Skip to main content
T
মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩
The Daily Star Bangla
আজকের সংবাদ English
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • স্বাস্থ্য
  • খেলা
  • বাণিজ্য
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • সাহিত্য
  • শিক্ষা
  • প্রযুক্তি
  • প্রবাসে
  • E-paper
  • English
English T
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • স্বাস্থ্য
  • খেলা
  • বাণিজ্য
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • সাহিত্য
  • শিক্ষা
  • প্রযুক্তি
  • প্রবাসে

  • ABOUT US
  • CONTACT US
  • SMS SUBSCRIPTION
  • ADVERTISEMENT
  • APPS
  • NEWSLETTER
সাহিত্য

দেশভাগের ৭৫ বছর: সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিবেচনা

‘তেলের শিশি ভাঙল বলে/খুকুর পরে রাগ করো/তোমরা যে সব বুড়ো খোকা/ভারত ভেঙে ভাগ করো!’
আহমেদ মাওলা
Fri Aug ১৯, ২০২২ ০২:১৪ অপরাহ্ন সর্বশেষ আপডেট: Fri Aug ১৯, ২০২২ ০২:১৪ অপরাহ্ন

'তেলের শিশি ভাঙল বলে/খুকুর পরে রাগ করো/তোমরা যে সব বুড়ো খোকা/ভারত ভেঙে ভাগ করো!'

দেশভাগ নিয়ে অন্নদাশঙ্কর রায়ের বিখ্যাত কবিতা। কবিতায় কার দায়, কে কী করলো সে হিসেবের পাশাপাশি বলব—মানচিত্র বদল সাধারণ কোন বিষয় নয়। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। এরসঙ্গে মানুষের অনিবার্য নিয়তি হিসেবে আছে ভিটেমাটি ছেড়ে উদ্বাস্তু, 'রুটলেস' হওয়ার বিষয়টি । যেকোনো কিছুর মূলে টান পড়লে উন্মূলিত বৃক্ষের মতো তা ধসে পড়ে। উপমহাদেশের দেশভাগের ঘটনায় মূলে টান পড়েছে, কোটি মানুষের হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। জীবনানন্দ দাশের পঙক্তি ধরে বলতে হয়- 'কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে?'

সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে।

ভারতবর্ষের ইতিহাসে ১৯৪৭ সাল একটি মর্মান্তিক বছর। এই সময়ে উপনিবেশের বিদায় এবং দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত-পাকিস্তান নামে উপমহাদেশ খণ্ডিত হয়। এর পুরোটাই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। কিন্তু এর ফলে প্রায় দেড়কোটি মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়ে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় হাজার হাজার মানুষের নিহত হওয়ার দগদগে স্মৃতি স্বজনরা বয়ে বেড়াচ্ছে আজও।

দেশভাগ নিয়ে শিল্প-সাহিত্য, ইতিহাস, চলচ্চিত্রে উল্লেখযোগ্য অনেক কাজ হয়েছে। আরও অনেক কাজ বাকি আছে। এরমধ্যে ১৯৯০ সালে জয়া চ্যাটার্জির কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'বেঙ্গল ডিভাইডেড'  শিরোনামের পিএইচডি অভিসন্দর্ভ উল্লেযোগ্য। এটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে অনেকের কাছে। দেশভাগের পরিণতিতে বাংলার জনজীবনে প্রভাব পড়ে সুদূরপ্রসারী। দাঙ্গা, উদ্বাস্তু সমস্যা, জন্মভূমি-পৈত্রিক-ভিটেবাড়ি ছেড়ে যাওয়ার যন্ত্রণা নিয়ে রচিত হয়েছে হৃদয়বিদারক কত স্মৃতিকথা এবং 'পূর্ব পশ্চিম' ও  'আগুনপাখির' মত বহুল পঠিত উপন্যাস, ছোটগল্প ও কবিতা।

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের নেতাজী সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মননকুমার মণ্ডলের নেতৃত্বে বাংলাদেশের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের গবেষক দল ভিটেহারা প্রবীণ মানুষদের কাছে গিয়েছেন। দুই বাংলার বিভিন্ন জেলা তথা উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ এবং বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর, ঝিনাইদহ, মেহেরপুরে ব্যক্তি পর্যায়ে মানুষদের কথা শুনেছেন দেশভাগ নিয়ে। তুলে এনেছেন জীবনের গল্প।

দেশভাগের ঘোষণার পর পূর্ব-পাকিস্তান থেকে ছেড়ে আসা শরণার্থী বোঝাই ট্রেন। ছবি: সংগৃহীত

মননকুমার জানিয়েছেন, সংগৃহীত তথ্যে এমন অনেক স্পর্শকাতর বিষয় উঠে এসেছে, যা জনসম্মুখে তুলে ধরা সম্ভব নয়। তাই গবেষণার মাধ্যমে এই তথ্যগুলো নিয়ে একটা ডিজিটাল আর্কাইভ করবেন। মূলস্রোতের বাইরে থাকা দেশভাগ সংক্রান্ত তথ্য আনাই ছিল এই গবেষণার লক্ষ্য। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। এর মাধ্যমে উঠে আসবে অনেকের না জানা অধ্যায়। তিনি আরও বলছেন, 'বিদ্যায়তনের পরিসর যে কত ব্যাপক হতে পারে তা দেশভাগ ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি এবং উপাদান সংগ্রহের এই উদ্যোগ সেটা প্রমাণ করছে।'

অন্যদিকে জয়া চ্যাটার্জী তার গবেষণায় (বাঙলা ভাগ হলো) দেখিয়েছেন—'দেশভাগের জন্য সাধারণভাবে মুসলিম লীগ ও মুসলমানদের বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাবকে দায়ী করা হয়, তা অন্তত বাঙলা ভাগের ক্ষেত্রে সত্য নয়। বাংলা ভাগের মূল কারিগর বেঙ্গল কংগ্রেস ও কলকাতার হিন্দু ভদ্রলোকরা। তারা সংখ্যাগুরু মুসলমানদের রাজ্যশাসনের অধিকার মানতে চান নাই বলেই বাংলাকে ভাগ করেছেন। পূর্ববঙ্গের মুসলমান এবং হিন্দুরা অবস্থার শিকার মাত্র।'

এসব কথা আবুল হাশিম ও সোহরাওয়ার্দী আগে বলেছেন। কিন্তু তারা মুসলমান বলে ইতিহাসবেত্তারা বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন। জয়া চ্যাটার্জি ডাকসাইটে একাডেমিক ইতিহাসবেত্তা, তাই তাকে উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। কলকাতায় জয়া চ্যাটার্জির বই সেভাবে পাঠ করা হয় না। কেন হয় না, তা স্পষ্ট। সেখান থেকে বের হতে পারলে আলাপের অনেক নতুন দরজা খুলে যাবে। মোটাদাগে এগুলো হচ্ছে অ্যাকাডেমিক কাজ। কিন্তু যে কাজটি হয়নি বলে আমার মনে হয়, সেটা হচ্ছে—রাজনীতিতে দেশভাগ, সম্প্রদায়, সম্প্রদায়গত ও সাম্প্রদায়িক বিষয়টি অ্যাকাডেমিক এবং পদ্ধতিগতভাবে পঠন-পাঠন, চিহ্নায়ন করা হয়নি। 

ইতিহাসের প্রভাবশালী ডিসকোর্স হচ্ছে হিন্দু-মুসলমান ধর্মগত বিরোধের কারণে দাঙ্গা এবং সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে উপমহাদেশ বিভক্ত হয়েছে। এই ডোমিনেন্ট ডিসকোর্স আরোপনমূলক। কোনো ধর্ম-সম্প্রদায়ের অবস্থান থেকে নয়, সম্পূর্ণ আরোহী পদ্ধতি ও ডোমিনেন্ট ডিসকোসের্র বাইরে গিয়ে বিষয়টি উপস্থাপন জরুরি।

সমাজ-সংস্কৃতি ভাবনা থেকে বলতে চাই, দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশভাগ হলেও আমরা কী 'সাম্প্রদায়িকতা' থেকে মুক্ত হতে পেরেছি? উত্তর হবে-না। পারিনি কেন? ভারতের সংবিধানে 'ধর্মনিরপেক্ষতা' এবং বাংলাদেশের সংবিধানে 'অসাম্প্রদায়িকতা' অন্তর্ভুক্ত হলেও উভয় দেশের সমাজ ও রাজনীতিতে হঠাৎ হঠাৎ ফুঁসে উঠে 'সাম্প্রদায়িকতা'। স্পর্শকাতর বিষয়ে খুব সতর্ক হয়ে কাজ করতে হবে কিন্তু চালিয়ে যেতে হবে আলাপ। সম্প্রদায়ের বৃহত্তর স্বার্থে, বিভেদ-বিভ্রম থেকে মুক্তির লক্ষ্যে একটি স্থিতিশীল, নির্বিরোধ সমাজ নির্মাণের আকাঙ্ক্ষা থেকে। 

পারস্পরিক বোঝাপড়ার অনেকগুলো প্রসঙ্গ ও প্রাসঙ্গিকতা আছে। 'কমিউনিটি', 'কমিউনাল' ও 'কমিউনালিজম' সম্পর্কে বোঝাপড়া ছাড়া আদতে সমাধানের সহজ কোনো পথ খোলা নেই।  একমাত্র খোলামেলা আলাপের মাধ্যমে সমঝোতা, সমন্বয় হতে পারে। দেশহারা, মানুষের মানসিক উদ্বাস্তু যন্ত্রণা, অসহায়-সম্পত্তিহীন মানুষগুলোর বেঁচে থাকার সংগ্রাম, প্রজন্মের পর প্রজন্মের চোখে কীভাবে উঠে এসেছে মনোদৈহিক বাস্তবতা—আমরা কী তা কখনো ভেবে দেখেছি? না, কোনো পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন নয়, কোনো সংস্কার কিংবা ধর্ম-সম্প্রদায়গত অবস্থান থেকেও নয়, ইতিহাসের পর্যালোচনা দরকার সম্পূর্ণ সংস্কার-মুক্ত অবস্থানে থেকে।

আমাদের দৃষ্টির মূল জায়গাটা হচ্ছে, ইতিহাসের নির্মাণ কীভাবে হয়েছে? সাহিত্য-শিল্পে কীভাবে রূপায়িত হয়েছে দেশভাগের পরিস্থিতি? গল্পে, উপন্যাসে, কবিতায় মানবিক যন্ত্রণার শৈল্পিক স্বরূপ কীভাবে চিত্রায়িত হয়েছে? উভয় বাংলা থেকে ভিটেমাটি ছেড়ে যাওয় বাঙালি লেখকরা তাদের স্মৃতি ও চেতনায় দেশত্যাগের যন্ত্রণাকে সাহিত্য-ভাষ্য দিয়েছেন। কিন্তু ইতিহাসের গ্রান্ডন্যারেটিভে এমন বার্তা প্রলম্বিত যে, মুসলমানেরা হিংসাপ্রবণ, অসহিষ্ণু এবং সাম্প্রদায়িক। দেশভাগ এবং দেশভাগোত্তর ভারত-বাংলাদেশে বহুবার সাম্প্রদায়িক সংঘাত হয়েছে, হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক হামলা হচ্ছে কেন? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গেলে দেখা যায় এইসব হামলার ক্ষেত্রে 'সাম্প্রদায়িকতা'র মোড়কে ধর্মীয় পরিচিতির বাইরে একটা 'রাজনৈতিক আরোপনের' বিষয়ও আছে। সেই বিষয়টি ইতিহাসে কিংবা আমাদের চলমান ডিসকোর্সে আসে না। 

সাম্প্রদায়িকতার নামে আসলে চলছে সংখ্যালঘু নির্যাতন, রয়েছে ক্ষমতসীনদের ব্যক্তিস্বার্থ এবং বৃহৎ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। বিষয়টার ঐতিহাসিক লুকোচুরি আছে, বানানো গল্পের আড়াল আছে। পুরোটাই রাজনৈতিক হাওয়ার কারসাজি। দুটো জিনিস এখানে পরিষ্কার—হিন্দুদের কাছে এই বার্তা দেওয়া যে, ক্ষমতাসীনদের উপর তাদের সমর্থন, আস্থা রাখা ছাড়া অন্য উপায় নেই। আর পশ্চিমা দেশসমূহকে বোঝাতে চাওয়া যে, এখানে মৌলবাদী, জঙ্গিবাদী শক্তি আছে এবং ক্ষমতাসীনরা সেই শক্তি নির্মূলে, দমনে কাজ করছে। ভেতরের কথাগুলো প্রচারমাধ্যমে পাথরচাপা থাকে। এটাই ক্ষমতার ইহলৌকিক রহস্য।

মশহুর ইতিহাসের বয়ানে 'সাম্প্রদায়িকতার' মূল কারণ অনুসন্ধান, আবিষ্কার এবং সঠিকভাবে চিহ্নিত কতে না পারার ব্যর্থতাই বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। ইতিহাসে 'সাম্প্রদায়িকতা'কে 'ধর্মীয় উন্মাদনা' হিসেবে বয়ান করে এক ধরণের রাজনৈতিক আকার দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকে এখানে সম্পূর্ণ আড়াল করা হয়েছে। এটা ইতিহাসের মর্মান্তিক লুকোচুরি। সম্প্রদায়গত ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও পারস্পরিক সহাবস্থান ও সুস্থির সামাজিক পরিবেশ ছিলো, আছে এই দাবি মোটেও অসত্য নয়। কিন্তু মাঝে মাঝে স্বার্থবাদী রাজনৈতিক হাওয়াই সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্পের বেলুনকে উন্মাদনায় উসকে দেয়। ইতিহাস চরিত্রগতভাবে রাজনৈতিক এবং ক্ষমতাসীনদের অনুকূলে রচিত হয় বলে, সেখানে এই নিকট সত্যটি ধরা পড়ে না। ভারতবর্ষে ও বাংলাদেশে 'সাম্প্রদায়িকতা' শব্দটি ধর্মভিত্তিক সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পারিক শত্রুতা বা বিরোধ বোঝায়। যেটা খুব মর্মান্তিক, দুঃখজনক এবং ভ্রান্তিকর।

'সম্প্রদায়' বিষয়টাকে আমরা গুরুত্ব দিতে পারিনি, যথার্থভাবে চিহ্নায়ন করতে পারেনি—এটা আমাদের ইতিহাসের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর হয়েছে। 'সম্প্রদায়' কথাটির একটা ইতিবাচক কোনোটেশন আছে। সম্প্রদায়গত, সম্প্রদায়প্রাণতা কিংবা সম্প্রদায়ভিত্তিতে কাজ করার ইতিবাচক দিক আছে সারা দুনিয়াতেই। কিন্তু ঐতিহাসিক,  রাজনৈতিক,  সংস্কৃতিগত  কারণে কার্যত তা আমরা হারিয়ে ফেলেছি। 'সম্প্রদায়গত' শব্দটি আর আগের অর্থ তাৎপর্যে নেই। হানাহানি, বিদ্বেষমূলক একটা ক্যাটাগরির মধ্যে হারিয়ে গেছে। এই শব্দটির রিকনস্ট্রাকশন (পুনর্গঠন) ঘটেছে, নেগেটিভ অর্থ ধারণ করেছে। এই ব্যাপারটাকে সামনে আনা জরুরি। বোঝাপড়ার প্রচারে আনা জরুরি।

গল্প, কবিতা, উপন্যাসের পরিসরে সেই লুপ্ত, অকথিত বাস্তব সত্যটি আকরিত হয়। উপন্যাসের পরিসরে মূলত উদ্বাস্তু সমস্যা, স্মৃতি, চেতনা, ভিটেমাটি থেকে উন্মীলিত মানুষের যন্ত্রণা প্রাধান্য পেয়েছে। ছোটগল্পে দেখা যায় দাঙ্গা, হত্যা-ধর্ষণ, প্রাণভয়ে বাস্তুত্যাগী, শরণার্থীদের নানা দুঃখ-কষ্ট রূপায়িত হয়েছে। কবিতার শব্দগুচ্ছে উচ্চারিত হয়েছে বুকে জমে থাকা বিষাদ-যন্ত্রণা, ছেড়ে যাওয়া পৈতৃক ভূমির প্রতি মমত্ব ও দীর্ঘশ্বাস। সব মিলিয়ে ভিন্ন এক সাহিত্যরূপ হচ্ছে 'দেশভাগের সাহিত্য'।

ইতিহাস নিয়ে নতুন তথ্য-বিশ্লেষণ আছে জয়া চ্যাটার্জির 'বাঙলা ভাগ হল' গ্রন্থে। এই রকম গবেষণা আরও দরকার। এখন বাংলাদেশের সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে 'ভাষা আন্দোলনের সাহিত্য', 'মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্য' পড়ানো হয়। তাহলে 'দেশভাগের সাহিত্য' উভয় বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্য তালিকায় আরও অধিক গুরুত্ব দিয়ে  অন্তর্ভূক্ত হবে না কেন? 

অন্যদিকে দেশভাগ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে কিছু কাজ হলেও তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশে হয়েছে কম। কারণ, সাতচল্লিশে দেশভাগের পর এপার বাংলার মানুষের ওপর চেপে বসেছিল পাকিস্তানি সামরিক স্বৈরশাসক। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, তারপর স্বাধীনতার সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ, পঁচাত্তরের নির্মমতা, স্বৈরশাসক পতন আন্দোলন—এসব ঘটনায় দেশভাগের ঘটনা চাপা পড়ে যায়। দেশভাগের স্মৃতি নিয়ে বেড়ে ওঠা প্রজন্মের একটা অংশ গত হয়েছে। যারা বেঁচে আছেন, তাদের বুকে দীর্ঘশ্বাস হয়ে আছে দেশভাগের স্মৃতি।

সম্পর্কিত বিষয়:
দেশভাগসাহিত্যসংস্কৃতিগবেষণাজয়া চ্যাটার্জীজয়া চ্যাটার্জী
Apple Google
Click to comment

Comments

Comments Policy

সম্পর্কিত খবর

৮ মাস আগে | শিক্ষা

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়-ইউজিসি পেল সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকার বাজেট

সাহিত্যের চাওয়া পাওয়া
২ সপ্তাহ আগে | সাহিত্য

সাহিত্যের চাওয়া পাওয়া

৮ মাস আগে | দক্ষিণ এশিয়া

৭৫ বছর পর দেখা মুসলিম-শিখ ভাইবোনের

৫ মাস আগে | স্টার মাল্টিমিডিয়া

দেশভাগ ঢাকার বই ব্যবসায় কী প্রভাব ফেলেছিল?

৩ মাস আগে | সাহিত্য

বাংলাদেশের কবিতায় ওমর আলীর হঠাৎ আলোর ঝলকানি

The Daily Star  | English

Death toll passes 5,100

Turkish President Tayyip Erdogan on Tuesday declared a state of emergency in 10 provinces devastated by two earthquakes that killed more than 5,100 people

9h ago

HC issues contempt rule against Dhaka mayors, Rajuk chairman

2h ago
The Daily Star
সাহসিকতা • সততা • সাংবাদিকতা
  • ABOUT US
  • CONTACT US
  • SMS SUBSCRIPTION
  • ADVERTISEMENT
  • APPS
  • NEWSLETTER
© 2023 thedailystar.net | Powered by: RSI LAB
Copyright: Any unauthorized use or reproduction of The Daily Star content for commercial purposes is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.