মানবদেহের জন্য ভয়ংকর হতে পারে যে ৪টি ছত্রাক সংক্রমণ

ক্যানডিডা অরিস। ছবি: সংগৃহীত

ছত্রাক বা ফাঙ্গাস প্রাকৃতিক পরিবেশে বিদ্যমান। এগুলোর মধ্যে কিছু মানবদেহে রোগের সৃষ্টি করে। সাধারণত ছত্রাক সংক্রমণ চিকিৎসায় ভালো হয়ে যায়। তবে কিছু ছত্রাক জীবনহানির কারণ হতে পারে। সম্প্রতি কিছু ছত্রাক ওষুধ প্রতিরোধী ক্ষমতা অর্জন করে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ৪টি ছত্রাক সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছে।

ক্রিপটোকক্কাস নিয়োফরম্যানস

এটি মস্তিষ্কে সংক্রমিত হয়ে জীবনহানির কারণ হতে পারে। সাধারণত পাখির মল দিয়ে ফলের মাধ্যমে এই ছত্রাক শরীরে প্রবেশ করে। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শেও এটি ছড়াতে পারে।

আ্যসপারগিলাস ফিউমিগ্যটাস

এই ছত্রাক ঘরে-বাইরে পরিবেশে বিদ্যমান। মরা পাতা, পচনধরা সবজি ও ফলমূল, সংরক্ষিত শস্য ও খাবার, ঘরের কার্পেটে এটি জন্ম নিয়ে থাকে। সাধারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষের ক্ষেত্রে এটি রোগ সৃষ্টি করতে পারে না। তবে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এবং বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে এটি ফুসফুস ও সাইনাসে সংক্রমিত হতে পারে।

ক্যানডিডা অরিস

সাধারণত এটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে সৃষ্টি হয়। স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত কর্মীরা এতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক ও নার্সের সংস্পর্শে গেলে অন্যরাও আক্রান্ত হতে পারেন‌। এটির সংক্রমণে তীব্র জ্বর ও শীত অনুভূত হয়ে থাকে।

ক্যানডিডা আ্যলবিকানস

ছত্রাক থেকে সৃষ্ট রোগের অন্যতম প্রধান কারণ এটি। ত্বকের নানা স্থানে এই ছত্রাক সংক্রমিত হয়ে থাকে। সাধারণত চিকিৎসার মাধ্যমে পরিত্রাণ পাওয়া যায় এটি থেকে। তবে ইদানিং এই ছত্রাক ওষুধ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করেছে। প্রচলিত ওষুধ কাজ করে না বলে আক্রান্তরা দীর্ঘদিন এই রোগে ভুগে থাকেন।

 

যেভাবে প্রতিরোধ করবেন এসব ছত্রাক

◆ ফলমূল ও শাকসবজি ভালো করে পরিষ্কার করুন।

◆পচন ধরা ফল ও শাকসবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

◆ ঘরের কার্পেট নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

◆হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রয়োজনের বেশি সময় অবস্থান করবেন না।

◆চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ছত্রাকরোধী ওষুধ ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।

 

ডা. এম আর করিম রেজা

ত্বক ও সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ

Comments

The Daily Star  | English
government bank borrowing target

Govt to give special benefits to employees, pensioners from July 1

For self-governing and state-owned institutions, the benefit must be funded from their budgets

19m ago