অখ্যাত বধ্যভূমি, নির্যাতনকেন্দ্র: শ্রদ্ধার কিন্তু অবহেলিত

‘মিরপুরের বধ্যভূমি সম্পর্কে সবাই জানে। অথচ সরকার এখন পর্যন্ত মিরপুরের কোনো বধ্যভূমিই সংরক্ষণ করতে পারেনি। এটি মন্ত্রণালয়ের চরম কাণ্ডজ্ঞানহীনতা। একইসঙ্গে এটি শহীদদের ত্যাগকে চরম অবমাননার শামিল।’
পাহাড়তলী বধ্যভূমি
তিন দিকে ঝোপঝাড়ে আবৃত পাহাড়তলী বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভ, যা পাশের রাস্তা থেকে প্রায় দেখাই যায় না। ছবি: আহমাদ ইশতিয়াক/স্টার

তিন দিকে ঝোপঝাড়ে আবৃত একটি অনাড়ম্বর স্মৃতিস্তম্ভ, যা পাশের রাস্তা থেকে প্রায় দেখাই যায় না। প্রথম দর্শনে বোঝা কঠিন যে, এটি আসলে পাহাড়তলী বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভ।

গণহত্যা গবেষক চৌধুরী শহীদ কাদের রচিত 'পাহাড়তলী গণহত্যা' গ্রন্থ সূত্রে জানা যায়, 'মুক্তিযুদ্ধকালে চট্টগ্রামের এ কে খান রোডের এই বধ্যভূমিতে অন্তত ১০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং তাদের সহযোগী বিহারীরা।'

একাত্তরের ১০ নভেম্বর পাহাড়তলীতেই চট্টগ্রাম জেলার সর্ববৃহৎ গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে পাহাড়তলী বধ্যভূমি সংলগ্ন স্থানে কেবল একটি গর্তেই পাওয়া গিয়েছিলে এক হাজার ১০০ মাথার খুলি। সেগুলো বর্তমানে সংরক্ষিত আছে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টের জাদুঘরে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র অষ্টম খণ্ডে বর্ণিত, '১০ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীর ওয়্যারলেস কলোনি, পাহাড়তলীর পাঞ্জাবী লাইন, বাহাদুর শাহ কলোনি, ফিরোজ শাহ কলোনিসহ একাধিক এলাকা থেকে শিশু-কিশোর, নারী, পুরুষ, বৃদ্ধকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গুলি ও জবাই করে হত্যা করেছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পাইওনিয়ার ফোর্সের সদস্য ও তাদের সহযোগী বিহারীরা।'

বর্তমানে পাহাড়তলী বধ্যভূমির একটা বৃহৎ অংশজুড়েই গড়ে উঠেছে ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (ইউএসটিসি) মূল ক্যাম্পাস।

পাহাড়তলী গণহত্যায় বাবা ও চাচাকে হারিয়েছিলেন গাজী কামাল উদ্দিন। দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'এখন স্মৃতিস্তম্ভের পাশে যেখানে ইউএসটিসির বিল্ডিং হচ্ছে, এটি বধ্যভূমির অংশ। এখানে কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। সরকার চাইলেই বধ্যভূমিটি সংরক্ষণ করা সম্ভব ছিল। কিন্তু এত বছর পরও সরকার বধ্যভূমিটি সংরক্ষণ করতে পারল না।'

এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে বধ্যভূমির স্থানটি অধিগ্রহণ করে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের আদেশ দেয়। কিন্তু নয় বছর পেরিয়ে গেলেও সে আদেশ বাস্তবায়ন করেনি সরকার।

কেবল পাহাড়তলীই নয়, এর মতো ঢাকাতেও বেশ কিছু গণহত্যা ও নির্যাতন কেন্দ্র সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তি দখলে রয়েছে।

বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও গণহত্যা গবেষক অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পাহাড়তলী বধ্যভূমি সংরক্ষণের জন্য বছরের পর বছর ধরে আমরা সরকারের মন্ত্রণালয় থেকে আদালত পর্যন্ত এমন কোনো জায়গা বাদ নেই যেখানে ধরনা দিইনি। অথচ আজ পর্যন্ত সরকার এটির কোনো সুরাহা করতে পারল না। যারা দখল করে আছে তাদের পেশিশক্তি আছে, আমাদের নেই। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের নয় বছর পার হওয়ার পরও আজ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।'

অপেক্ষা অব্যাহত

মুক্তিযুদ্ধের-পরবর্তী সময়ে গবেষক, পাহাড়তলী গণহত্যায় শহীদদের স্বজন ও স্থানীয়রা বধ্যভূমিটি সংরক্ষণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধের প্রায় তিন দশক পর ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর ও ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাহাড়তলী বধ্যভূমির স্থানটি অধিগ্রহণ করে সেখানে একটি মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স তৈরির জন্য সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে ভূমি অধিগ্রহণের নির্দেশ দিয়ে দুই দফা চিঠি দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

কমপ্লেক্সটিতে ঢাকার রায়ের বাজার বধ্যভূমির আদলে একটি প্রধান স্তম্ভ, একটি পতাকা টানানোর দণ্ড এবং সম্মুখে কেন্দ্রীয় চত্বর ও চতুর্দিকে সীমানাপ্রাচীর থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

আদালতের তথ্যসূত্রে জানা যায়, এক দশমিক ৭৫৪ একর ভূমি অধিগ্রহণের জন্য সরকার ৯৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। ২০০৩ সালে বধ্যভূমির জমিটি অধিগ্রহণের জন্য জমির মালিককে একটি নোটিশও প্রদান করে তৎকালীন সরকার।

যদিও এই সময়ের মধ্যেই জমির মালিকানা পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল। ২০০২ সালের মে মাসে জমির আগের মালিকের কাছ থেকে জমিটি কিনে নিয়েছিল ইউএসটিসি কর্তৃপক্ষ। জমিটি কেনার পরপরই একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল স্থাপনের জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কাছে একটি পরিকল্পনা জমা দেয় ইউএসটিসি কর্তৃপক্ষ।

সরকারের অধিগ্রহণের নোটিশ জারির পর ইউএসটিসি কর্তৃপক্ষ অধিগ্রহণের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে চট্টগ্রাম আদালতে মামলা করে। যদিও ২০০২ সালের নভেম্বরের আদালত ইউএসটিসি কর্তৃপক্ষকে সেখানে কোনো স্থাপনা না করার জন্য অনুরোধ করেছিল।

বিষয়টির সুরাহা পেতে ইউএসটিসি কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের দ্বারস্থ হয়। ২০০৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগ নিম্ন আদালতের আদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

উচ্চ আদালতের এই নির্দেশনা ইউএসটিসি কর্তৃপক্ষকে নির্মাণকাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়। অপরদিকে, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ইউএসটিসি কর্তৃপক্ষকে স্থানটিতে কোনো স্থাপনা নির্মাণ না করতে এবং বিষয়টি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র নেওয়ার নির্দেশ দেয়।

২০০৫ সালে ইউএসটিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা করে বধ্যভূমি সংরক্ষণের জন্য তাদের দান করা ২০ শতাংশ জমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এমনকি ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়ে তাদের আগের সব সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নিয়ে সেই দানকৃত জমিতেই ছোট পরিসরে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

আদালতে মামলা চলার একপর্যায়ে ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বধ্যভূমির স্থানটি অধিগ্রহণ না করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জমি অধিগ্রহণের আদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ বেআইনি বলে রুল জারি করেন।  
একইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে জমির বর্তমান মালিক ইউএসটিসি কর্তৃপক্ষকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করে বধ্যভূমির এক দশমিক ৭৫৪ একর জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেন।

গত রোববার ইউএসটিসির রেজিস্ট্রার দিলীপ বড়ুয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় অধিগ্রহণের বিষয়ে কখনোই আমাদের সঙ্গে কোনো কথা বলেনি।'

'এটি ইউএসটিসির ক্রয়কৃত সম্পত্তি। আমরা যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই জায়গাটি কিনেছিলাম। আমাদের প্রতিষ্ঠাতা ড. নুরুল ইসলাম বধ্যভূমির জন্য ২০ শতক জায়গা দানও করেছিলেন। সেখানেই এখন বর্তমানের বধ্যভূমিটি সংরক্ষিত হচ্ছে', বলেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পাহাড়তলী বধ্যভূমি অধিগ্রহণের জন্য আমরা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনকে দুই দফা চিঠি দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি।'

'জেলা প্রশাসনের জন্য পূর্বে আমরা দুই দফা টাকা বরাদ্দও দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু অধিগ্রহণের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার মধ্যে তারা টাকা না নেওয়ায় আমরা তা ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছি', বলেন তিনি।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা অর্থ বরাদ্দের জন্য মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে নতুন করে আবেদন ফাইল জমা দিয়েছি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।'

ঢাকার হারিয়ে যাওয়া বধ্যভূমি

মুক্তিযুদ্ধকালে ঢাকার একাধিক বধ্যভূমিতে নারকীয় গণহত্যা চালিয়েছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং তাদের সহযোগী রাজাকার, আল-বদরেরা।

গবেষকদের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানী ঢাকায় ৭৬টি বধ্যভূমি রয়েছে, যার ২৭টিই মিরপুরে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তালিকায় দেখা যায়, ঢাকা শহরের ৭৬টি বধ্যভূমির মধ্যে মাত্র সাতটি বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করেছে সরকার। পাঁচটির অবস্থান কেরানীগঞ্জে, বাকি দুটির একটি রায়ের বাজার ও অন্যটি আজিমপুরে।

মিরপুরের একটি বধ্যভূমিও সংরক্ষণ করা হয়নি।

মিরপুর-১ নম্বরে মনির উদ্দিন শাহ মাজারের উত্তর ও দক্ষিণপাশের দুটি কূপ ও সুয়ারেজ রিজার্ভার ছিল মুক্তিযুদ্ধকালে গণহত্যার এক নীরব সাক্ষী। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে স্থানীয়রা মরদেহে পরিপূর্ণ কূপ দুটি আবিষ্কার করেছিলেন।  ১৯৯১ সালে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা মাজার সংলগ্ন সুয়ারেজ ট্যাংকটি পরিষ্কার করতে গেলে বেরিয়ে আসে অজস্র মাথার খুলি, হাড়গোড়।

বর্তমানে কূপ দুটির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে।

গত মাসে ডেইলি স্টারের এই প্রতিবেদক সরেজমিনে দেখতে পান, দুটি কূপের একটির স্থানে গড়ে উঠেছে বহুতল ভবন, অন্যটির পাশে চলছে নতুন ভবনের নির্মাণকাজ।

মিরপুর-১২ নম্বরের কালাপানি বধ্যভূমি ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে জঘন্য গণহত্যার সাক্ষী হলেও সংরক্ষিত হয়নি। বর্তমানে পুরো কালাপানি বধ্যভূমিতে গড়ে উঠেছে আবাসিক এলাকা।

মিরপুরের বধ্যভূমির মতো সংরক্ষিত হয়নি আরও অনেক নির্যাতন কেন্দ্র।

তেজগাঁওয়ের নাখালপাড়ার এমপি হোস্টেল তেমনই এক নির্যাতন কেন্দ্র। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী আলী আহসান মুজাহিদের বিরুদ্ধে আনিত পঞ্চম ও মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে আনিত অষ্টম অভিযোগে উঠে এসেছিল এমপি হোস্টেলে নির্যাতনের বয়ান। এই অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল নিজামী ও মুজাহিদ উভয়কেই আজীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছিলেন।

বর্তমানে এমপি হোস্টেলের কয়েকটি ভবনে সংসদ সদস্যরা বাস করেন। নির্যাতন কেন্দ্রটি সংরক্ষণের বিষয়ে সরকারি কোনো উদ্যোগ নজরে আসেনি।

এ ছাড়াও, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মুজাহিদের বিরুদ্ধে আনিত ষষ্ঠ অভিযোগে উঠে এসেছিল মোহাম্মদপুরের সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ (মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট) নির্যাতন ক্যাম্পে গণহত্যা, নির্যাতনের বিবরণ। এ অভিযোগে ট্রাইব্যুনাল মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করলেও নির্যাতন কেন্দ্রটি সংরক্ষণ বা চিহ্নিতকরণে কোনো উদ্যোগ নেই।

এ বিষয়ে ওয়্যার ক্রাইমস ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ড. এম এ হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মিরপুরের বধ্যভূমি সম্পর্কে সবাই জানে। অথচ সরকার এখন পর্যন্ত মিরপুরের কোনো বধ্যভূমিই সংরক্ষণ করতে পারেনি। এটি মন্ত্রণালয়ের চরম কাণ্ডজ্ঞানহীনতা। একইসঙ্গে এটি শহীদদের ত্যাগকে চরম অবমাননার শামিল।'

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, 'আপাতত প্রতিটি বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। তবে চলমান প্রকল্পের কাজ শেষ হলে মন্ত্রণালয় মিরপুরের বধ্যভূমিতে কিছু স্মৃতিসৌধ নির্মাণের কথা বিবেচনা করবে।'

Comments