রঙে রঙিন দেয়াল

অন্দরমহল সজ্জা বা ইন্টেরিয়র ডিজাইন নিয়ে দিন দিন সচেতন হয়ে উঠছে শহরবাসী। ইট-কাঠের এই শহরে থাকার জায়গাটাকে মানুষ পরম মমতায় নিজের মতো করে সাজিয়ে নিচ্ছে। এই সাজানোর অংশ হিসেবে দেয়ালের রঙের ব্যবহার বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ঘরের দেয়ালে একটু রুচিশীল রঙের ছোঁয়া পাল্টে দিতে পারে পুরো ঘরের আবহ।
দেয়াল সাজুক পছন্দের রঙে। ছবি: সংগৃহীত

অন্দরমহল সজ্জা বা ইন্টেরিয়র ডিজাইন নিয়ে দিন দিন সচেতন হয়ে উঠছে শহরবাসী। ইট-কাঠের এই শহরে থাকার জায়গাটাকে মানুষ পরম মমতায় নিজের মতো করে সাজিয়ে নিচ্ছে। এই সাজানোর অংশ হিসেবে দেয়ালের রঙের ব্যবহার বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ঘরের দেয়ালে একটু রুচিশীল রঙের ছোঁয়া পাল্টে দিতে পারে পুরো ঘরের আবহ।

তবে ইচ্ছেমত রং করলেই হবে না, তার জন্য রয়েছে কিছু নিয়মকানুন।  এ ছাড়া, বছরের কোন সময়টাতে ওয়াল পেইন্টিং করাতে চাচ্ছেন, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।

রং করার আদর্শ সময়

স্থাপত্য রীতি অনুযায়ী, সাধারণত নভেম্বর থেকে জুন মাস পর্যন্ত দেয়াল রং করার আদর্শ সময় ধরা হয়। কারণ এই সময় বাতাসের আর্দ্রতা থাকে কম। আবার বৃষ্টিও একেবারে হয় না বললেই চলে। ফলে দেয়াল থাকে শুষ্ক আর আর্দ্রতামুক্ত। অন্যদিকে বর্ষার সময় রং করার বিষয়টা এড়িয়ে যাবার পরামর্শ দেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনাররা।

কেমন রং করা উচিত

যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞ এন্যা ভেল্ডের মতে, বাড়ির ছাদের পাশাপশি মেঝেতেও সাদা রঙের উপস্থিতি থাকলে ভালো। এতে ঘরগুলোকে প্রশস্ত আর বড় মনে হয়। অফ-হোয়াইট কিংবা সাদার পরিবর্তে ৪ দেয়ালজুড়ে একই রং ব্যবহার করলে  আবদ্ধ লাগে অনেকটা।

বাংলাদেশের জনপ্রিয় হোম ডেকর পেইজ 'মাই হোম সেইসসের' ব্লগার সারাফ আর ফারিন বলেন, 'সাদা রংটাকে মূল ধরে ঘরে রং করলে ঘরটাকে দেখে চোখে আরাম বোধ হবে। হালকা হলুদ বা ক্রিম, হালকা সবুজ, হালকা পার্পেল কালার করা যেতে পারে। তবে এমন রং করানো চাই, যা আপনার বাসার আসবাবপত্রের সঙ্গে মানাসই।'

নিজেই রাঙাতে পারেন দেয়াল

নিজেই যদি দেয়াল রং করার ইচ্ছা থাকে তাহলে দোকান থেকে প্লাস্টিক পেইন্ট বেইজ রঙের সঙ্গে পছন্দমাফিক রঙ মিশিয়ে নিতে হবে। রং করার আগে দেয়াল হালকা ঘষে পরিষ্কার করে নিলে রং স্থায়ী হয়। রোল ব্রাশের সাহায্যে সহজেই দেয়ালে রং বসানো যায়। তবে দেয়ালের কোণাগুলো ভালোভাবে রং করার জন্য একটা ২ ইঞ্চি ব্রাশ রাখা ভালো। রং করার আগে মেঝেতে কাগজ বিছিয়ে নিলে ঘর নোংরা হবে কম।

দেয়াল রং করার আগে মোটামুটি বাতিল হওয়া জামাকাপড় পরে নিন। হাতে গ্লাভস পরে নিতে হবে অবশ্যই। সঙ্গে একটু মোটা ধরনের অ্যাপ্রোন পরে নেওয়া যেতে পারে।

আঁকাআঁকির ওপর দখল থাকলে এঁকে নেওয়া যেতে পারে দেয়ালচিত্র। চিরুনি, ব্রাশ, বাবল রেপার দিয়েই ডিজাইন করে নেওয়া যেতে পারে। আবার প্লাস্টিক বা শক্ত কাগজ নিয়ে সেটাতে নকশা কেটে সেই নকশাটি দেয়ালের সঙ্গে ধরে রং স্প্রে করে নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে হালকা রঙের ওপর গাঢ় রং ব্যবহার করা যেতে পারে।

নিতে পারেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের পরামর্শ

বাজেট থাকলে যোগাযোগ করতে পারেন ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের সঙ্গে। আমরা ঘর রং করার আগে ঘরকে তার ভবিষ্যত রূপে কল্পনা করতে ভালবাসি। আর সেই কল্পনার সঙ্গে বাস্তবতার মিলের জন্য যা দরকার তা নিজে নিজে আনা বেশ কষ্টকর। কিন্তু আপনি যদি পেশাদার কাউকে ভালভাবে বুঝিয়ে দিতে পারেন আপনার কেমন রং দরকার, তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন।

Comments