কখন কোন ধরনের গয়না পরবেন
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ছোটগল্প 'সোনাদানা' পড়েছেন নিশ্চয়ই। সেই গল্পে স্বামী হারানো রাসমনি কীভাবে তার সোনার গয়নাগুলো আঁকড়ে ছিলেন সেই নিয়েই এই কাহিনী। গয়না পছন্দ করেন না এমন নারী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
সব জায়গায় সব গয়না কিন্তু মানানসই নয়। গয়না পরারও রয়েছে বেশ কিছু কায়দা কানুন। দিনের সময়, স্থান-কাল পাত্র ভেদে গয়নায় আসে পরিবর্তন। সকালে ভার্সিটি কিংবা চাকরির উদ্দেশ্যে বের হওয়া নারীদের গয়না হবে হালকা। সকালের গয়না এমন হওয়া উচিত যেন তা অন্যের চোখকে পীড়া না দেয়। অফিসে পরার জন্য অর্নামেন্ট বক্সে তাই সাধারণ কিন্তু স্মার্ট গয়না রাখাই দস্তুর।
অফিসের জন্য নির্বাচিত গয়নাটি হতে হবে স্লিম অ্যান্ড স্লিক। সোনা-রুপার আবেদন চিরন্তন। ছোট কান-পাশা বা পাথরের দুলের সঙ্গে চিকন চেইনও পরা যেতে পারে।
হালকা কাজের সোনার গয়না কিংবা ডায়মন্ডের কানের দুল, পেন্ডেন্ট পরা যেতে পারে অফিসে কিংবা ভার্সিটিতে। সঙ্গে হাতে ব্রেসলেট আভিজাত্য আরও বাড়িয়ে দেবে। তবে সকাল-সকাল ভারী গয়না বা শব্দ সৃষ্টি হয় এমন গয়না না পরাই ভালো।
ঠাকুরবাড়ি মেয়েরা বিকেলে পরতেন মুক্তোর গয়না। বিকেলের সোনালী আলো মুক্তোর উপর পড়ে তার নিজস্ব আভা ছড়াতো। বিকালের ছোট অনুষ্ঠান, গেট টুগেদার কিংবা কফি আড্ডায় বেছে নিতে পারেন হালকা কাজের মুক্তোর গয়না। তাছাড়া হালকা কাজের রুপার গয়না, স্টোন জুয়েলারি, এন্টিক বা ট্রেন্ডি জুয়েলারিগুলো বেছে নেওয়া যেতে পারে এই সময়টাতে। বড় ঝুমকার পাশাপাশি হাতে চুড়ি পরতেও বাঁধা নেই।
রাতে বিয়ে বাড়ির দাওয়াত, পার্টি, জমকালো অনুষ্ঠানগুলোতে সাজায় বেছে নেওয়া যেতে পারে ভারী গয়নাগুলো।
জুয়েলারি ডিজাইনার ডা. আমিনা কাশফিয়া বলেন, 'এখন নারীরা নিজস্বতা পছন্দ করে, তাই কাস্টমাইজ করে বিভিন্ন ধরনের পাথরের জুয়েলারি, মুক্তা, চুনি, রুবির গয়না বানিয়ে নেন। ভারী এই গয়নাগুলো বিয়ে ছাড়াও পার্টিতে ক্যারি করা যায়।'
তিনি আরও বলেন, 'একই সঙ্গে ভারী কানের দুল আর গলার হার পরার চেয়ে যে কোনো একটা বেছে নেওয়া যেতে পারে।'
Comments