নেতৃত্ব দিতে দরকার যে ৫ গুণ

হুট করে কেউ নেতৃত্বের আসনে চলে যায় না। ধীরে ধীরে কিছু গুণের চর্চার মাধ্যমে নেতৃত্বে সফল হওয়া সম্ভব।
প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত

আজ যাকে নেতৃত্বের আসনে দেখা যাচ্ছে, তিনি কিন্তু কর্মজীবনের প্রথম থেকেই সেখানে ছিলেন না। হুট করে কেউ নেতৃত্বের আসনে চলে যায় না। ধীরে ধীরে কিছু গুণের চর্চার মাধ্যমে নেতৃত্বে সফল হওয়া সম্ভব। সেগুলো নিয়েই আজকের আলোচনা।

সংবেদনশীল বুদ্ধিমত্তা

শক্তিশালী নেতৃত্বের জন্য সংবেদনশীল বুদ্ধিমত্তা প্রয়োজন, যা নিজের পাশাপাশি অন্যদের আবেগকে চিনতে ও বুঝতে সহায়তা করে। নেতৃত্ব দিতে নিজের পাশাপাশি অন্যদের বুঝতে হবে। হতে হবে সংবেদনশীল। তাহলে সবার কাছ থেকে সেরা কাজটা আদায় করে নেওয়া যাবে।

খোলাখুলি ভুল স্বীকার

ভুল আমাদের সবারই হয়, ভুল স্বীকার করা দুর্বল নেতৃত্বের লক্ষণ নয়। অনেক সময় দেখা যায় নেতা নিজের ভুল স্বীকার করেন না বা সেটি উপেক্ষা করেন। এতে সহকর্মীরা তার নেতৃত্বের উপর আস্থা হারান এবং ধীরে ধীরে তার প্রতি সম্মানও কমে তাদের।

সফল নেতারা বিপরীত কাজটি করেন। তারা ঘটনার মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণের পাশাপাশি নিজেদের যদি কোনো ত্রুটি বা ভুল হয়ে থাকে সেটি স্বীকার করেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকে কী শিখতে হবে এবং ভবিষ্যতে কীভাবে এটি এড়ানো যায় তা নিয়েও কাজ করেন তারা। কর্মক্ষেত্রে নেতা ভুল স্বীকার করলে সবার সঙ্গে তার সম্পর্কও দৃঢ় হয়।

যোগাযোগ দক্ষতা

দিক নির্দেশনার জন্য সবাই নেতার উপর নির্ভরশীল। যদি নেতৃত্বের জায়গা থেকে সবার সঙ্গে ভালোভাবে যোগাযোগ করা না হয়, তাহলে কর্মীদের কর্মক্ষমতা কমবে এবং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের বোঝাপড়ায় সমস্যা তৈরি হবে। একজন সফল নেতা মন দিয়ে সবার কথা শোনেন, তারা কী চায় সেটি বোঝার চেষ্টা করেন এবং তিনি নিজে কী চান সেটিও অন্যদের বুঝিয়ে দেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নিজস্ব কৌশল

সফল নেতাদের যে কোনো পরিস্থিতি শান্তভাবে মোকাবিলার করার নিজস্ব পন্থা থাকে। সঠিক সময়ে সেটি প্রয়োগ করেন তারা। অতীত বা অনিবার্য ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে বর্তমানের দিকে মনোযোগ দেওয়ার কৌশল থাকে তাদের।

সঠিকভাবে পরিকল্পনার ক্ষমতা

সফল নেতারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের আগে সক্রিয়ভাবে পরিকল্পনা করেন এবং কৌশল সুসংগঠিত করেন। পরিকল্পনা ছাড়া কেউ মাঠে নামলে ব্যর্থতা আসে। আর তখন তার নেতৃত্বের প্রতি অন্যদের আস্থা থাকে না।

Comments