ভাষাসৈনিক আহমদ রফিকের অবস্থা 'স্থিতিশীল'

হাসপাতালে ভাষাসৈনিক আহমদ রফিকের অবস্থা এখন 'স্থিতিশীল'। গতকাল মধ্যরাতে তাকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকের সূত্রে তথ্যটি জানিয়েছেন ইসমাইল সাদী।
লেখক ও শিক্ষক ইসমাইল সাদী বেশ কয়েক বছর ধরে ভাষাসৈনিক আহমদ রফিকের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি আরও জানান, শারীরিক দুর্বলতা, কিডনি রোগসহ বয়সের জটিলতায় আক্রান্ত। গতকাল রাত ১২টায় শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ হয়েছিল তারপর এইখানে ভর্তি করা হয়।
কবি ও বহুমাত্রিক লেখক, রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ আহমদ রফিক অসুস্থ অবস্থায় নিউ ইস্কাটনের গাউসনগরে ভাড়া বাসায় একাই ছিলেন। তার দৃষ্টি ক্ষীণ হয়ে এসেছিল ২০১৯ সাল থেকেই। সে বছর চোখে অস্ত্রোপচার করলেও অবস্থার বেশি হেরফের হয়নি। ২০২৩ সাল থেকে প্রায় দৃষ্টিহীন।
আহমদ রফিকের ব্যক্তিগত সহকারী আবুল কালাম জানিয়েছেন, ২০২১ সালে পড়ে গিয়ে পা ভাঙার পর থেকেই আহমদ রফিকের অবস্থা বিশেষ ভালো যাচ্ছিল না। এর মধ্যে দৃষ্টি হারানোর পর লেখালেখি বন্ধ হওয়ায় খুবই মানসিক কষ্টে ছিলেন।
পেশায় তিনি ছিলেন চিকিৎসক। জীবনভর দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। রবীন্দ্র চর্চা কেন্দ্র ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন তিনি। তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশ পদক পেয়েছেন। এ ছাড়া কলকাতার টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট তাকে 'রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য' উপাধিতে দিয়েছে।
আহমদ রফিকের জন্ম ১৯২৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। তাঁর স্ত্রী মারা গেছেন ২০০৬ সালে। তিনি নিঃসন্তান। কবিতা, প্রবন্ধ, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস, গবেষণা মিলিয়ে তাঁর লিখিত ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা শতাধিক। সর্বশেষ দুটি বই সময় প্রকাশন থেকে 'ভারত-পাকিস্তান বাংলাদেশ কথা', এই সময় পাবলিকেশনস থেকে প্রবন্ধগ্রন্থ 'শিল্প-সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য' প্রকাশিত হয়েছে ২০২৩ সালের একুশের বইমেলায়।
Comments