বৈচিত্র্য নীতি সমর্থনকারী শীর্ষ জেনারেলকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প

জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউন জুনিয়র। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান এবং ইতিহাস গড়া কৃষ্ণাঙ্গ ফাইটার পাইলট জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউন জুনিয়রকে বরখাস্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে নিজের ঘনিষ্ঠ বিমান বাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল জন ড্যান কেইনকে অবসর থেকে ফিরিয়ে এনে নিয়োগ দিয়েছেন ব্রাউনের জায়গায়।

সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান ও সিএনএন জানায়, প্রশাসন ও সামরিক বাহিনী থেকে বৈচিত্র্য নীতি সমর্থন করা ব্যক্তিদের অপসারণের অংশ হিসেবে একইদিনে নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল লিসা ফ্রাঞ্চেটি ও বিমান বাহিনীর সহকারী প্রধান জেনারেল জেমস স্লাইফকেও বরখাস্ত করেছেন ট্রাম্পের প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ।

যুক্তরাষ্ট্রে পিছিয়ে থাকা জাতিগোষ্ঠী, লিঙ্গ ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের প্রতিনিধিত্ব ও সমান সুযোগ নিশ্চিতের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তি (ডিইআই) নীতির মাধ্যমে কিছু কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়। ট্রাম্প এবং রক্ষণশীল রাজনীতিবিদরা দীর্ঘদিন ধরে এই নীতির বিরোধিতা করে আসছেন।

ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের আগেই তার প্রতিরক্ষা সচিব হেগসেথ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সামরিক বাহিনীতে এই নীতির সমর্থনকারীদের অপসারণ করার মিশন শুরু হবে।

গত নভেম্বরে একটি পডকাস্টে তিনি বলেন, 'প্রথমেই জয়েন্ট চিফসের চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করতে হবে। ডিইআইয়ের মতো ফালতু কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সব জেনারেল, অ্যাডমিরাল বা (সামরিক বাহিনীর) যে-ই হোক না কেন, তাদের বের করে দিতে হবে।'

ব্রাউন কৃষ্ণাঙ্গ হয়ে বৈচিত্র্য নীতির সুবিধা নিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন, ইঙ্গিতে এই দাবিও করেছেন হেগসেথ।

'তিনি (ব্রাউন) চেয়ারম্যান হয়েছেন। কিন্তু সেটা কি তার দক্ষতার জন্য, নাকি গায়ের রঙের জন্য? তা আমরা কখনোই জানব না, কিন্তু সন্দেহ সবসময় থাকবে,' নিজের বইয়ে লিখেছেন হেগসেথ।

গার্ডিয়ান জানায়, ব্রাউন মার্কিন সামরিক বাহিনীর সবচেয়ে সম্মানিত কর্মকর্তাদের একজন। টাইম ম্যাগাজিন তাকে একজন দক্ষ যোদ্ধা ও সামরিক বাহিনীতে বর্ণগত বৈষম্য ভাঙার পথিকৃৎ হিসেবে অভিহিত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, সামরিক বাহিনীতে কর্মরত চার তারকা জেনারেলদের মধ্য থেকে একজনকে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান নিয়োগ দিতে হয়। কিন্তু সব চার তারকা জেনারেলকে বাদ দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত একজন লেফটেন্যান্ট জেনারেলকে এই পদ দিয়েছেন ট্রাম্প।

সিএনএন জানায়, 'জাতীয় স্বার্থে এমন নিয়োগ জরুরি মনে করলে' প্রেসিডেন্ট এই আইনকে পাশ কাটাতে পারেন।

শুক্রবার কেইনকে নিয়োগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, 'তিনি (কেইন) একজন যোদ্ধা, যিনি আইসিসের (ইসলামিক স্টেট) খেলাফত পুরোপুরি ধ্বংসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।'

নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, ট্রাম্পের ভাষ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে প্রথম কেইনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এরপর ২০১৯ সালে ইরাক সফরকালে প্রেসিডেন্টকে কেইন বলেন, এক সপ্তাহে আইসিসকে গুটিয়ে দেওয়া সম্ভব।

ইরাকে দেখা করার সময় কেইনের মাথায় মাগা (মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন) ক্যাপ ছিল বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প।

Comments

The Daily Star  | English
US tariffs impact on Bangladesh economy

Can Bangladesh ride out the wave of US tariffs?

Trump's announcement sent businesses scrambling. Orders froze. Buyers demanded discounts. Stock markets plummeted.

11h ago