কথা গোপন রাখতে হলে

‘কাউকে বলো না কিন্তু’ বলে কি প্রায়ই আরেকজনকে বলে ফেলেন নিজের বা অন্যের ব্যক্তিগত কথা?
ছবি: সংগৃহীত

'কাউকে বলো না কিন্তু' বলে কি প্রায়ই আরেকজনকে বলে ফেলেন নিজের বা অন্যের ব্যক্তিগত কথা? যার ফলে পড়তে হয় নানা সমস্যায় কিংবা ভোগেন অনুশোচনায়? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য।

নিজের বা অন্যের গোপন কথা যেন নিজের মধ্যেই রাখতে পারেন সেজন্য অনুসরণ করতে পারেন এই টিপসগুলো-

'ভাবিয়া করিও কাজ'

আমরা যখন কথা বলতে থাকি তখন আবেগের বশবর্তী হয়ে কিংবা অবচেতন মনেই নিজের ব্যক্তিগত বা অপরের গোপন কথা ফাঁস করে দিই। এই কাজটি করার আগে একবার চিন্তা করুন, আপনি নিজেই যেখানে কথাটি গোপন রাখতে পারছেন না সেটি অন্যজন কীভাবে রাখবেন?

তাই কথা বলার আগে দম নিন। একটু থেমে চিন্তা করুন, আসলে আপনাকে কোথায় থামতে হবে ও কতটুকু জানানো আপনার জন্য নিরাপদ। এই বলার আগে চিন্তাটাই বেফাঁস কথাবার্তা বলে ফেলা থেকে বাঁচাতে পারে আপনাকে।

প্রসঙ্গ পরিবর্তন করুন

প্রয়োজনে কথোপকথনের বিষয় পরিবর্তন করুন। ধরুন, আপনি এমন কারো সঙ্গে কথা বলছেন যিনি গোপন বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু উল্লেখ করেছেন। তাহলে কথোপকথনের বিষয় পরিবর্তন করে ফেলার চেষ্টা করুন।

আপনি যদি প্রসঙ্গ পরিবর্তন না করেন তাহলে অসতর্ক মুহূর্তে বলে ফেলতে পারেন গোপন তথ্যটি। তবে বিষয়টিকে আকস্মিকভাবে পরিবর্তন করার চেষ্টা না করে এমনভাবে চেষ্টা করুন, যাতে ওই ব্যক্তি খেয়াল না করেন যে আপনি তাকে কিছু বলা এড়িয়ে যাচ্ছেন। প্রয়োজনে স্থান ত্যাগ করার চেষ্টা করুন।

পোষা প্রাণীকে বলুন

এটি হাস্যকর শোনালেও কার্যকর হতে পারে। আপনি আপনার প্রিয় বিড়াল, পাখি, কুকুর এমনকি গাছের কাছেও মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেন! আপনার গোপন কথা তাদের কাছে সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকবে, আর গোপন কথা কাউকে বলতে না পারার যে অস্থিরতা সেটিও কমবে। তবে খেয়াল রাখুন যেন আশেপাশে কেউ না থাকে। ওই যে, দেয়ালেরও কান থাকে!

গোপন তথ্যের প্রমাণ রাখবেন না

অনেকেই তাদের গোপন তথ্য ডায়েরিতে বা ব্লগে লিখে রাখেন। আপনার অনুপস্থিতিতে কেউ সেটি পড়ে ফেলতে পারে। তাই লিখিত কোনো প্রমাণ না থাকাই ভালো। আর যদি একান্ত ইচ্ছে হয়, তবে ডকুমেন্টে পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখুন।

মনে রাখুন গোপনীয়তা আপনাকে সুরক্ষা দেবে

নিজের ব্যক্তিগত কথা হোক কিংবা অন্যের, তা গোপন রাখতে না পারলে সেটি আপনার ব্যক্তিত্বে প্রভাব ফেলবে। একটা সময় আপনি বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবেন, সম্মানহানিও হতে পারে। ব্যক্তিগত তথ্য বা গোপন কথা যদি অন্যজন জেনে যায়, পরে সেটির সুযোগ যে কেউ নিতে পারে। অর্থাৎ সেই ব্যক্তির কাছে আপনি বন্দী হয়ে গেলেন। তাই ঠিক ততটুকুই প্রকাশ করা উচিত যতটুকু প্রকাশ করলে আপনি ভবিষ্যতে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন না।

কখনও কখনও গোপনীয়তা রক্ষা কঠিন হয়ে যায়। তবে মনে রাখতে হবে, যারা গোপন কখা গোপন রাখতে পারেন তারা ব্যক্তিগত জীবনে যেমন সুরক্ষিত থাকেন, তেমনি অন্যের কাছেও নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি হয়ে উঠেন।

Comments