কবি আল মাহমুদকে স্বাধীনতা পদক প্রদানের দাবি

আল মাহমুদকে মরণোত্তর রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ও স্বাধীনতা পদক না পাওয়ায় ক্ষোভ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কবি লেখকরা।

বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কবি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মাহমুদ মরণোত্তর রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ও স্বাধীনতা পদক না পাওয়ায়  ক্ষোভ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কবি লেখকরা। ২০২৪ সালেই স্বাধীনতা পদক প্রদানের দাবি উঠেছে। 

শনিবার দুপুরে শহরের নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এ দাবি ওঠে। 

এতে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, কবি মহিবুর রহিম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন, কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, সাধারণ সম্পাদক জিহাদ হোসেন লিটন, কবি রিয়াজ ইনসান প্রমুখ। 

বক্তারা বলেন, উপন্যাস, গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধসহ বাংলা সাহিত্যের একজন পরিপূর্ণ কবি ছিলেন আল মাহমুদ। বাংলা সাহিত্যের সব শাখায় তার বিচরণ ছিল সৃষ্টিশীল। যিনি কাব্যগ্রন্থ সোনালী কাবিন, লোকলোকান্তর, কালের কলসসহ কালজয়ী বিভিন্ন গ্রন্থ রচনা করেন। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র হাতে তার অবদান ছিল ঈর্ষণীয় । জুলাই গণঅভ্যুত্থানেও তার কবিতা ব্যবহার হয়েছে। অথচ তার মৃত্যুর পর তাকে রাজনৈতিক বৈষম্যের কারণে কোনো রাষ্ট্রীয় সম্মাননা অথবা স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়নি।

আল মাহমুদ মারা যান ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ ফেব্রুয়ারি। জন্মগ্রহন করেন ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌড়াইল গ্রামে।

উল্লেখ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্মৃতির সঙ্গে জড়িত কবি আসাদ চৌধুরী ও সৈয়দ আবুল মকসুদদের স্বাধীনতা পদক না পাওয়া নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন কবি লেখকরা। 

Comments

The Daily Star  | English

Exporters fear losses as India slaps new restrictions

Bangladesh’s exporters fear losses as India has barred the import of several products—including some jute items—through land ports, threatening crucial trade flows and millions of dollars in earnings.

6h ago