আবুল মনসুর আহমদের সংবিধান চিন্তার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আলোচনা কাল 

আবুল মনসুর আহমদের সংবিধান চিন্তা একটি সংকলন প্রকাশ করা হবে। অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত।

জুলাই অভ্যুত্থান ও সাংবিধানিক সংস্কার নিয়ে চলছে নানান আলোচনা। আবুল মনসুর আহমদের জন্মদিন উপলক্ষে সংবিধান চিন্তার প্রাসঙ্গিকতা বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। 

আগামীকাল ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেল ৫টায়  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রবন্ধ পাঠ করবেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ আরিফ খান।

এ ছাড়া আলোচক হিসেবে থাকবেন গবেষক ড. জালাল ফিরোজ, অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, লেখক ডা. জাহেদ উর রহমান ও লেখক সারোয়ার তুষার।

২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর এক আয়োজনে আবুল মনসুর আহমদের বই থেকে উদ্ধৃত করে আকবর আলি খান বলেছিলেন, বাংলাদেশের সংবিধান সম্পর্কে আবুল মনসুর আহমদের চূড়ান্ত সমাধান হলো সংবিধান গণতান্ত্রিক হতে হবে। তিনি লিখেছেন, 'পাকিস্তানের শাসনতান্ত্রিক সংবিধান রচনার সময়েও আমি বলিয়াছিলাম, পাকিস্তানে ইসলাম রক্ষা না করিয়া গণতন্ত্র রক্ষার ব্যবস্থা করুন। গণতন্ত্রই ধর্মের গ্যারান্টি। বাংলাদেশের সংবিধান রচনার সময় আমি বলিয়াছিলাম, বাংলাদেশের সমাজবাদের কোনো বিপদ নাই। যত বিপদ গণতন্ত্রের, গণতন্ত্রকে রোগমুক্ত করুন, সমাজবাদ অবশ্যই সুস্থ হইয়া যাইবে।'

'আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর' লেখার সঙ্গে একমত পোষণ করে আকবর আলি খান আরও বলেন, 'আমি একটু বিস্মিত হয়ে গেছি, বেশকিছু দিন ধরেই এ কথাগুলো বলে আসছি। আমি মনে করেছি, এগুলো আমার বক্তব্য। দেখলাম, আমি আবুল মনসুর আহমদের বক্তব্যই প্রচার করছি। আমাদের সংবিধানে চারটি স্তম্ভ আছে। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা। আমার বক্তব্য হলো, যে দেশে গণতন্ত্র নেই, সে দেশে টেকসইভাবে ধর্মনিরপেক্ষতা চালু করা সম্ভব নয়।'

উল্লেখ্য আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি পরিষদ ও তর্কজালের উদ্যোগে জাতীয় বক্তৃতা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার হস্তান্তর করা হবে। আবুল মনসুর আহমদের সংবিধান চিন্তা একটি সংকলন প্রকাশ করা হবে। অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত।

Comments