একুশের প্রথম কবিতা রচিত হয়েছিল চট্টগ্রামে

অমর একুশে, ভাষা আন্দোলন, চট্টগাম, কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি,
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। ছবি: সংগৃহীত

(ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর পূর্ণ হচ্ছে চলতি বছর। ভাষা আন্দোলনের একাত্তরতম বছরে ডেইলি স্টারের ধারাবাহিক বিশেষ আয়োজন 'একুশের একাত্তর'। ধারাবাহিক এই আয়োজনে একুশ দিনে ডেইলি স্টার প্রকাশ করবে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ২১টি জনপদের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস। আজ দশম পর্বে থাকছে চট্টগ্রামের ভাষা আন্দোলনের চিত্র।)

'যারা আমার মাতৃভাষাকে নির্বাসন দিতে চেয়েছে
তাদের জন্য আমি ফাঁসি দাবি করছি।
যাদের আদেশে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তাদের জন্য
ফাঁসি দাবি করছি।'

ওপরের অমর চরণ 'কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি' কবিতার। যে কবিতাটি লেখা হয়েছিল ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ছাত্রদের মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে হত্যার প্রতিবাদে। সেদিনেই দীর্ঘ এই কবিতাটি লিখেছিলেন চট্টগ্রামের রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী। এটিই ছিল একুশ নিয়ে লেখা প্রথম কবিতা।

২১ ফেব্রুয়ারির কয়েকদিন আগে জলবসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন মাহবুব-উল-আলম চৌধুরী। ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ঢাকায় ছাত্রদের মিছিলে গুলিবর্ষণের খবর জানতে পারেন তিনি। এরপর অসুস্থ অবস্থাতেই শ্রুতিলিখনের সাহায্য নিয়ে তিনি লিখলেন দীর্ঘ এই কবিতা। ২২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা কোহিনুর প্রেস থেকে প্রকাশিত ১৭ পৃষ্ঠার একটি ছোট্ট বইতে ছাপা হয় কবিতাটি। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালালেও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আগেই কবিতার পাণ্ডুলিপি লুকিয়ে ফেলেছিলেন প্রেসকর্মীরা। ২৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানের বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশের জনসমুদ্রের সামনে কবিতাটি পাঠ করেন চৌধুরী হারুনুর রশিদ।

কেবল একুশের প্রথম কবিতা নয়, ভাষা আন্দোলনে নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামে ভাষা আন্দোলনের সূচনাও হয়েছিল ভাষা আন্দোলনের প্রথম পর্ব অর্থাৎ ১৯৪৮ সালেই।

চট্টগ্রামে ভাষা আন্দোলন গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিলেন মাহবুব উল হক চৌধুরী ও সচরিত চৌধুরী সম্পাদিত 'সীমান্ত' পত্রিকা এবং একে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা 'সাংস্কৃতিক বৈঠক'। এছাড়া তমদ্দুন মজলিস থেকে প্রকাশিত 'পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু' শীর্ষক বইটিও ছিল চট্টগ্রামের ভাষা আন্দোলন গড়ে ওঠার অন্যতম রূপকার।

১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি গণপরিষদে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদার দাবি এবং মুসলিম লীগ সদস্যদের বিরোধিতা এবং খাজা নাজিমুদ্দিনের বক্তৃতার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মতো গর্জে উঠেছিলো চট্টগ্রামের ছাত্র-জনতাও।

১১ মার্চ চট্টগ্রাম নগরীতে পালিত হয়েছিল ধর্মঘট ও প্রতিবাদ সমাবেশ। এদিন থেকে চট্টগ্রামে ছাত্রধর্মঘট, ক্লাস বর্জন, বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয় এবং চলে ১৪ মার্চ পর্যন্ত। ১৪ মার্চ চট্টগ্রামের প্রশাসন এক সপ্তাহের জন্য আন্দোলন দমনের ১৪৪ ধারা জারি করে।

১১ মার্চ চট্টগ্রামের সেই আন্দোলনের খবর উঠে এসেছিল ১৯ মার্চ প্রকাশিত দৈনিক আজাদ পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়, 'কানুনগোপাড়া কলেজ ও স্কুল, ধলঘাট, সারোয়ারতলী কাটিরহাট, নানুপুর, কুইরাইল, নোয়াপাড়া, আর্যমিত্র, কোয়েপাড়া, মহামুনি, রাহাকানী কেলী শহর প্রভৃতি বিভিন্ন স্কুলে হাজার হাজার হিন্দু-মুসলমান- বৌদ্ধ-ছাত্র বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা ও পূর্ব্ব-পাকিস্তানের সরকারী ভাষা করার দাবীতে ধর্মঘট করে এবং সভা শোভাযাত্রা করিয়া পাকিস্তান সরকারের বাংলা ভাষার দাবীকে অস্বীকার করার দাবীতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।'

২১ ও ২৪ মার্চ মুহম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকার রেসকোর্স ময়দান ও কার্জন হলে উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দিলে ঢাকার মতো চট্টগ্রামের ছাত্ররাও বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ২৫ মার্চ জিন্নাহ চট্টগ্রামে গেলে সেখানেও ছাত্রদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাকে।

১৯৫০ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের মূলনীতি কমিটি উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে সুপারিশ করলে চট্টগ্রামের ছাত্ররা বিক্ষোভ করেছিল।

এসময় রফিউদ্দিন সিদ্দিকীকে সভাপতি ও মাহবুবুল হক এবং মাহবুব উল আলমকে সম্পাদক করে চট্টগ্রামে  'ভাষা সংগ্রাম কমিটি' গঠন করা হয়। এই কমিটির উদ্যোগে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে আয়োজিত হয় একটি জনসভা ও বিক্ষোভ মিছিল। তবে, থেমে থাকেননি ফজলুল কাদের চৌধুরীর মতো কট্টরপন্থী চক্রান্তকারীরাও। তারা উর্দু ও আরবি হরফে বাংলা লেখার পক্ষে জোরদার প্রচারণা চালিয়েছিল।

১৯৫১ সালের মার্চে প্রান্তিক নবনাট্য সংঘ ও সাংস্কৃতিক বৈঠকের উদ্যোগে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের সভাপতিত্বে চট্টগ্রামে আয়োজিত হয়েছিল 'সাহিত্য- সংস্কৃতি' সম্মেলনের। সম্মেলন সফল করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমান ও সাইদুল হাসান। অংশ নিয়েছিলো সীমান্ত পত্রিকা গোষ্ঠীও।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কবি বেগম সুফিয়া কামাল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সত্যযুগ পত্রিকার সম্পাদক সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার। সম্মেলনে কলকাতা থেকে সলিল চৌধুরী, দেবব্রত বিশ্বাস, সুচিত্রা মিত্রদের নিয়ে বড় একটি সাংস্কৃতিক দল যোগ দিয়েছিল।  সম্মেলনে যোগ দিতে সিলেট ও ঢাকা থেকে এসেছিলেন নওবেলাল পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদ আলী ও কথাসাহিত্যিক আলাউদ্দিন আল আজাদ। এই সম্মেলনটি ছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলার পক্ষে একটি বিরাট সহায়ক শক্তি।

প্রথম পর্বে চট্টগ্রামে ভাষা আন্দোলন গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন শ্রমিকনেতা মাহবুবুল হক, চৌধুরী হারুনুর রশিদ, ননী সেনগুপ্ত, গোপাল বিশ্বাস, আহমদুল কবীর, শহীদ সাবের, এস এ জামান, সুধাংশু সরকার প্রমুখ।

১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি খাজা নাজিমুদ্দীনের 'উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা' ঘোষণার প্রেক্ষিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল চট্টগ্রামের ছাত্র-জনতা। ৪ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে হরতাল পালিত হয়। এদিন আন্দরকিল্লার আওয়ামী মুসলিম লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভায় মাহবুব উল আলম চৌধুরীকে আহ্বায়ক এবং এমএ আজিজ ও চৌধুরী হারুনুর রশিদকে যুগ্মআহ্বায়ক করে গঠন করা হয় সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটিতে ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, যুব সংগঠন, ক্লাব, সাংস্কৃতিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। এসময় চট্টগ্রামের ভাষা আন্দোলনে সংযুক্ত ছিলেন জহুর হোসেন চৌধুরী, মোজাফফর আহমেদ, আমির হোসেন দোভাষ, কৃষ্ণগোপাল সেনগুপ্ত, মণীন্দ্র মহাজন, সুনীল ময়হাজন, সুধাংশু ভট্টাচার্য প্রমুখ।

আন্দোলনের খরচ জোগাতে দোকানে-দোকানে চাঁদা তোলার বিষয়টি নির্ধারণ করা হয়। এসময় আবদুল্লাহ আল হারুনকে আহ্বায়ক করে গঠন করা হয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। যা চট্টগ্রামের ভাষা আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিল।

আন্দোলনের মূল দিনকে (২১ ফেব্রুয়ারি) সামনে রেখে চট্টগ্রামে নানা কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। ১৯ এবং ২০ ফেব্রুয়ারি আন্দোলন কর্মীরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সারা রাত নগরীর বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালায়।

আন্দোলনের মূল দিনকে (২১ ফেব্রুয়ারি) সামনে রেখে চট্টগ্রামে নানা কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। ১৯ এবং ২০ ফেব্রুয়ারি আন্দোলন কর্মীরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সারা রাত নগরীর বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালায়।

২১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে পূর্ণ দিবস হরতাল পালিত হয়। এদিন সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ছিল বন্ধ ছিল। হাজার হাজার ছাত্র-জনতা মিছিলে যোগ দিয়েছিল। বিক্ষোভ মিছিল শেষে মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে চট্টগ্রামে লালদীঘি ময়দানে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

২১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের ভাষা আন্দোলনের চিত্র উঠে আসে ২২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত দৈনিক আজাদ পত্রিকায়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, 'অদ্য এখানে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবীতে ও আরবি হরফে বাংলা লেখা প্রবর্তনের প্রচেষ্টার প্রতিবাদে পূর্ণ হরতাল পালিত হয়। সমস্ত দোকানপাট, কারখানা, সরকারী অফিস, সিনেমা হল ও স্কুল কলেজে পূর্ণ হরতাল প্রতিপালিত হয়। ছাত্র ও জনসাধারণ শোভাযাত্রা সহকারে লালদীঘি ময়দানে সমবেত হয় এবং জনাব মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে তথায় এক সভা হয়। সভায় বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা না দেওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালাইয়া যাওয়ার সংকল্প ঘোষণা করা হয়। সভায় প্রায় ৪০ হাজারের অধিক লোক সমাগম হয়। মফঃস্বল স্কুলের ছাত্ররাও ধর্মঘট পালন করে।'

২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পুলিশের গুলিবর্ষণে ছাত্র হত্যাকাণ্ডের সংবাদ টেলিফোনে চট্টগ্রামে পৌঁছায়। এসময় পুরো চট্টগ্রাম শহর বারুদের মতো ফুটতে থাকে। খবর পাওয়া মাত্রই গোটা শহরে একের পর এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এদিন ছাত্র-জনতার মিছিল বিভিন্ন দিক থেকে পুরনো ওয়াজিউল্লাহ ইন্সটিটিউটের দিকে যেতে শুরু করে। এর মধ্যে জহুর আহমদ চৌধুরীর নেতৃত্বে রেলওয়ে শ্রমিকদের একটি বিশাল মিছিল বের হয়। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম কলেজ এবং মেডিকেল কলেজ থেকে পৃথক মিছিল বের হয়। প্রতিটি মিছিলের স্লোগান ছিল, 'রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই'। 'ঢাকার গুলিতে হত্যার বিচার চাই'।

২২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম শহর ছিল চরম উত্তাল। এদিন সকাল থেকেই হাজার হাজার ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে মিছিল করে। অচল হয়ে পড়ে চট্টগ্রামের সঙ্গে রেল যোগাযোগ। এদিন লালদিঘি ময়দানে বিশাল সমাবেশ হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন এ কে খান, এম এ আজিজ প্রমুখ। ২২ ফেব্রুয়ারি পুলিশ রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সদস্য কৃষ্ণ গোপাল সেনকে গ্রেপ্তার করে। এদিন চট্টগ্রামের ছাত্ররা নগরীর খুরশীদ মহলের সামনে ভিক্টোরিয়া পার্কে প্রথম অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করে।

চট্টগ্রামে এদিনে পালিত নানা কর্মসূচীর বিবরণ প্রকাশিত হয়েছিল ২৩ ফেব্রুয়ারি দৈনিক আজাদ পত্রিকায়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, 'চট্টগ্রাম, ২২ ফেব্রুয়ারি। ঢাকায় ছাত্রদের উপর পুলিশের গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে অদ্য এখানে শোভাযাত্রা বাহির হয়। শোভাযাত্রীগণ "নুরুল আমীনের কল্লা চাই", নাজিমুদ্দীন গদী ছাড়" প্রভৃতি ধ্বনি করিতে থাকে। শোভাযাত্রীগণ লালদীঘি ময়দানে জমায়েত হইয়া সভা করে…।"

২৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে আগের দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে লালদিঘি ময়দানে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এভাবেই চট্টগ্রামে চলতে থাকে লাগাতার কর্মসূচি। মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত চলতে থাকে চট্টগ্রামের ভাষা আন্দোলনের নানা কর্মসূচি। ১ মার্চ লালদিঘি ময়দানে আরেকটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

চট্টগ্রামের ভাষা আন্দোলন কেবল চট্টগ্রাম শহরের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। বরং তা বিস্তৃত হয়েছিল চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানা, ইউনিয়ন, গ্রাম পর্যন্ত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য জনপদ ছিল চট্টগ্রামের রাউজান, ফটিকছড়ি, নাজিরহাট, হাটহাজারী, সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ।

সূত্র:

১.ভাষা আন্দোলন টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া/ আহমদ রফিক
২. ভাষা আন্দোলন কোষ/ এম আবদুল আলীম
৩. ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২, দৈনিক আজাদ।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

6h ago