সংরক্ষিত হয়নি মিরপুরের বেশিরভাগ বধ্যভূমি

মিরপুর মুক্ত হওয়ার ৫২তম বার্ষিকীতে এখানকার ৮টি বধ্যভূমির বর্তমান অবস্থা দেখার চেষ্টা করেছে দ্য ডেইলি স্টার।
মিরপুরের বধ্যভূমি
কালাপানি বধ্যভূমিতে গড়ে উঠেছে স্কুল ও ময়লার ভাগাড়। ছবি: শেখ এনাম/স্টার

(মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মিরপুর ছিল জলজ্যান্ত এক কসাইখানা। ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির অনুসন্ধানে পাওয়া ঢাকার ৭৬টি বধ্যভূমির মধ্যে ২৭টিরই অবস্থান মিরপুরে। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পাকিস্তানি বাহিনী নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করলেও মুক্ত হয়নি মিরপুর। দেড় মাস অবরুদ্ধ থাকার পর মিরপুর ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি মুক্ত হয়। মিরপুর মুক্ত হওয়ার ৫২তম বার্ষিকীতে এখানকার ৮টি বধ্যভূমির বর্তমান অবস্থা দেখার চেষ্টা করেছে দ্য ডেইলি স্টার। দুই পর্বের প্রতিবেদনের শেষ পর্ব থাকছে আজ।)

সরেজমিনে শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমি, মুসলিম বাজার বধ্যভূমি, কালাপানি বধ্যভূমি, মিরপুর ব্রিজ বধ্যভূমি-

শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমি

'কসাইখানায় কসাইকে দেখেছি জীবজন্তুর গোস্তকে কিমা করে দিতে। আর শিয়ালবাড়িতে গিয়ে দেখলাম কিমা করা হয়েছে মানুষের হাড়। …সত্যি আমি যদি মানুষ না হতাম, আমার যদি চেতনা না থাকতো, এর চেয়ে যদি হতাম কোন জড় পদার্থ, তাহলে শিয়ালবাড়ির ওই বধ্যভূমিতে দাঁড়িয়ে মানুষ নামধারী এই দ্বিপদ জন্তুদের সম্পর্কে এতটা নিচু ধারণা করতে পারতাম না।'

শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমি
শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমির কালভার্টের এই স্থানে ৬০টি বস্তায় পাওয়া গিয়েছিল ৩৫০টি মাথার খুলি। বর্তমানে কালভার্টটি ঢাকা পড়েছে রাস্তার মাঝে। ছবি: শেখ এনাম/স্টার

শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমি দেখে এসে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি দৈনিক পূর্বদেশ পত্রিকায় লিখেছিলেন ড. আনিসুজ্জামান। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ঢাকার অন্যতম বৃহৎ বধ্যভূমি ছিল শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমি।

সুকুমার বিশ্বাস রচিত 'একাত্তরের বধ্যভূমি ও গণকবর' এবং মিরাজ মিজু রচিত 'মিরপুরের ১০ বধ্যভূমি' শীর্ষক গ্রন্থে শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমির বিবরণীতে বলা হয়, 'মিরপুরের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা ভবন থেকে কমার্স কলেজের পথের মধ্যবর্তীতে যেতে যে কালভার্টটি পড়ে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। শিয়ালবাড়ির সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পার্শ্ববর্তী কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। শিয়ালবাড়ির ৬ নম্বর লেনের শেষপ্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময়ই শিয়ালবাড়ি গ্রামটি ছিল জনশূন্য। সমগ্র গ্রামটিকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল বধ্যভূমি হিসেবে। শিয়ালবাড়ির প্রায় সর্বত্রই ছড়িয়েছিল মানুষের কঙ্কাল।'

শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমি
শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমির গণকবর এখন মাদবরবাড়ি কবরস্থান। ছবি: শেখ এনাম/স্টার

সম্প্রতি ডেইলি স্টারের এই প্রতিবেদক শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমি এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখেন। সময়ের পরিক্রমায় শিয়ালবাড়ির কালভার্টটি ঢেকে গেছে রাস্তার মাঝে। স্থানীয় বাসিন্দা ও দোকানিদের সহযোগিতায় শেষমেশ চিহ্নিত করা যায় কালভার্টটি। শিয়ালবাড়ির গণকবর এখন মাতবরবাড়ি পারিবারিক গোরস্থান। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে শিয়ালবাড়ির যে সব কুয়ায় শহীদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল সেসব কুয়ার ওপরে উঠেছে বহুতল ভবন, কারখানা, সুপার মার্কেট।

শিয়ালবাড়ির স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা শিয়ালবাড়িতে থাকতে পারিনি। ফিরে আসার পর যা দেখেছি তা বলার মতো না। এখনো শিয়ালবাড়ির পুরো মাটি খুঁড়ে হাজারো মাথার খুলি পাওয়া যাবে।'

মুসলিম বাজার বধ্যভূমি

শুভ্র মোজাইকে মোড়ানো পুরো মসজিদটির সব স্তম্ভও শুভ্র রংয়ের টাইলসে আবৃত। কেবল দক্ষিণ কোনের স্তম্ভটি বাদে। কালো রংয়ের সেই স্তম্ভটিই দাঁড়িয়ে আছে শোকের প্রতীক হয়ে।

মিরাজ মিজু রচিত 'মিরপুরের ১০ বধ্যভূমি' শীর্ষক গ্রন্থ সূত্রে জানা যায় ১৯৯৯ সালে মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের নূরী মসজিদ সম্প্রসারণের সময়ে মসজিদের ফাঁকা জায়গায় মাটি খুঁড়তেই একটি পরিত্যক্ত কুয়ার সন্ধান পান নির্মাণ শ্রমিকেরা। কুয়ার স্লাবটি ভাঙতেই কয়েকটি মাথার খুলি ও হাড়গোড় দেখেন তারা। প্রথমে মসজিদ কমিটি বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করলেও দ্রুতই সেটি প্রকাশ পায়। তখন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দেড় মাস খননের পর বধ্যভূমিটি থেকে পাওয়া যায় শহীদদের মাথার খুলি, অস্থিসহ ব্যবহার্য নানা সামগ্রী। গণহত্যা গবেষকেরা স্থানীয় নামেই বধ্যভূমিটির নাম মুসলিম বাজার বধ্যভূমি রাখেন।

সম্প্রতি ডেইলি স্টারের এই প্রতিবেদক মসজিদটিতে যান। বর্তমানে মসজিদটির নাম পরিবর্তন করে নূরী মসজিদের স্থলে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জামে মসজিদ রাখা হয়েছে। বধ্যভূমিটির ওপরেই দাঁড়িয়ে আছে মসজিদটি।

মুসলিম বাজার বধ্যভূমি থেকে সংগৃহীত শহীদদের খুলি ও হাড় নিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা চালায় ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি। কমিটির চেয়ারম্যান গণহত্যা গবেষক ডা. এম এ হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা দীর্ঘদিন যাবত শহীদদের রক্ত সম্পর্কের আত্মীয়দের টিস্যু স্যাম্পল নিয়ে গবেষণা করেছি। গবেষণা শেষে কিছু খুলি ও হাড় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এবং সেনাবাহিনীর জাদুঘরে সংরক্ষণের জন্য দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলো দুই বছর আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।'

এম এ হাসান বলেন, 'একসময় স্বাধীনতা বিরোধীরা মুসলিম বাজার বধ্যভূমিতে টয়লেট পর্যন্ত নির্মাণ করেছে। বধ্যভূমিটির জায়গা চিহ্নিত করে আমরা তখন বলেছিলাম বধ্যভূমির স্থানে মসজিদ হতে পারে না। কিন্তু স্থানীয় রাজনীতিবিদদের কারণেই বধ্যভূমিটি সংরক্ষণ করা যায়নি।'

কালাপানি বধ্যভূমি

মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের সিরামিক ফ্যাক্টরির পার্শ্ববর্তী সড়ক ধরে এগোলেই বঙ্গবন্ধু কলেজ। বঙ্গবন্ধু কলেজের পূর্বপাশে বিশাল এলাকা জুড়ে অবস্থান কালাপানি বধ্যভূমির। বর্তমানে কালাপানির একাংশ শহীদবাগ নামে পরিচিত।

স্বাধীনতা পরবর্তীতে স্থানীয় মিলন সংঘ ক্লাবের উদ্যোগে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কালাপানির নাম রাখা হয়েছিল শহীদবাগ। ড. সুকুমার বিশ্বাস রচিত 'একাত্তরের বধ্যভূমি ও গণকবর' এবং মিরাজ মিজু রচিত 'মিরপুরের ১০ বধ্যভূমি' শীর্ষক বইয়ে বলা হয়, 'মিরপুরের সমস্ত বধ্যভূমির মধ্যে সবচেয়ে ব্যাপক সংখ্যক লাশ পাওয়া গিয়েছিল কালাপানি বধ্যভূমি থেকে। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জামায়াত নেতা এ জি খান, বিহারী আখতার গুন্ডা, মাস্তানা ও সরফু গুণ্ডার নেতৃত্বে কালাপানিতে প্রতিদিনই গণহত্যা সংগঠিত হয়েছিল। এছাড়া ঢাকার অন্যান্য স্থানে হত্যা করা শহীদদের লাশও কালাপানির জলাশয়, নিচু ভূমি ও আশেপাশের বাড়ির কুয়াতে ফেলতো পাকিস্তানি সেনারা।'

বর্তমানে পুরো কালাপানি বধ্যভূমিই আবাসিক এলাকা। কালাপানি বধ্যভূমির সমস্ত ঝিল, জলাশয় ও নিচু স্থান ভরাট করে উঠেছে বহুতল ভবন। পুরো এলাকা জুড়ে অবস্থান বিভিন্ন হাউজিংয়ের।

কালাপানি বধ্যভূমির একাংশ জুড়ে শহীদবাগ পানির পাম্পের অবস্থান। ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি মিরপুর মুক্তকরণের সময়ে বিহারীদের সঙ্গে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যে যুদ্ধ হয় সেই যুদ্ধে বিহারীদের অতর্কিত হামলায় এই পানির ট্যাংকির কাছেই শহীদ হয়েছিলেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কালাপানি বধ্যভূমির কোনো অংশেই আজ পর্যন্ত কোনো স্মৃতিফলক বা স্তম্ভ নির্মিত হয়নি।'

গণহত্যা গবেষক ডা. এম এ হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কালাপানির ঢাল ও কালসী গ্রামের মতো এত বৃহৎ বধ্যভূমি দেশের আর কোথাও পাওয়া যাবে না। সেখানে এতো সংখ্যক লাশ পড়ে ছিল যে তা গণনা করা সম্ভব ছিল না। কেবল সাধারণ মানুষই নয়, মিরপুর মুক্ত করতে গিয়ে আমার ভাই লেফটেন্যান্ট সেলিমসহ যে ৪১ জন সেনা সদস্য শহীদ হয়েছিলেন তাদের বেশিরভাগই ওখানে শহীদ হয়েছিলেন।'

মিরপুর ব্রিজ বধ্যভূমি

আজ থেকে বছর তিনেক আগেও বর্তমান গাবতলী ব্রিজের পাশেই ছিল একটি লোহার পুরোনো ব্রিজ। আড়াই বছর আগে পরিত্যক্ত সেই ব্রিজটি ধসে পড়ে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সেই ব্রিজটিই পরিণত হয়েছিল এক সাক্ষাৎ মৃত্যুকূপে।

সাভারের কাউন্দিয়া ইউনিয়নের ইসাকাবাদ গ্রামের বাসিন্দা পঁচাত্তর-ঊর্ধ্ব বয়সী মোহাম্মদ আলী পেশায় মাঝি। বিগত ষাট বছর যাবৎ তুরাগ নদীতে খেয়া পারাপার করেন তিনি। রাজধানীর গাবতলীর পার্শ্ববর্তী তুরাগ নদীর উত্তর পাড়েই ইসাকাবাদ গ্রামের অবস্থান। গ্রাম থেকে তাকালেই গাবতলী-আমিনবাজার ব্রিজের দেখা মেলে।

গাবতলী আমিন বাজার ব্রিজের পাশের এই স্থানেই ছিল পুরোনো লোহার ব্রিজটি। ছবি: স্টার

লোহার ব্রিজের গণহত্যার একজন প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন মোহাম্মদ আলী। মোহাম্মদ আলী এই প্রতিবেদককে বলেন, 'প্রতিদিন রাইতে মিলিটারি আর বিহারীরা শহরের বিভিন্ন জায়গার থেইকা ট্রাক ভইরা ব্রিজে মানুষ আনতো। রাত বারোটা পার হইতেই ব্রিজের দুই পাশের বাতি নিভাইয়া শুরু হইতো গুলি। একটার পর একটা লাশ পড়তো নদীতে। পুরো যুদ্ধের কালে এমন কোনো রাইত দেখি নাই যে রাইতে মিলিটারি এই ব্রিজে মানুষ মারে নাই।'

মিরাজ মিজু রচিত 'মিরপুরের ১০ বধ্যভূমি' শীর্ষক গ্রন্থে ব্রিজটি সম্পর্কে বলা হয়, আমীন বাজার ব্রিজের দক্ষিণে যে লোহার পুরোনো ব্রিজটি আছে ওই ব্রিজেই হাজার হাজার মানুষ হত্যা করা হয়েছিল। মিরপুর ব্রিজের ওপর তখন রক্তের যে স্তরটি ছিল তা পায়ের গোড়ালির গাঁট পর্যন্ত পুরু ছিল। লাশগুলো ভাসতো কচুরিপানার মতো।'

গণহত্যা গবেষক ডা. এম এ হাসান বলেন, 'পুরো মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ব্রিজটিতে আনুমানিক প্রায় ১৫ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে পাকিস্তানি বাহিনী।'

মুক্তিযুদ্ধের ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও ব্রিজ কিংবা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় কোনো স্মৃতি ফলক বা স্তম্ভ নির্মাণ করেনি সরকার। সেই পুরোনো ব্রিজের জায়গায় বর্তমানে দাঁড়িয়ে আছে আট লেনের নতুন নির্মিত ব্রিজ।

মিরপুরের বধ্যভূমি সংরক্ষণের বিষয়ে ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ডা. এম এ হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শুরু থেকেই মিরপুরের বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের বিষয়ে সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আমি নিজে দেখেছি একসময় মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোতে শহীদের হাড়গোড় ও খুলি নিয়ে খেলা হচ্ছে। ১৯৯৯ সাল থেকে আমি মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি, দেখা করেছি। কিন্তু তারা কখনোই সংরক্ষণের বিষয়ে উদ্যোগী হয়নি।'

মিরপুরের বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের বিষয়ে মন্ত্রণালয় কেন উদ্যোগী হচ্ছে না জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (পরিকল্পনা) আবুল বাকের মো. তৌহিদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মিরপুরের বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণের বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো প্রস্তাব আসেনি। তবে আমাদের যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া রয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় যদি মিরপুরের কোনো বধ্যভূমি সংরক্ষণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় তবেই আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব।'

 

Comments