডেন্ট প্যালেস, পার্লামেন্ট ভবন এবং সুপ্রিম কোর্টে তাণ্ডব চালায়।
Comments