ভুটানে ৪ দিনের বেশি থাকলে কমবে ভ্রমণ কর

ভুটানে ৪ দিন বা এর বেশি সময় অবস্থান করলে পর্যটকদের জন্য প্রতি রাতের ভ্রমণ কর কমানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।
ভুটানের পারো জেলায় ‘টাইগারস নেস্ট’ নামে পরিচিত বৌদ্ধ মঠ। ছবি: রয়টার্স

ভুটানে ৪ দিন বা এর বেশি সময় অবস্থান করলে পর্যটকদের জন্য প্রতি রাতের ভ্রমণ কর কমানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।

করোনা মহামারীর কারণে ২ বছর সীমান্ত বন্ধ রাখার পর গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আবারও পর্যটকদের আসতে অনুমতি দেয় ভূটান। তবে পর্যটকের প্রতি রাতের জন্য সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ফি বা এসডিএফ ২০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়।

করোনার আগে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে পর্যটকদের জন্য প্রতি রাতের এসডিএফ ছিল ৬৫ ডলার।

সেসময় ভুটান সরকার বলেছিল, পরিবেশ বিনষ্টকারী পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসডিএফ তহবিল দেশটির পর্যটন কেন্দ্রগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও পর্যটকদের রেখে যাওয়া কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতে ব্যবহৃত হয়।

একইসঙ্গে পাহাড় চূড়াগুলোর পবিত্রতা রক্ষার জন্য পর্বত আরোহণ নিষিদ্ধ করেছে ভুটান। ফলে নিকটবর্তী নেপালের তুলনায় বেশ কম সংখ্যক পর্যটক এখন দেশটিতে ভ্রমণ করে।

তবে করোনা মহামারির আগে দেশটির পর্যটক সংখ্যা যেমন ছিল সেই অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে নতুন নীতি নেওয়া হয়েছে। চলতি জুন মাস থেকেই নতুন নিয়ম কার্যকর হয়েছে যা ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত চলবে।

এসময়ের মধ্যে যেসব পর্যটকেরা ৪ দিনের এসডিএফ পরিশোধ করবেন, তারা বাড়তি আরও ৪ দিন কোনো ফি ছাড়াই দেশটিতে থাকতে পারবেন। আর ১২ দিনের এসডিএফ পরিশোধ করলে পুরো মাস থাকা যাবে।

অর্থাৎ, পর্যটকরা এখন ৮০০ ডলারের বিনিময়ে ৮ দিন ভুটানে থাকতে পারবেন। আর ২৪০০ ডলার দিয়ে সারা মাস থাকা যাবে।

এ বিষয়ে দেশটির পর্যটন বিভাগের মহাপরিচালক দর্জি ধ্রাধুল বলেন, 'ভুটানে বেশি সংখ্যক পর্যটক বেশি দিন ধরে অবস্থান করলে পর্যটন খাত আমাদের অর্থনীতিকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।'

'তবে যেসব পর্যটক ডলারে অর্থ পরিশোধ করবেন, তাদের জন্যই শুধু নতুন নিয়ম প্রযোজ্য হবে। প্রতিবেশি ভারত থেকে আসা পর্যটক, যারা রুপিতে অর্থ পরিশোধ করেন, তাদের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না,' বলেন তিনি।

ধ্রাধুল আরও জানান, ভুটান ধীরে ধীরে তার ৩ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পর্যটন খাতের অবদান ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশে উন্নীত করতে চায়।

তিনি বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪৭ হাজার পর্যটক দেশটি ভ্রমণ করেছেন। এ বছর ৮৬ হাজার পর্যটকের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, তা পূরণে দেশটি সঠিক পথেই আছে বলে মনে করেন তিনি।

উল্লেখ্য, করোনা মহামারির আগে ২০১৯ সালে ৩ লাখ ১৫ হাজারেরও বেশি পর্যটক ভুটান ভ্রমণ করেছিল।

সূত্র: দ্য স্ট্রেইট টাইমস

গ্রন্থনা: আহমেদ হিমেল

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago